খিলাফাত ‘আলা মিনহাজিন্ নাবুওয়াত’ থেকে
সরে যাওয়ার বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম আওয়াজ তোলেন আল হুসাইন ইবনু আলী (রা)।
এই বিচ্যুতিতে হিজাযের লোকেরা দারুণভাবে
বিক্ষুব্ধ ছিলেন।
ইরাক থেকেও অনুরূপ মনোভাব প্রকাশ পেতে থাকে। শত
শত বিশিষ্ট ব্যক্তি আল হুসাইন ইবনু আলীকে (রা) কুফা যাওয়ার জন্য চিঠির মাধ্যমে
দাওয়াত দিতে থাকেন।
তিনি কুফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
আল হুসাইন ইবনু আলী (রা) ইরাকের ফোরাত নদীর
তীরবর্তী কারবালা নামক স্থানে কুফাস্থ গভর্ণর উবাইদুল্লাহ ইবনু যিয়াদের প্রেরিত
কয়েক হাজার সৈন্যের মুখোমুখি হন।
তাঁর সংগী ছিলেন পরিবারের সদস্য ছাড়া চুয়াত্তর
জন। তাঁর ওপর এবং খোদ আল হুসাইন ইবনু আলী (রা ওপর ঝাঁকে ঝাঁকে তীর বর্ষণ করা হয়।
তীর বিদ্ধ রক্তাক্ত শরীর নিয়ে তিনি মাটিতে
লুটিয়ে পড়েন।
তাঁর দেহের ওপর ঘোড়া দাবড়ানো হয়। দেহ থেকে তাঁর
মাথা কেটে নেওয়া হয়।
এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে খৃস্টীয় ৬৮০ সনে, হিজরী
৬১ সনে।
জীবন দিয়ে আল হুসাইন ইবনু আলী (রা) বিচ্যুতির
বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শিক্ষা দিয়ে গেলেন।
যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনঃ এ কে এম নাজির আহমদ রচিত বইডি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।