প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর পথে দান করা
বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, সূরা
আল ইমরানের “তোমরা কখনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ
তোমরা যা ভালোবাস তা দান না কর” এই আয়াত নাযিল হলে
সাহাবীগণের মধ্যে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা ও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় যে, তার
সম্পত্তির মধ্যে কোন জিনিসটি বেশি প্রিয় এবং তা কত দ্রুত রাসূল(সা) এর কাছে গিয়ে
দান করা যায়।
মদীনার আনসারদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ছিলেন আবু
তালহা (রা)। মসজিদে নববীর বিপরীত দিকে তার একটি বাগানে “বীরহা” নামে
একটি কুয়া ছিল। ক্রমে ঐ কুয়ার নামানুসারে তার বাগানটিও “বীরহা” নামে
পরিচিত হয়। রাসূল(সা) মাঝে মাঝে এই বাগানে আসতেন এবং এই কুয়ার পানি খেতেন। এই
কুয়ার পানি তার কাছ খুবই প্রিয় ছিল। আবু তালহারও এই কূপসহ বাগানটি অত্যন্ত
মূল্যবান, উর্বর ও সর্বাপেক্ষা প্রিয়
সম্পদ ছিল। উক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার পর তিনি রাসূল(সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, “ আমার সমস্ত বিষয় সম্পত্তির মধ্যে বীরহা আমার কাছে সবচেয়ে
প্রিয়। তাই এটি আমি আল্লাহর পথে ব্যয় করতে চাই। আপনি যে কাজে ভালো মনে করেন এটি
ব্যয় করুন।”
রাসূল(সা) বললেনঃ “এত
বড় বাগান, আমার মতে তুমি নিজের
আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বন্টন করে দিলেই ভালো হবে।” হযরত
আবু তালহা এই উপদেশ অনুসারে বাগানটি স্বীয় আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন।
ওদিকে হযরত যায়েদ বিন হারিসা তার আরোহনের
প্রিয় ঘোড়াটিকে নিয়ে রাসূল(সা) এর কাছে হাজির হলেন এবং তা আল্লাহর পথে দান করার
ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। রাসূল(সা) ঘোড়াটি তার কাছ হতে নিয়ে তারই ছেলে উসমানকে দান
করলেন। হযরত যায়েদকে এতে কিছুটা দ্বিধান্বিত দেখে তাকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন যে, তোমার
দান গৃহীত হয়েছে।
বইঃ হাদীসের
কিসসা
লেখকঃ আকরাম
ফারুক
বইটির পিডিএফ ডাউললোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।