সকল ধর্ম ও সকল দেশের মানুষই তাদের কাজগুলো নিজ নিজ নিয়মে
করে থাকে। ঐ নিয়মগুলোই হলো সংস্কৃতি। বাংলায় কৃষ্টি শব্দটিও এ অর্থেই ব্যবহার করা
হয়। ইংরেজিতে Culture, সে হিসেবেই মুসলিম কালচার, হিন্দু কালচার, খ্রিস্টান কালচার ইত্যাদি বলা হয়। দেশ
হিসেবেও আমেরিকান কালচার, জাপানি কালচার, চাইনিজ কালচার ইত্যাদি নামে পরিচিত।
এর দ্বারা বোঝা গেল, এক জাতি থেকে অন্য জাতির মধ্যে জীবনযাপনের নিয়মে যে তফাৎ
আছে ঐ তফাৎটাই সংস্কৃতি বা কালচার। খায় সবাই। খাওয়াটা সংস্কৃতি নয়। খাওয়ার নিয়মটাই
সংস্কৃতি। সব মানুষকে যা কিছু করতে হয় তা করার নিয়ম বা পদ্ধতি দেখেই বলা যায়- কে
কোন্ কালচারের লোক, কে কোন্ জাতির মানুষ। এভাবেই মানুষের চালচলন
থেকে তার সংস্কৃতি কী তা জানা যায়।
সংস্কৃতি কাকে বলে- এ নিয়ে শিক্ষিত মহলে
বিরাট তর্ক-বিতর্ক চলে। এ বিতর্কে সাধারণ জনগণের কোনো আগ্রহ থাকার কথা নয়। তাই
অপ্রয়োজনীয় আলোচনায় যাওয়ার কোনো দরকার নেই। অতি সহজ কথায় আমরা বুঝে নিলাম, মানুষ সকল কাজ-কর্মে ও চলায়-বলায় যেসব নিয়ম-কানুন মেনে চলে
তা-ই সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও কালচার।
যারা আল্লাহকে একমাত্র হুকুমকর্তা প্রভু, রাসূল সা.-কে একমাত্র আদর্শ নেতা, আখিরাতের জীবনে সাফল্য-লাভকেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বলে বিশ্বাস করে দুনিয়ার সব কাজ-কর্ম করে তারা আল্লাহ ও রাসূলের শেখানো নিয়মেই করে থাকে। এসব বিশ্বাসই সংস্কৃতির মূল। যারা এসব বিশ্বাস করে না তারা যে রকম বিশ্বাস করে তাদের কাজের নিয়ম সে রকম হওয়ার কথা। তাদের সংস্কৃতির মূল ভিন্ন। ঐ মূলটুকুকেই বলা হয় সভ্যতা বা Civilization. তাই ইসলামী সভ্যতার ভিত্তিমূল হলো তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত। এ তিনটি মূলের ভিত্তিতে যাদের জীবন গড়ে ওঠে তারাই মুসলিম জাতি। তাদের মূলকেই বলে ইসলামী সভ্যতা। এ সভ্যতার ভিত্তিতেই ইসলামী সংস্কৃতির জন্ম হয়।
- অপসংস্কৃতির বিভিষিকাঃ জহুরী
- ইসলামে শিক্ষা ও সংস্কৃতিঃ এ কে এম নাজির আহমদ
- ইসলামে শিক্ষা ও সংস্কৃতিঃ আবুল হোসেন
- ইসলামী সংস্কৃতি ও আধুনিক সংস্কৃতি: একটি পর্যালোচনা
- ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথাঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
- ইসলামী সংস্কৃতিতে পণ্য বিনিময় ও স্টক এক্সচেঞ্জঃ এম আকরাম খান
- ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতিঃ আবুল কালাম আযাদ আনোয়ার
- কুরআনের শিক্ষা ও সংস্কৃতিঃ আব্দুল মতিন জালালাবাদী
- ঢাকার সমাজ ও সংস্কৃতিঃ অনুপম হায়াৎ
- ভারতীয় সংস্কৃতিতে মুসলিমদের অবদানঃ ড. মুহম্মদ এনামুল হক
- মধ্যবিত্ত সমাজের বিকাশ সাংস্কৃতি রূপান্তরঃ আব্দুল মওদূদ
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমাজ ও সংস্কৃতিঃ মুহাম্মদ আব্দুল হালিম
- শব্দ সংস্কৃতির ছোবলঃ জহুরী
- শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহীম
- শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ আব্দুস শহীদ নাসিম
- শিক্ষা সংস্কৃতি রাজনীতিঃ ড. আব্দুস সাত্তার
- শিল্প সংস্কৃতি সভ্যতাঃ ইব্রাহীম মন্ডল
- সমাজ সংস্কৃতি সাহিত্যঃ ড. হাসান জামান
- সংস্কৃতিক সমাজ তত্বঃ কার্ল ম্যানহাইম
- সংস্কৃতির তিন নকিবঃ মোশাররফ হোসেন খান
- সাহিত্য সংস্কৃতি (সিরাতুন্নবী সংখ্যা) ২০০১
- সাহিত্য সংস্কৃতি (সিরাতুন্নবী সংখ্যা) ২০০২
- সাহিত্য সংস্কৃতি (সিরাতুন্নবী সংখ্যা) ২০০৩
- রাজনীতি শিক্ষা সংস্কৃতিঃ বদর উদ্দিন উমর
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।