আব্বাজান তাদের সকলকেই দাওয়াত দিয়ে আমাদের বাসায়
একবেলা খাওয়ার আয়োজন করলেন। সাথে সাথে আম্মাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন, আমরা তোমার যে প্লেটগুলোতে সচরাচর
খানাপিনা করি, সেগুলোতেই
খাদ্য পরিবেশন করবে। তোমার বিয়ের ডিনারসেট বের করবেনা আর পানির গ্লাসগুলোও মোতিদার
রুমাল দিয়ে ঢাকবেনা।
আম্মা আক্ষেপ করে বললেন, এতো বড়বড় ওলামায়ে দ্বীন আমার ঘরে আসবেন, আর তাদের সম্মানে আমার ভালো প্লেটগুলোও
বের করবোনা? এ কেমন করে
হয়? আম্মা একটু রেগে বললেন, আচ্ছা- আমরাই যদি আমাদের দীনদার লোকদের
সম্মান না দেই, তাহলে
সাধারণ লোকদের কাছে কিভাবে এটা আশা করবো?
যাই হোক, আম্মা পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে সেদিন সর্বোত্তম বাসন
কোসন দিয়ে সাজিয়ে দিলেন দস্তরখান। মেহমানদারী হলো ভরপুর!
কিন্তু কয়েকদিনের মাঝে কানাকানি ফিস্ফিসানী শুরু হয়ে
গেলো। যার পরিণতিতে তারা জামায়াত থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন! সেই সম্মানিত হযরতরা
তাদের বন্ধুমহলে বলতে লাগলে্ন, মাওলানা মওদূদী আসলে দীনদারের ছদ্মাবরনে দুনিয়াদার মানুষ...
আমার দাদী এসব শুনে বললেন, শরীরের মাপ বুঝে জামা বানাতে হয়।
এ অঘটনের পর আম্মা আর কোনদিন আব্বার সাথে দ্বিমত করে নিজের ইচ্ছাকে কার্যকর করেননি।
আমার আব্বা আম্মা-সাইয়েদা হুমায়রা মওদূদী রচিত বইটি পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।