বুজুর্গ একটি খানকার প্রধান। তিনি বছরের প্রতি রামাদ্বানে একটি রাত তার নির্বাচিত অনুসারীদের নিয়ে জড়ো হোন। কিছু নাসিহত করেন। তারপর তার অনুসারীদের নিয়ে তার মালিকের সমীপে মুনাজাত করেন। তিনি কাঁদেন, অনুসারীদের কাঁদান।
গত বছর করোনার কারণে
তিনি তার অনুসারীদের থেকে
ছিলেন দূরে বহু দূরে। তাই তার অনুসারীদের মাঝে
উনি থাকতে পারেননি। এই বার তিনি
আবার ফিরে এসেছেন তার অনুসারীদের
মাঝে।
প্রতি বছরের ন্যায় এই রামাদ্বানে
তিনি অনলাইনে মিলিত
হলেন অনুসারীদের
নিয়ে। প্রতিবছর ৫০ থেকে
৭০জন সুযোগ পেলেও এবার
সুযোগ পেলেন দেড় শতাধিক। কিন্তু এবার তিনি তার ব্যতিক্রম
করলেন।
কি ব্যতিক্রম? প্রতি বছর তিনি
মুনাজাতে কাঁদেন, তাঁর অনুসারীরাও
মুনাজাতে কাঁদে। এবার
তিনি তার দেয়া নসহিত
সমূহ বলতে গিয়েই কাঁদলেন, কাঁদালেন
তাঁর অনুসারীদের। কিন্তু
কেন কাঁদলেন এবং কাঁদালেন? এর উত্তরে
বলতে হয় কিছু কথা।
এই খানকাটি উনার নয়। বরং উনি এখানে গদিনশীন। ১৯৮৩ সালে প্রবাসের খেটে
খাওয়া মানুষদের নিয়ে এখানে
দুইটা খানকা গড়ে তুলা
হয়। একটা শহর কেন্দ্রীক
আর অপরটা শিল্প নগরী
কেন্দ্রীক। সেই দুই খানকার
উদ্যোক্তাদের একজন চলে গেছেন
ওপারের সুন্দর জীবনে। আর আরেকজন
এখনো বেঁচে আছেন, তবে বসবাস করছেন সত্য ও সুন্দরের সাথে সাত
সমুদ্র তেরনদীর ওপারে। কিন্তু খানকা দূ’টি ডালপালা
মেলে হয়েছে সমৃদ্ধ। দুইটা
থেকে আজ প্রায় দেড়শত
ছোট ছোট খানকার বুজুর্গ
এখন একজন। দেড় শতাধিক
খানকা চলে এই বুজুর্গের
পরিচালনায়। সেই খানকা
গুলো থেকে বাঁচাই করে অনুসারীদের
নিয়ে আসেন রামাদ্বানের গভীর
রজনীতে প্রতি বছর। নসিহত
করেন, দোয়া করেন। প্রশ্ন
থেকে গেল কেন কাঁদলেন
এবং কাঁদালেন মুনাজাতে নয়, নসিহতে?
হ্যাঁ! তিনি নসিহতের সময়ই
কাঁদলেন এবং তাঁর অনুসারীদের
কাঁদালেন। তিনি তার নসিহতের
শুরুতেই বললেনঃ আমরা শুরু
করেছিলাম ১৯৮৩ সালে। ৩৮ বছর চলে গেছে। এই সময়ে আমাদের অনেক
সংগী সাথী বেড়েছে। আমাদের
সংখ্যা অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু আমাদের সংসার বড় হওয়ার
সাথে সাথে আমাদের দূর্বলতাও
বেড়েছে। আমাদের মধ্যে
অনেক দূর্বলতা রয়েছে। তার মধ্যে
সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হচ্ছেঃ
আত্মশুদ্ধির ঘাটতি। আমাদেরকে
এই দূর্বলতাকে কাটিয়ে উঠতে
হবে।
আত্মশুদ্ধির ঘাটতি গুলো এক এক করে তিনি
স্ববিস্তারে উল্লেখ করলেন তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে। অনুসারীদের জাগিয়ে তুললেন দীল
উজাড় করা আত্মসমালোচনায়। উপস্থিত সকল অনুসারী নিজের মান আর আমলের অবস্থান উপলব্দি
করে ভয়ে কুকিয়ে গেলেন। নিজের অবস্থান, আল্লাহর
পাকড়াও ইত্যাদি চিন্তা করতে করতে সবাই নিজ থেকে ফুফিয়ে কেঁদে উঠলেন।
বিস্তারিত পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।