প্রশ্নোত্তরঃ
যুগে যুগে দাওয়াতী দ্বীনের কাজে মহিলাদের অবদান-মাসুদা সুলতানা রুমী
০০১. ‘দায়ী ইলাল্লাহ’
শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর
পথে দাওয়াত দানকারী।
০০২. ইবলিসের সমস্ত কাজেই পুরুষের সাথে নারীরা সমান
ভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু অনেকেই
জানে না-কোন বিষয়টি?
উত্তরঃ আল্লাহর
দিকে দাওয়াত দেওয়অ নারী-পুরুষ
উভয়েরই দায়িত্ব।
০০৩. মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই
কখনও পুরুষের সমান
সমান আর কখনও পুরুষের চেয়ে বেশী যে
কাজটি করেছে নারীরা-তা
কি?
উত্তরঃ দায়ী
ইলাল্লাহর কাজ।
০০৪. নারীরা দায়ী
ইলাল্লাহর যে কাজ
করেছে, তা আমরা জানিনা
কেন?
উত্তরঃ বর্তমান
শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই কাহিনী, সেই ইতিহাস
অনুপস্থিত-তাই।
০০৫. দুর্ধর্ষ মঙ্গোল
জাতি কোথা থেকে উঠে
আসে?
উত্তরঃ গোবী
মরুভূমি থেকে।
০০৬. দুর্ধর্ষ মঙ্গোল
জাতি ইসলাম গ্রহণ
করেছে কাদের দাওয়াতে বা ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়?
উত্তরঃ মুসলিম
নারীদের।
০০৭. চেংগিস খানের
নাতির নাম কি? তিনি
কোথায় আক্রমন করেন?
উত্তরঃ হালাকু
খান। বাগদাদ আক্রমন
করেন।
০০৮. বিশ লাখ
মানুষের মাঝে মাত্র ৪
লাখ জান নিয়ে পালাতে
সক্ষম হয় কার আক্রমনের মোকাবেলায়?
উত্তরঃ হালাকু
খানের।
০০৯. “তোমরা
আল্লাহর গযবকে ভয়
করো, তাই না? আমি
তোমাদের কাছে আল্লাহর গযব
হয়ে এসেছি” – এটি
কার কথা?
উত্তরঃ চেংগিস
খানের কথা।
০১০. চেংগিস খান
ও মঙ্গোলদের পরবর্তী মুসলিম রূপ কোন
বংশ?
উত্তরঃ মোঘল
বংশ।
০১১. কারা শীরাদেবীর মতো আত্মহত্যার পথ
বেছে না নিয়ে সবর
করেছে?
উত্তরঃ হালাকু
খানের বাহিনীর হাতে বন্দি
মুসলিম নারীরা।
০১২. কাদের প্রচেষ্টায় মাত্র ২০ বছরের
ব্যবধানে গোটা মঙ্গোল
জাতি ইসলামের দাওয়াত
পায়?
উত্তরঃ হালাকু
খানের বাগদাদ আক্রমনে বন্দি
হওয়া মুসলিম নারীদের প্রচেষ্টায়।
০১৩. আজকের
নারী সমাজের দায়ী
ইলাল্লাহর দায়িত্বপালনের সীমাবদ্ধতা ও জ্ঞানের স্বল্পতা দূর করতে একটাই
রাস্তা। তা কি?
উত্তরঃ আল কুরআন, আল হাদীস, ইসলামী
সাহিত্য ও ইতিহাস বেশী
বেশী করে অধ্যয়ন করা।
০১৪. ফরযকে যে
অমান্য করে তাকে কি
বলা হয়, আর
যে অস্বীকার করে
তাকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ অমান্য
করলেঃ ফাসেক, অস্বীকার করলেঃ
কাফের।
০১৫. দ্বীন শব্দটি
আল কুরআন, হাদীস
ও আরবী সাহিত্যে কয়টি
অর্থ বহন করে এবং
কি কি?
উত্তরঃ ৪টি। ১.
প্রভূত্ব, প্রতিপত্তি, আধিপত্য বা কর্তৃত্ব-কোন ক্ষমতাসীনের
পক্ষ থেকে। ২. বন্দেগী
বা দাসত্ব ও আনুগত্য। ৩. নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন, বিধি-বিধান। ৪.
ফায়সালা, প্রতিফল, পরিণাম, প্রতিদান।
০১৬. “দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে একমাত্র আল্লাহর জন্য খালেস করা
ছাড়া তাদেরকে অন্য
কিছুর নির্দেশ দেওয়া
হয়নি” এখানে দ্বীন
শব্দটি কোন অর্থে বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ ১. প্রভূত্ব, প্রতিপত্তি, আধিপত্য
বা কর্তৃত্ব-কোন ক্ষমতাসীনের
পক্ষ থেকে। ২. বন্দেগী
বা দাসত্ব ও আনুগত্য।
০১৭. “তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন,
আর আমার জন্য আমার
দ্বীন।” এই
আয়াকে দ্বীন অর্থ
কি?
উত্তরঃ আইন, বিধান, নিয়ম-কানুন, শরীয়ত, জীবন
ব্যবস্থা রাষ্ট্র ব্যবস্থা।
০১৮. “তুমি
কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছ
যে পরকালের শুভ
প্রতিফল ও শাস্তিকে অবিশ্বাস করে” এখানে দ্বীন
শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ প্রতিফল, প্রতিদান, বদলা।
০১৯. ‘কর্মের প্রতিফল অবশ্য অবশ্যই হবে’ এখানে
দ্বীন শব্দটি কি
অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তরঃ হিসাব-নিকাশ, ফায়সালা, প্রতিদান
ও কর্মফল অর্থে।
০২০. দ্বীন শব্দের
সবক’টি অর্থের দিকে
গুরুত্ব দিয়ে সেদিকে মানুষকে আহবান করার নাম
কি?
উত্তরঃ দাওয়াতে
দ্বীন।
০২১. খলিফা বা
প্রতিনিধির দায়িত্বই হলো
কি?
উত্তরঃ ইবাদত
বা দাসত্ব করা।
০২২. শেষ
নবী মুহাম্মদ সা. যে
কাজ যেভাবে করার
নির্দেশ দিয়েছেন, সেই
কাজ সেভাবে করার
নাম কি?
উত্তরঃ ইবাদত।
০২৩. নবী-রাসূলের প্রথম
ও প্রধান কাজ
কি ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর
দ্বীনের দাওয়াত দুনিয়ার সকল মানুষের
কাছে পৌছে দেয়া।
০২৪. যারাই নবী
রাসূলের দাওয়াতে সাড়া
দিয়ে এই দ্বীনকে গ্রহণ
করেছেন তারাই মনেপ্রাণে কি বুঝে নিয়েছেন?
উত্তরঃ এই দাওয়াতের
কাজই জীবনের একমাত্র ব্রত।
০২৫. তিন
বছরের গোপন দাওয়াতে কতজন
মুসলমান হয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৩৩ জন।
০২৬. আপনি মুসলমান,
আমি মুসলমান-কিসের ফলশ্রুতিতে?
উত্তরঃ দাওয়াতের।
০২৭. “তোমরা
যারা এখনে উপস্থিত আছ
তারা এ দাওয়াত পৌছে
দেবে তাদের কাছে
যারা এখানে উপস্থিত নেই. . “ এই
কথাটা কে কখন বলেছিলেন?
উত্তরঃ রাসূল
সা.
বিদায় হজ্জের সময়।
০২৮. কোন
দায়িত্ব পালন করাই হলো
সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত বা
দাসত্ব?
উত্তরঃ দাওয়াত
দানের দায়িত্ব।
০২৯. শেষ
নবী সা. এর
সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা
যা জানতে পারি,
তার ভিত্তিতে মানুষ
আল্লাহকে কি রূপে
মানবে?
উত্তরঃ আল্লাহকে
ইলাহ, রব,
মাবুদ, শাসক, মালিক, পথ প্রদর্শক, আইন রচয়িতা, হিসাব
গ্রহণকারী, প্রতিফলদাতা রূপে মানবে।
০৩০. শেষ নবী
সা. এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা যা জানতে
পারি, তার ভিত্তিতে মানুষ
নিজেকে কিভাবে গড়ে
তুলবে?
উত্তরঃ নিজের
সমগ্র জীবনকে ব্যক্তিগত, সামাজিক, নৈতিক ধর্মীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এককথায়
তার সমগ্র দিক একমাত্র
আল্লাহর দাসত্বের ভিত্তিতে গড়ে তুলবে।
০৩১. ইসলামের বিপরীত অন্য কোন
পথ মানাই হলো
কার পথ?
উত্তরঃ শয়তানের
পথ।
০৩২. ঈমান আনার
পর যারা শয়তানের দেখানো
পথে চলে তাদেকে কি
বলে?
উত্তরঃ মুনাফিক।
০৩৩. কারা মুনাফিক হয়না?
উত্তরঃ কোন কাফের
বা মুশরিক।
০৩৪. মুসলমানরা যদি
ঈমান অনুযায়ী কাজ
না করে, তাহলে
তারা কি হয়?
উত্তরঃ মুনাফিক।
০৩৫. নেতৃত্বের পরিবর্তন নাহলে কিসের
পরিবর্তন হয়না?
উত্তরঃ সমাজের
পরিবর্তন।
০৩৬. যারা
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের দাওয়াত কবুল করল
এবং সেই অনুযায়ী মুনাফিকী ত্যাগ করলে, তাদেরকে নিজের ও মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য কি করতে
হবে?
উত্তরঃ খোদাদ্রোহী
অসৎ নেতৃত্ব খতম করে সৎ ও খোদাভীরু
নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা
চালানোর দাওয়াত দিতে হবে।
০৩৭. দ্বীনকে রজ্জু
কি কারণে বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ কারণ
এই সূত্র দ্বারাই ঈমানদার
লোকদের পরস্পর মিলিত করে আল্লাহর
বান্দাদের একটি সংসংবদ্ধ দল তৈরী
হয়।
০৩৮. যারা নেকী
ও কল্যাণের দিকে
ডাকবে, ভাল ও সত্য
কাজের নির্দেশ দেবে
িএবং পাপ ও অন্যায়
কাজ থেকে বিরত রাখবে। যারা এই কাজ
করবে, তারা কি পাবে?
উত্তরঃ সফলতা।
০৩৯. রাসূল
সা. তাঁর সুযোগ্য সাহাবীদের দাওয়াতে এমন একদল
জীবন বাজি রাখা জনগোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল, যাদেরকে কুরআনের ভাষায় কি
বলা হয়?
উত্তরঃ ‘বুনিয়ানুম মারসুস’।
০৪০. মুমিন
জনগোষ্ঠীকে একজন থেকে
আর একজনকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। এই বিষয়টা বুঝাতে
রাসূল সা. যে
উদাহরণ দিয়েছেন, তা
কি?
উত্তরঃ এদের
উদাহরণ মানব দেহের মত। এটা আঙ্গুলৈ ব্যাথ্যা পেলে যেভাবে সারা
দেহ টের পায় তেমনি
সমাজের কেউ কষ্ট পেলে
পুরো সমাজটা যেন সেই কষ্ট
অনুভব করে।
০৪১. সমাজে
হৃদ্যতা, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব,
মমত্ব কখণ আসবে?
উত্তরঃ যখন গোটা
সমাজ আল্লাহর রঙে রঞ্জিন
হবে।
০৪২. ইসলামী
দল থেকে কোন ব্যক্তি যদি একবিঘত পরিমাণ
দূরে সরে যায় এবং
এ অবস্থায় তার
মৃত্যু হয়, তবে
তার মৃত্যু কি
ধরণের মৃত্যু হবে?
উত্তরঃ জাহেলিয়াতের
মৃত্যু।
০৪৩. আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান
ইসলামকে আল্লাহর জমিনে
প্রতিষ্ঠিত করার জন্য
চেষ্টা ও সাধনা করার
নাম কি?
উত্তরঃ ইসলামী
আন্দোলন।
০৪৪. যখনই কোন
ব্যক্তি নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করবে,
তখনই তাকে
কি মনে করতে হবে?
উত্তরঃ সে বিশ্বব্যাপী
আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মী।
০৪৫. যখনই
কোন ব্যক্তি নিজেকে
মুসলমান বলে দাবী করবে,
তখন তার উপর ৩টি
দায়িত্ব অর্পিত হয়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সুস্পষ্ট
ভাবে ইসলামকে জানতে হবে। ২.
সঠিক ভাবে ইসলামের আদেশ-নিষেধাজ্ঞা
গুলো মানতে হবে। ৩. অপরের
কাছে ইসলামের শিক্ষাকে পৌছা
দিতে হবে।
০৪৬. জানার একটা
প্রধান মাধ্যম কি?
উত্তরঃ আল কুরআন
ও হাদীস গ্রন্থসমূহ মনোনিবেশ সহকারে
অধ্যয়ন করা।
০৪৭. বিদায়
হজ্জের ভাষণে রাসূল
সা. ২টি জিনিসকে আঁকড়ে
ধরতে বলেছেন।
জিনিস ২টি কি কি?
উত্তরঃ আল কুরআন
ও আমার সুন্নাহ বা হাদীস।
০৪৮. মানুষের মধ্যেই
ইবলিস তার কর্মী তৈরী
করে ফেলেছে, যাদের
কাজ কি?
উত্তরঃ কুরআন
বোঝা ও জানার কাজে
মানুষকে বাধা দেয়া।
০৪৯. মুমিন
পুরুষ ও মহিলাগন পরস্পর
কি?
উত্তরঃ বন্ধু
ও সহযোগী।
০৫০. সমাজ সংসার
নাবীরুষের যৌথ কি?
উত্তরঃ সংগঠন।
০৫১. আমরা কি
কারণে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য
হারিয়েছি?
উত্তরঃ ‘পড় তোমার
প্রভূর নামে’ এই নির্দেশ
অমান্য করার কারণে।
০৫২. ফেরাউনের স্ত্রীর নাম কি ছিল?
উত্তরঃ আসিয়া।
০৫৩. মুসা আ. এর
দাওয়াতের জবাবে ফেরাউন
কি বলেছিল?
উত্তরঃ “আমিই বর। আমার উপর আর কোন রব আছে বলে আমার
জানা নেই।”
০৫৪. হযরত আসিয়া-এর
মেয়ের নাম কি ছিল?
উত্তরঃ মাশেতা।
০৫৫. একজন
মহিলা, যিনি মায়ের পদাংক
অনুসরণ তথা আল্লাহর দ্বীনের পথে থেকে পিতার
হাতে নির্যাতিত ও
নিহত হন। কে
তিনি, তার মায়ের নাম
কি, বাপের নাম কি?
উত্তরঃ তিনিঃ মাশেতা, মাঃ আসিয়া, বাবাঃ
ফিরাউন।
০৫৬. মিরাজের সময়
রাসূল সা. একটি
সুন্দর বাড়ী দেখে জিজ্ঞেস করেনঃ এই বাড়ীটি
কার? বাড়ীটি কার
ছিল?
উত্তরঃ ফেরাউন
কন্যা মাশেতার।
০৫৭. “তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আমাদের ধ্বংস হতে
দেবেন না” এটা
কার উক্তি ছিল?
উত্তরঃ হযরত
হাজেরা।
০৫৮. বিপদে, মুসিবতে,
সংকটে, সংঘাতে, সংঘর্ষে মহানবী সা. এর
পাশে থেকে কাঁকে সাহস
ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তিনি কে?
উত্তরঃ হযরত
খাদিজা।
০৫৯. কাফিরদের কোন
কথা বা আচরণ যখন
আমার নিকট অসহনীয় মনে
হতো কথন আমি তা
তাকে বলতাম।
সে আমাকে এমন
ভাবে সাহস যোগাত যে, আমর
অন্তর শান্ত হয়ে
যেত। আর এমন
কোন দূঃখ ছিলনা, যা
তার কথায় অবসান ও
হালকা হতো না।
কে সে?
উত্তরঃ হযরত
খাদিজা।
০৬০. “… আপনি
তাঁকে আল্লাহর তরফ
থেকে ও আমার তরফ
থেকে সালাম পৌছে
দেবেন” কে আমার তরফ
থেকে সালাম পৌছাতে
বললেন, কাকে সালাম পৌছাতে
বললেন?
উত্তরঃ হযরত
জিবরীল আ. হযরত খাদিজা রা.কে।
০৬১. ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তিনি একজন বৃদ্ধা ছিলেন। আল্লাহ কি
তাঁর পরিবর্তে আপনাকে
আরও উত্তম স্ত্রী
দেননি? এ কথাটি কে
বলেছেন? বৃদ্ধা স্ত্রী
বলতে কাকে বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ বলেছেনঃ
হযরত আয়েশা রা. আর বৃদ্ধা
স্ত্রীঃ হযরত খাদিজা রা.
০৬২. বনী ইসরাঈলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী
কে? মুহাম্মদ সা. এর
উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী কে?
উত্তরঃ মরিয়ম
ও খাদিজা।
০৬৩. কে
এই মহিলা, বড়
বড় সাহাবীরা যার
কাছে ফরায়েজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন?
উত্তরঃ হযরত
আয়েশা রা.
০৬৪. কোন সে
সাহাবী, সকল পুরুষ ও
নারীর এলেম একত্র করা
হলে যার এলেম তাদের
সবার এলেমের চেয়ে
বেশী হবে?
উত্তরঃ হযরত
আয়েশা রা.
০৬৫. ফিকহ, তিব
ও কবিতা সম্পর্কে তার চেয়ে বেশী
জ্ঞানী আর কেউ ছিলেন
না, কে সেই সাহাবী?
উত্তরঃ হযরত
আয়েশা রা.
০৬৬. সুন্নাতে নব্বীর
বড় আলেম, দ্বীনের সূক্ষ তত্ত্বে বিশেষজ্ঞ,
কালামে মজীদের আয়াতের
শানে নুযুল ও
ফরায়েয সম্পর্কে বেশী
জ্ঞানের অধিকারী তার
চেয়ে বেশী কেউ ছিলেন
না, তিনি কে?
উত্তরঃ হযরত
আয়েশা রা.
০৬৭. সবচেয়ে বড়
ফকীহ, সবচেয়ে উত্তম
মানুষ এবং লোকদের মধ্যে
সবচেয়ে বড় সুস্থ মতের
অধিকারী কে সে?
উত্তরঃ হযরত
আয়েশা রা.
০৬৮. প্রথম জীবন
উৎসর্গকারীনি সাহাবী কে?
উত্তরঃ হযরত
সুমাইয়া রা.
০৬৯. ধৈয্য ধর। তোমার ঠিকানা
জান্নাত-কাকে উদ্দেশ্য করে
রাসূল সা. এই
উক্তি করেন?
উত্তরঃ হযরত
সুমাইয়া রা.
০৭০. হযরত সুমাইয়া রা. কার ক্রীতদাসী ছিলেন?
উত্তরঃ আবু হোযায়ফা
বিন মুগীরা মাখজুমীর।
০৭১. আবু
জেহেলের হাতে নির্মম ভাবে
শাহাদাত বরণ করেন এমন
একজন মহিলা সাহাবীর নাম কি?
উত্তরঃ হযরত
সুমাইয়া রা.
০৭২. হযরত সুমাইয়া রা. এর পুরো নাম
কি? তিনি কার আম্মা
ছিলেন এবং কার স্ত্রী
ছিলেন?
উত্তরঃ সুমাইয়া
বিনতে খারাত রা., তিনি হযরত
আম্মার রা. এর মা ছিলেন
এবং সাহাবী ইয়াসির এর স্ত্রী
ছিলেন?
০৭৩. ইসলামের প্রথম
পুরুষ ও প্রথম মহিলা
শহীদের নাম কি?
উত্তরঃ হযরত
ইয়াসির রা. ও হযরত সুমাইয়া
রা.
০৭৪. কোন সাহাবীকে খাতুনে ওহুদ বা
ওহুদ কন্যা বলা
হয়? তিনি কখন ইসলাম
কবুল করেন?
উত্তরঃ উম্মে
আম্মারা রা.। তিনি প্রথম
বাইয়াতে আকাবার পর ইসলাম
কবুল করেন।
০৭৫. “হে আল্লাহর রাসূল, আমার মাতা-পিতা
আপনার জন্য কুরবান হোক, আমার
জন্য দোয়া করুন যেন
জান্নাতেও আপনার সাথে
থাকার সৌভাগ্য হয়” উক্তিটি কার?
উত্তরঃ হযরত
উম্মে আম্মারা রা.
০৭৬. আল্লাহর রাসূল সা. ওহুদের
দিন যানে বামে যেদিকেই নজর দিতেন, শুধু
কাকে লড়াই করতে দেখতেন?
উত্তরঃ হযরত
উম্মে আম্মারা রা.কে।
০৭৭. ওহুদ যুদ্ধে
যার দেহে ১২টি আঘাত
লেগেছিল। ভন্ড নবী
মুলায়লামা কাজ্জাবকে উৎখাতের যুদ্ধে তিনিই আবার
১১টি আঘাত পান।
সে সময় যার ১টি
হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কে সে?
উত্তরঃ হযরত
উম্মে আম্মারা রা.
০৭৮. হযরত আনাস
বিন মালিক রা. এর
আম্মার নাম কি ছিল?
উত্তরঃ উম্মে
সুলাইম রা.
০৭৯. কোন মহিলা
বিয়ের মোহর হিসাবে ইসলাম
গ্রহণকে নির্ধারণ করে
কাকে স্বামী হিসাবে
গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ উম্মে
সুলাইম রা. হযরত আবু তালহাকে।
০৮০. কোন সাহাবীর মা ১০ বছর
বয়সে তাকে রাসূল সা. এর
খেদমতের জন্য পেশ করেন?
উত্তরঃ হযরত
আনাস বিন মালিক রা.
০৮১. হযরত
উমর রা. এর
ইসলাম গ্রহণের পেছনে
ছিল এক অকুতোভয় নারীর
অবদান। কে সেই
নারী?
উত্তরঃ হযরত
ফাতিমা বিনতে খাব্বাব রা.
০৮২. হযরত
উমর রা. রাসূল
সা. মস্তক নিয়ে আসার
জন্য খোলা তরবারী নিয়ে
ছুটেছিলেন। মস্তক
আনতে পারলে পুরস্কার কি নির্ধারিত ছিল?
উত্তরঃ একশত
উট এবং ৪০ হাজার
দেরহাম।
০৮৩. হযরত
উমর রা. এর
বোন ও তার স্বামীর নাম কি ছিল?
উত্তরঃ হযরত
ফাতিমা বিনতে খাব্বাব রা. ও সাঈদ।
০৮৪. হযরত
উমর রা. যখন
ছোট বোন ফাতেমার ঘরে
গেলেন, তখন তারা কুরআনের কোন সূরার আয়াত
তেলাওয়াত করছিলেন?
উত্তরঃ সূরা
ত্বাহা।
০৮৫. রাসূল
সা. মক্কা বিজয়ের পর
সকলকে ক্ষমা করে
দিলেও ১০জনকে ক্ষমা
করেননি। তার মাঝে
একজন আবু জেহেলের পুত্র,
যে মহিলা সাহাবী
উম্মে হাকাম রা. এর
স্বামী। তার নাম
কি?
উত্তরঃ ইকরামা।
০৮৬. ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমাদের বিবাহ সম্পর্ক কি ঠিক আছে? রাসূল
সা.কে এই প্রশ্ন
কে করলেন, তার
স্বামী কে ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত
উম্মে হাকাম রা. তার স্বামী
ইকরামা রা.
০৮৭. আল্লাহর রাসূলের
এমন একজন সাহাবী, ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যিনি ছিলেন ইসলামে চরম
শত্রু। যার কারণে মক্কা বিজয়ের সময় সকলকে সাধারণ ক্ষমা করা হলেও ১০জনকে ক্ষমা করা হয়নি-তিনি তাদের একজন। যিনি আল্লাহর রাসূলের ভয়ে সাগর পথে পলায়নের উদ্দেশ্যে মক্কা
থেকে ইয়ামানে পৌছেছেন। তার স্ত্রী ছিলেন মুমিন। স্বামীর ভালবাসায় তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ৫দিনের রাস্তা ২ দিনে অতিক্রম করে ইয়ামান
সীমান্তে পৌছে স্বামীকে ফিরিয়ে নেন। সেই স্বামী ইসলাম কবুল করেন। কে সেই সাহাবী আর কে তার স্ত্রী?
উত্তরঃ সাহাবী ইকরামা রা. এবং তার স্ত্রী উম্মে হাকাম রা.
০৮৮. হাতেম তাই-এর কন্যার নাম
কি ছিল?
উত্তরঃ সাফনাহ।
০৮৯. একজন মহিলা, যিনি মুসলমানদের কর্তৃক
বন্দি হয়ে আসলে তিনি রাসূল সা. এর সামনে নিজের পিতার মানবিক গুনাবলী
সমূহ বর্ণনা করে নিজের আজাদী প্রার্থনা করেন। রাসূল সা. তার বক্তব্য শুনে
তাকে আজাদ করে দেন। কে সেই মহিলা?
উত্তরঃ সাফনাহ বিনতে হাতেম তাই।
০৯০. “…. কোন সম্ভান্ত মানুষ অপমানিত হলে,
কোন বিত্তবান ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত হলে তার প্রতি ইহসান করো” এটি কার কথা?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর কথা।
০৯১. এমন একজন মহিলা, যার বক্তব্যে
প্রভাবিত হয়ে রাসূল সা. বন্দী হওয়া তাকে এবং তার গোত্রের সকল
বন্দীকে মুক্ত করে দেন। যার প্রচেষ্টায় তার ভাইও ইসলাম কবুল করেন। তিনি কে, তার ভাইয়ের নাম কি?
উত্তরঃ তিনিঃ সাফনাহ বিনতে হাতেম তাই, আর তার ভাই আদী ইবনে
হাতেম তাই।
০৯২. “তুমি উত্তম সওদা করেছো” এই কথা গুলো কে কাকে কখন বলেছিলেন?
উত্তরঃ একথা উম্মে দারদা বলেছিলেন তার স্বামী আবু দারদাকে। যখন আবু দারদা তার ঘরবাড়ী ও বাগান দ্বীনের জন্য বিলিয়ে দিয়ে
সেই কথা স্ত্রীকে বললেন, তখন তিনি উত্তরে এই কথা বলেন।
০৯৩. ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম কি? তাইমিয়া কে ছিলেন?
উত্তরঃ আহমদ তাকিউদ্দিন। আর তাইমিয়া
ছিলেন ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পরদাদী।
০৯৪. কারাগারে রাত দিন বইটির লেখক/লেখিকা কে?
উত্তরঃ জয়নব আল গাজালী।
০৯৫. “তার স্ত্রী ছাড়া তাকে ও তার আহলক আম নাজাত দিলাম”
এখানে তার স্ত্রীর বলতে কার স্ত্রী বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ হযরত লুৎ আ. এর স্ত্রী।
০৯৬. ইসলাম বিদ্বেষী হবার প্রধান কারণ সমূহ কয়টি?
যে কোন ২টি বলুন।
উত্তরঃ প্রধান কারণ ৫টি। ১. আধুনিক সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা। ২. ইসলামের সঠিক চর্চার অভাব। ৩. দাওয়াতী কাজ বন্ধ
হয়ে যাওয়া। ৪. পুরুষদের অনৈসলামী
কর্মকান্ড। ৫. ইসলামী সমজা
তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম না থাকা।
০৯৭. রাসূল সা. এর বক্তব্য অনুযায়ী
দাউস কে?
উত্তরঃ দাউস ঐ পুরুষ যে তার স্ত্রী ও কন্যাকে পর্দায় রাখে না।
০৯৮. পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আদম সন্তানকে এক পা-ও নড়তে দেওয়া হবেনা। প্রশ্ন পাঁচটি কি কি?
উত্তরঃ ১. জীবনটা কোন কাজে অতিবাহতি করেছে। ২. যৌবন কালটা কি কাজে ব্যয় করেছে। ৩. কোন পথে আয় করেছে। ৪. অর্থ-সম্পদ কোন পথে ব্যয় করেছে। ৫. তোমাকে দেয়া নিয়ামত গুলোর হক কিভাবে আদায় করেছো।
০৯৯. আমাদের পরিচয় কিসের জঞ্জালে চাপা পড়ে আছে?
উত্তরঃ অশিক্ষা ও কুশিক্ষার জঞ্জালে।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।