ব‌ই নোট - ইসলামী সংগঠন - আমার প্রিয় বাংলা বই

সাম্প্রতিকঃ

Post Top Ad

Responsive Ads Here

January 30, 2021

ব‌ই নোট - ইসলামী সংগঠন

 

লেখকঃ এ.কে.এম.নাজির.আহমদ প্রকাশনীঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার  নোটটি তৈরী করেছেনঃ মাসুদ পারভেজ (চট্টগ্রাম মহানগরী)  ইসলামী সংগঠনের গুরুত্বঃ ➧ অর্থ‍ঃ সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ সংঘবদ্ধ করণ।  ➧ ইসলামী সংগঠনের সংজ্ঞাঃ  ইকামাতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন। ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামাতে দীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরয। সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দীন কায়েম হতে পারে না। সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়া ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য বিকাশ সাধন সম্ভবপর নয়। ➧আল্লাহর নির্দেশঃ  "তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর।" (আল ইমরান-১০৩)  ➧ রাসুল (স:) এর বাণীঃ  ক. তিন জন হলেও জামায়াতী জীবন খ. জান্নাতের স্বাদ উপভোগের জন্য  গ. সংগঠন সম্পর্কে ওমরের বার্তা ইসলামী সংগঠনের উপাদানঃ ১. ইসলামী নেতৃত্ব। ২. ইসলামী কর্মী বাহিনী। ৩. ইসলামী পরিচালনা বিধি। ইসলামী সংগঠন ও ইকামতে দ্বীনঃ ➧ সমাজের চাকা গতিশীল।  ➧ অশান্তির মূল কারন ইসলামের অনুপস্থিতি।  ➧ বিপ্লবের জন্যই ইসলামের আর্বিভাব।  ➧ বিপ্লবের পন্থা বাতলানোর জন্য নবী রাসুল।  ➧ দাওয়াত, সংগঠন, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সমাজ বিপ্লব ও শান্তি প্রতিষ্ঠা। ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্যঃ ১. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের উপায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন আর তা আব্দ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন, পরিবার গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন। ২. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে হতাশার কোন কারণ নেই। ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামোঃ ➧ নেতা একজন।  ➧ আমীর নির্বাচনের মাধ্যমে হয়।  ➧ প্যানেল থাকতে পারে। ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনঃ ১. তাকওয়া। ২. যোগ্যতম ব্যক্তি। ৩. ক্যানভাস নেই। ৪. প্রার্থী হওয়া যায় না। ইসলামী নেতৃত্বের গুনাবলীঃ ১. জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব।  ২. উন্নত আমল। ৩. নম্র ব্যবহার।  ৪. সাহসিকতা। ৫. সময়ানুবর্তিতা ।  ৬. সাংগঠনিক প্রজ্ঞা। ৭. প্রেরনা সৃষ্টির যোগ্যতা।  ৮. সু-ভাষণ। ৯. নথি পত্র সংরক্ষনে পারদর্শিতা। ১০. হিসাব সংরক্ষনে পারদর্শিতা। ইসলামী নেতৃত্বের প্রধান ভূমিকাঃ  নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে সকল কাজ আবর্তীত হয়ঃ ১. তাকওয়া ।  ২. উখুয়াত সৃষ্টি। ৩. ত্যাগের অনুপ্রেরনা সৃষ্টি।  ৪. কর্মীদের মাঝে ইনসাফ কায়েম। ৫. বিপদ মুসিবতে ধৈর্য অবলম্বনের তালীম।  ৬. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনকেই সকল তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু রূপে উপস্থাপন। ইসলামী নেতৃত্বের জবাবদিহিঃ ১. জবাবদিহী করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ২. জবাবদিহী করতে হবে দুই স্থানে।  ➧ নির্বাচক মন্ডলির উপর।  ➧ আল্লাহর নিকট। ইসলামী সংগঠনের আনুগত্যঃ ১. আল্লাহর আনুগত্য। ২. রাসুলের আনুগত্য। ৩. উলিল আমর বা দায়িত্বশীলদের আনুগত্য ইসলামী সংগঠনে পদলোভীর স্থান। ১. আত্মপূজারী বা স্বার্থান্ধ ব্যক্তিই নেতৃত্বের লোভ পোষন করে। ২. পদ চাইলে তাকে দেয়া যাবেনা। ৩. দুইজন বাইয়াত গ্রহন করা হয়, তখন যার বাইয়াত শেষে গ্রহন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই কর। ৪. ইসলামী সংগঠন বা রাষ্ট্রের জনসমর্থনপুষ্ট একজন আমীর বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে আমীর স্বীকার করা যাবে না। ৫. পদলোভী ব্যক্তি আখিরাত বরবাদ করে। ইসলামী সংগঠনের পরামর্শঃ ➧ ইসলামী আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য পরামর্শ দেয়া ও নেয়া।  ➧ পরামর্শের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি। ইসলমী সংগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ ১. পূর্ব প্রতিষ্ঠিত কোন ধারণা নিয়ে সভায় আসবেন না। ২. ঈমান, ইলম ও নিরপেক্ষ চিন্তা-ভাবনা নিয়ে; লোভ, ভয় কোন্দলে পড়ে নিজের প্রকৃত মনোভাবের বিপরীত মত ব্যক্ত করবেন না। ৩. মনোযোগ সহকারে একে অন্যের বক্তব্য শ্রবন ও সঠিক অর্থ অনুধাবন। ৪. নিঃসংকোচে মতামত পেশ। ৫. উত্তমের মোকাবেলায় মতের কুরবানী। ৬. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তের চেষ্টা। ৭. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অধিকাংশ মতের আলোকে দ্বি-মত পোষন ভুলে যাবেন। ৮. আমীর দ্বীমত পোষন করলে সদস্যদের সাথে সাধারণ পরামর্শ। ইসলামী সংগঠনের এহতেসাবঃ ১. ভুল ভ্রান্তি হওয়া এর স্বাভাবিক সংশোধনের জন্য এহতেসাব। ২. এহতেসাব হলো মুমিনদের জন্য আয়না স্বরূপ। ৩. এহতেসাব এর প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি। ইসলামী সংগঠনে কর্মী পরিচালনাঃ ১. আদর্শের আলোকে মন মানসিকতা গঠন। ২. ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দান। ৩. ইসলামের বুনিয়াদী নির্দেশগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ। ৪. মর্ম উপলদ্ধি করে নিয়মিত আল-কুরআন ও আল-হাদীস অধ্যয়নে উদ্বুদ্ধকরণ। ৫. জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করতে উদ্বুদ্ধকরণ। ৬. আত্মসমালোচনায় উদ্বুদ্ধকরণ। ৭. দাওয়াতী কাজে উদ্বুদ্ধকরণ। ৮. দাওয়াতী কাজে সহযোগিতা দান। ৯. দাওয়াতী কাজের রিপোর্ট গ্রহণ। ১০. ইনসাফ ফী সাবীলিল্লাহ-র জন্য উদ্বুদ্ধকরণ। ১১. সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধকরণ। ১২. সময় সচেতনতা সৃষ্টি। ১৩. পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী হওয়ার জন্য। উদ্বুদ্ধকরণ।

লেখকঃ এ.কে.এম.নাজির.আহমদ

প্রকাশনীঃ বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার

নোটটি তৈরী করেছেনঃ মাসুদ পারভেজ (চট্টগ্রাম মহানগরী)

 মূল বইয়ের পিডিএফ কপির জন্য এখানে ক্লিক করুন। অনলাইনে পড়তে এখানে ক্লিক করুন। পুরো নোটটি পিডএফ আঁকারে পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

ইসলামী সংগঠনের গুরুত্বঃ

অর্থঃ

সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ সংঘবদ্ধ করণ।

ইসলামী সংগঠনের সংজ্ঞাঃ

ইকামাতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন।

ইসলামী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামাতে দীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরয।

সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দীন কায়েম হতে পারে না। সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়া ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য বিকাশ সাধন সম্ভবপর নয়।

আল্লাহর নির্দেশঃ

"তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর।" (আল ইমরান-১০৩)

রাসুল (:) এর বাণীঃ

ক. তিন জন হলেও জামায়াতী জীবন

খ. জান্নাতের স্বাদ উপভোগের জন্য

গ. সংগঠন সম্পর্কে ওমরের বার্তা

ইসলামী সংগঠনের উপাদানঃ

১. ইসলামী নেতৃত্ব।

২. ইসলামী কর্মী বাহিনী।

৩. ইসলামী পরিচালনা বিধি।

ইসলামী সংগঠন ও ইকামতে দ্বীনঃ

সমাজের চাকা গতিশীল।

অশান্তির মূল কারন ইসলামের অনুপস্থিতি।

বিপ্লবের জন্যই ইসলামের আর্বিভাব।

বিপ্লবের পন্থা বাতলানোর জন্য নবী রাসুল।

দাওয়াত, সংগঠন, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সমাজ বিপ্লব শান্তি প্রতিষ্ঠা।

ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্যঃ

১. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের উপায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন আর তা আব্দ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন, পরিবার গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন।

২. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে হতাশার কোন কারণ নেই।

ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামোঃ

নেতা একজন।

আমীর নির্বাচনের মাধ্যমে হয়।

প্যানেল থাকতে পারে।

ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনঃ

১. তাকওয়া।

২. যোগ্যতম ব্যক্তি।

৩. ক্যানভাস নেই।

৪. প্রার্থী হওয়া যায় না।

ইসলামী নেতৃত্বের গুনাবলীঃ

১. জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব।

২. উন্নত আমল।

৩. নম্র ব্যবহার।

৪. সাহসিকতা।

৫. সময়ানুবর্তিতা ।

৬. সাংগঠনিক প্রজ্ঞা।

৭. প্রেরনা সৃষ্টির যোগ্যতা।

৮. সু-ভাষণ।

৯. নথি পত্র সংরক্ষনে পারদর্শিতা।

১০. হিসাব সংরক্ষনে পারদর্শিতা।

ইসলামী নেতৃত্বের প্রধান ভূমিকাঃ

নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে সকল কাজ আবর্তীত হয়ঃ

১. তাকওয়া ।

২. উখুয়াত সৃষ্টি।

৩. ত্যাগের অনুপ্রেরনা সৃষ্টি।

৪. কর্মীদের মাঝে ইনসাফ কায়েম।

৫. বিপদ মুসিবতে ধৈর্য অবলম্বনের তালীম।

৬. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনকেই সকল তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু রূপে উপস্থাপন।

ইসলামী নেতৃত্বের জবাবদিহিঃ

১. জবাবদিহী করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

২. জবাবদিহী করতে হবে দুই স্থানে।

নির্বাচক মন্ডলির উপর।

আল্লাহর নিকট।

ইসলামী সংগঠনের আনুগত্যঃ

১. আল্লাহর আনুগত্য।

২. রাসুলের আনুগত্য।

৩. উলিল আমর বা দায়িত্বশীলদের আনুগত্য

ইসলামী সংগঠনে পদলোভীর স্থান।

১. আত্মপূজারী বা স্বার্থান্ধ ব্যক্তিই নেতৃত্বের লোভ পোষন করে।

২. পদ চাইলে তাকে দেয়া যাবেনা।

৩. দুইজন বাইয়াত গ্রহন করা হয়, তখন যার বাইয়াত শেষে গ্রহন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই কর।

৪. ইসলামী সংগঠন বা রাষ্ট্রের জনসমর্থনপুষ্ট একজন আমীর বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে আমীর স্বীকার করা যাবে না।

৫. পদলোভী ব্যক্তি আখিরাত বরবাদ করে।

ইসলামী সংগঠনের পরামর্শঃ

ইসলামী আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য পরামর্শ দেয়া নেয়া।

পরামর্শের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা পদ্ধতি।

ইসলমী সংগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ

১. পূর্ব প্রতিষ্ঠিত কোন ধারণা নিয়ে সভায় আসবেন না।

২. ঈমান, ইলম ও নিরপেক্ষ চিন্তা-ভাবনা নিয়ে; লোভ, ভয় কোন্দলে পড়ে নিজের প্রকৃত মনোভাবের বিপরীত মত ব্যক্ত করবেন না।

৩. মনোযোগ সহকারে একে অন্যের বক্তব্য শ্রবন ও সঠিক অর্থ অনুধাবন।

৪. নিঃসংকোচে মতামত পেশ।

৫. উত্তমের মোকাবেলায় মতের কুরবানী।

৬. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তের চেষ্টা।

৭. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অধিকাংশ মতের আলোকে দ্বি-মত পোষন ভুলে যাবেন।

৮. আমীর দ্বীমত পোষন করলে সদস্যদের সাথে সাধারণ পরামর্শ।

ইসলামী সংগঠনের এহতেসাবঃ

১. ভুল ভ্রান্তি হওয়া এর স্বাভাবিক সংশোধনের জন্য এহতেসাব।

২. এহতেসাব হলো মুমিনদের জন্য আয়না স্বরূপ।

৩. এহতেসাব এর প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি।

ইসলামী সংগঠনে কর্মী পরিচালনাঃ

১. আদর্শের আলোকে মন মানসিকতা গঠন।

২. ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দান।

৩. ইসলামের বুনিয়াদী নির্দেশগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ।

৪. মর্ম উপলদ্ধি করে নিয়মিত আল-কুরআন ও আল-হাদীস অধ্যয়নে উদ্বুদ্ধকরণ।

৫. জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করতে উদ্বুদ্ধকরণ।

৬. আত্মসমালোচনায় উদ্বুদ্ধকরণ।

৭. দাওয়াতী কাজে উদ্বুদ্ধকরণ।

৮. দাওয়াতী কাজে সহযোগিতা দান।

৯. দাওয়াতী কাজের রিপোর্ট গ্রহণ।

১০. ইনসাফ ফী সাবীলিল্লাহ-র জন্য উদ্বুদ্ধকরণ।

১১. সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধকরণ।

১২. সময় সচেতনতা সৃষ্টি।

১৩. পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী হওয়ার জন্য। উদ্বুদ্ধকরণ।

১৪. কাজের পরিকল্পনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা দান
১৫. সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ
১৬. দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধকরণ
১৭. কাজের তদারক করণ
১৮. কাজের রিপোর্ট গ্রহণ
১৯. রিপোর্ট পর্যালোচনা
২০. সমাজ কর্মীরূপে ভূমিকা পালনে উদ্বুদ্ধকরণ
২১. ব্যাপক পরিচিতি অর্জনে উদ্বুদ্ধকরণ
২২. কর্মীকে সুবক্তারূপে গড়ন
২৩. স্ব-চালিত কর্মীরূপে আত্মগঠনে উদ্বুদ্ধকরণ
২৪. নতুন কর্মী গঠনের জন্য কর্মীকে উদ্বুদ্ধকরণ
২৫. সংগঠনের বক্তব্য যথা শীঘ্র অবহিত করণ
২৬. নিষ্ক্রিয় কর্মীর সাথে যথা শীঘ্র যোগাযোগ স্থাপন
২৭. পরামর্শ শ্রবণ
২৮. অগ্রসর কর্মীকে সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ দান

ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের পরীক্ষাঃ
১. পরীক্ষা যাচাই এর জন্য
২. প্রতিকুলতাই পরীক্ষা
৩. দুনিয়া বাসীর কাছে পরিষ্কার করার জন্য এই পরীক্ষা।

ইসলামী সংগঠনে বাইতুলমালঃ
১. ইসলামী সংগঠনে বাইতুল মালের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে কর্মীদের ইনফাক ফী সাবীলিল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর পথে অর্থদান।
২. ইসলামী সংগঠনের কর্মীরা মাল ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে।
৩. তাদের  মাল ও জান আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে খরিদ করে নিয়েছেন।

ইসলামী সংগঠনের কর্মীর আত্মগঠনঃ
১.  আল্লাহর দিকে আহবান 
২.  একাগ্রতা সহকারে সালাত আদায়
৩.  আল-কুরআন অধ্যয়ন   
৪.  আল-হাদীস অধ্যয়ন
৫.  সহায়ক সাহিত্য অধ্যয়ন  
৬.  রাত্রি জাগরণ
৭.  আল্লাহর পথে অর্থ দান 
৮.  সকল কাজে আল্লাহর স্মরণ
৯.  রাসূলের প্রতি দরূদ পড়া 
১০. আত্ম সমালোচনা
১১. সাওম পালন 
১২. মৌলিক মানবীয় গুণ অর্জন
১৩. পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্টকারী কাজ বর্জন
➧ অশালীন ও অশোভন কথাবার্তা     
➧ গীবত      
➧ আন্দাজ-অনুমান     
➧ হিংসা      
➧ রাগ    
➧ অহংকার

ইসলামী সংগঠনে কর্মী গঠনঃ
১. সাহচর্য দান
(ক) অন্তর্দ্বন্দ্ব নিরসন 
(খ) মানসিক দৃঢ়তা অর্জনে সহযোগিতা দান
২. সাংগঠনিক পরিবেশে আনয়ন 
৩. ছোট খাটো দায়িত্ব অর্পন
৪. অর্থ দানে উদ্বুদ্ধকরণ
৫. প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান
৬. আহবান জ্ঞাপনের দায়িত্ব অর্পন
৭. কাজের রিপোর্ট গ্রহণ      

ইসলামী সংগঠনে কর্মীর মানোন্নয়নঃ
১. সাপ্তাহিক সভা 
২. শিক্ষা বৈঠক
৩. পাঠ চক্র 
৪. দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শিবির
৫. বক্তৃতা অনুশীলন চক্র 
৬. ব্যক্তিগত আলাপ, জিজ্ঞাসা ও পরামর্শ দান।

ইসলামী সংগঠনের সংহতিঃ
১. ইসলামী আন্দোলনের প্রকৃত লক্ষ্য সম্পর্কে অস্পষ্টতা
২. ইসলামী সংগঠনের বৈশিষ্ট গুলো সম্পর্কে অপূর্ণাঙ্গ ধারণা
৩. ইসলামী আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সংশয়
৪. বিপদ মুসিবাত সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব
৫. অগ্রাধিকার নির্ধারণে অক্ষমতা
৬. মানসিক ভারসাম্যহীনতা
(ক) ত্বরা প্রবণতা  
(খ) অতি আশা   
(গ) চরম পন্থার প্রতি ঝোঁক  
(ঘ) অহংকার  
(ঙ) অভিমান
৭. মুখোস-পরা দুশমনদের ভূমিকা মু

খোশ পরা দুশমনদের ভূমিকাঃ
১. আন্দোলনের ক্ষতি করার জন্য ইসলামী সংগঠনে ঢুকে পড়ে
২. ইসলামী সংগঠনে দায়িত্বশীলদের আনুগত্যের ভিত্তিতে আঘাত হানে
৩. নেতৃস্থানীয় ও কর্মীদের সম্পর্কের সংশয় সৃষ্টি করে
৪. ইসলামী সংগঠনের প্রতি আঘাত হানার জন্য মুখোশ ধারিরা ঘুপটি মেরে বসে থাকে

দৃষ্টান্তঃ
যায়নাব বিনতে জাহাশের বিয়েকে কেন্দ্র করে রাসুলের (স:) প্রতি অপবাদ
আয়িশা (রা) এক অভিযানে পেছনে পড়ে যাওয়া এবং এক সাহাবীর সাথে মদীনায় আশার অপবাদ।

ইসলামী সংগঠনের স্বাভাবিক বর্ধনঃ
১. ইসলামী সংগঠনের ক্রমবিকাশের জন্য প্রয়োজন নিরলস কর্মী বাহিনী
২. কর্মীদের মান ও জনগনের ধারনা বদলানোর জন্য প্রয়োজন সময়
৩. আল্লাহ কুরআনে এর ক্রমবিকাশের চারটি পর্যায় উল্লেখ রয়েছে
(ক) অংকুর বের করা  
(খ) শক্তি অর্জন করা   
(গ) মোটা-তাজা হওয়া  
(ঘ) কান্ডের উপর দৃঢ়ভাবে দাড়িয়ে যাওয়া।

মধ্যবর্তী স্তরের সংগঠনের কাজঃ
১. উর্ধ¦তনসংগঠনের সাথে সম্পর্কিত কাজ
২. নিজস্ব স্তরে কারনীয় কাজ
৩. অধঃস্তন সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত কাজ

No comments:

Post a Comment

আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।