লেখকঃ এ.কে.এম.নাজির.আহমদ
প্রকাশনীঃ বাংলাদেশ
ইসলামিক সেন্টার
নোটটি তৈরী করেছেনঃ মাসুদ পারভেজ (চট্টগ্রাম মহানগরী)
➧ অর্থঃ
সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ
সংঘবদ্ধ করণ।
➧ ইসলামী সংগঠনের সংজ্ঞাঃ
ইকামাতে দ্বীনের কাজ
আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন।
ইসলামী সংগঠনের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইকামাতে দীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরয।
সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া
আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দীন কায়েম হতে পারে না। সংগঠিত উদ্যোগ ছাড়া ইসলামের
শ্রেষ্ঠত্ব ও সৌন্দর্য বিকাশ সাধন সম্ভবপর নয়।
➧আল্লাহর নির্দেশঃ
"তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধর।" (আল
ইমরান-১০৩)
➧ রাসুল (স:) এর বাণীঃ
ক. তিন জন হলেও জামায়াতী
জীবন
খ. জান্নাতের স্বাদ
উপভোগের জন্য
গ. সংগঠন সম্পর্কে ওমরের
বার্তা
১. ইসলামী নেতৃত্ব।
২. ইসলামী কর্মী বাহিনী।
৩. ইসলামী পরিচালনা বিধি।
➧ সমাজের চাকা গতিশীল।
➧ অশান্তির মূল কারন ইসলামের অনুপস্থিতি।
➧ বিপ্লবের জন্যই ইসলামের আর্বিভাব।
➧ বিপ্লবের পন্থা বাতলানোর জন্য নবী রাসুল।
➧ দাওয়াত, সংগঠন, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সমাজ বিপ্লব ও শান্তি প্রতিষ্ঠা।
১. আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের
উপায় মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য সাধন আর তা আব্দ হিসাবে আল্লাহর বিধান মুতাবেক আত্মগঠন, পরিবার
গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন।
২. ইসলামী রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে হতাশার কোন কারণ নেই।
ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামোঃ
➧ নেতা একজন।
➧ আমীর নির্বাচনের মাধ্যমে হয়।
➧ প্যানেল থাকতে পারে।
ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনঃ
১. তাকওয়া।
২. যোগ্যতম ব্যক্তি।
৩. ক্যানভাস নেই।
৪. প্রার্থী হওয়া যায় না।
১. জ্ঞানের
ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব।
২. উন্নত
আমল।
৩. নম্র
ব্যবহার।
৪. সাহসিকতা।
৫. সময়ানুবর্তিতা
।
৬. সাংগঠনিক
প্রজ্ঞা।
৭. প্রেরনা
সৃষ্টির যোগ্যতা।
৮. সু-ভাষণ।
৯. নথি
পত্র সংরক্ষনে পারদর্শিতা।
১০. হিসাব সংরক্ষনে
পারদর্শিতা।
ইসলামী নেতৃত্বের প্রধান ভূমিকাঃ
নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে সকল
কাজ আবর্তীত হয়ঃ
১. তাকওয়া ।
২. উখুয়াত
সৃষ্টি।
৩. ত্যাগের অনুপ্রেরনা সৃষ্টি।
৪. কর্মীদের
মাঝে ইনসাফ কায়েম।
৫. বিপদ মুসিবতে ধৈর্য
অবলম্বনের তালীম।
৬. আল্লাহর
সন্তোষ অর্জনকেই সকল তৎপরতার কেন্দ্রবিন্দু রূপে উপস্থাপন।
১. জবাবদিহী করতে প্রস্তুত
থাকতে হবে।
২. জবাবদিহী করতে হবে দুই
স্থানে।
➧ নির্বাচক মন্ডলির উপর।
➧ আল্লাহর নিকট।
১. আল্লাহর আনুগত্য।
২. রাসুলের আনুগত্য।
৩. উলিল আমর বা
দায়িত্বশীলদের আনুগত্য
ইসলামী সংগঠনে পদলোভীর
স্থান।
১. আত্মপূজারী বা
স্বার্থান্ধ ব্যক্তিই নেতৃত্বের লোভ পোষন করে।
২. পদ চাইলে তাকে দেয়া
যাবেনা।
৩. দুইজন বাইয়াত গ্রহন করা
হয়, তখন যার বাইয়াত শেষে গ্রহন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়াই কর।
৪. ইসলামী সংগঠন বা
রাষ্ট্রের জনসমর্থনপুষ্ট একজন আমীর বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে
আমীর স্বীকার করা যাবে না।
৫. পদলোভী ব্যক্তি আখিরাত
বরবাদ করে।
➧ ইসলামী আন্দোলনের প্রধান বৈশিষ্ট্য পরামর্শ দেয়া ও নেয়া।
➧ পরামর্শের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও পদ্ধতি।
ইসলমী সংগঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ
১. পূর্ব প্রতিষ্ঠিত কোন
ধারণা নিয়ে সভায় আসবেন না।
২. ঈমান, ইলম
ও নিরপেক্ষ চিন্তা-ভাবনা নিয়ে; লোভ, ভয়
কোন্দলে পড়ে নিজের প্রকৃত মনোভাবের বিপরীত মত ব্যক্ত করবেন না।
৩. মনোযোগ সহকারে একে
অন্যের বক্তব্য শ্রবন ও সঠিক অর্থ অনুধাবন।
৪. নিঃসংকোচে মতামত পেশ।
৫. উত্তমের মোকাবেলায় মতের
কুরবানী।
৬. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তের
চেষ্টা।
৭. সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত
নিতে না পারলে অধিকাংশ মতের আলোকে দ্বি-মত পোষন ভুলে যাবেন।
৮. আমীর দ্বীমত পোষন করলে
সদস্যদের সাথে সাধারণ পরামর্শ।
১. ভুল ভ্রান্তি হওয়া এর
স্বাভাবিক সংশোধনের জন্য এহতেসাব।
২. এহতেসাব হলো মুমিনদের
জন্য আয়না স্বরূপ।
৩. এহতেসাব এর প্রয়োজনীয়তা
ও পদ্ধতি।
১. আদর্শের আলোকে মন
মানসিকতা গঠন।
২. ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন
সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দান।
৩. ইসলামের বুনিয়াদী
নির্দেশগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার জন্য উদ্বুদ্ধকরণ।
৪. মর্ম উপলদ্ধি করে
নিয়মিত আল-কুরআন ও আল-হাদীস অধ্যয়নে উদ্বুদ্ধকরণ।
৫. জামায়াতের সাথে সালাত
আদায় করতে উদ্বুদ্ধকরণ।
৬. আত্মসমালোচনায়
উদ্বুদ্ধকরণ।
৭. দাওয়াতী কাজে
উদ্বুদ্ধকরণ।
৮. দাওয়াতী কাজে সহযোগিতা
দান।
৯. দাওয়াতী কাজের রিপোর্ট
গ্রহণ।
১০. ইনসাফ ফী
সাবীলিল্লাহ-র জন্য উদ্বুদ্ধকরণ।
১১. সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে
উদ্বুদ্ধকরণ।
১২. সময় সচেতনতা সৃষ্টি।
১৩. পরিচ্ছন্ন মনের
অধিকারী হওয়ার জন্য। উদ্বুদ্ধকরণ।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।