১. ‘ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ’ বইটির লেখক ও প্রকাশকের নাম কি?
উত্তরঃ লেখক-মাওলানা
মতিউর রহমান নিজামী। প্রকাশক-অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুফ আলী।
২. ইনফাক ফি
সাবিলিল্লাহ বইটি লেখক কত সালে কোথায় কাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯৮৫
সালে রাজশাহী জেলায় দায়িত্বশীল পর্য্যায়ে
কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
৩. ‘ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহ’
বইটিতে আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমানের দাবী এ পুরণের এবং আখেরাতের নাজাতের একমাত্র
উপায় হিসাবে কোন কাজটিকে উল্লেখ করেছেন।
উত্তরঃ জিহাদ
ফি সাবিলিল্লাহ।
৪. জিহাদ ফি
সাবিলিল্লাহর মাধ্যমে আল্লাহ্ তায়ালা ইমানদার বান্দাহদের নিকট কয়টি জিনিসের
কোরবানী দাবী করেছেন এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ২টি
জিনিসের। ১. মাল। ২. জান।
৫. আল্লাহর পথে
বাঁধা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য কারা তাদের মাল খরচ করে?
উত্তরঃ কাফেরগণ।
৬. যারা আল্লাহর
পথে মাল খরচ করে অতঃপর এ কারণে খোটাদেয় না এবং কষ্ট দেয় না, তাদের
রবের নিকট তাদের জন্য যথার্থ প্রতিদান রয়েছে। এ কথাটা আল্লাহ তায়ালা কোন সূরার কত
নম্বর আয়াতে বলেছেন?
উত্তরঃ সূরা
বাকারার ২৬২ নং আয়াতে।
৭. কার তুলনায়
একজন জাহেল দাতা আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয়।
উত্তরঃ একজন
বখিল আবেদের তুলনায়।
৮. যারা আল্লাহর
পথে মাল খরচ করে, তাদের এই খরচকে কিসের সাথে তুলনা করা চলে। যা জমীনে রোপন করার
পর তা থেকে ৭টি ছড়া জন্মে এবং প্রতিটি ছড়ায় কতটি করে দানা থাকে?
উত্তরঃ তাদের
এই খরচকে এমন একটি দানার সাথে তুলনা করা চলে। যার প্রতিটি ছড়ায় একশত টি করে দানা
থাকে।
৯. কোন ব্যক্তি
আল্লাহর নিকটতম, বেহেশতের নিকটতম এবং মানুষেরও নিকটতম আর দোজখ থেকে দূরে থাকে?
উত্তরঃ দানশীল
ব্যক্তি।
১০. ইনফাক শব্দের
অর্থ কি?
উত্তরঃ মাল
খরচ করা।
১১. আল্লাহর পথে
লড়াই বা সংগ্রাম করা কাদের উচিত?
উত্তরঃ যাদের
আখেরাতের বিনিময়ে এই দুনিয়ার জীবনকে বিক্রি করতে পারে।
১২. ইসলামী
আন্দোলনকে আল কুরআনে কি নামে অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তরঃ জিহাদ
ফি সাবিলিল্লাহ।
১৩. ইনফাক ফি
সাবিলিল্লাহর অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর
দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রয়োজন পুরনের উপায় উপকরণ যোগাড় ও এই মহান কাজটি
পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পৃষ্টপোষকতা করার জন্য অর্থ সম্পদ খরচ করা।
১৪. ‘আহবার ও রোহবান’
কাদেরকে বলা হয়?
উত্তরঃ
ইহুদী ও নাসারাদের ধর্মগুরূদের।
১৫. ‘তুমি খরচ কর, তোমার
জন্য খরচ করা হবে’- এ কথা কার?
উত্তরঃ আল্লাহ
তায়ালার।
১৬. খরচের সূচনা
করতে হবে কোথা থেকে?
উত্তরঃ পরিবার
থেকে।
১৭. একজন বখিল
আবেদের তুলনায় আল্লাহর কাছে অধিকতর প্রিয় কে?
উত্তরঃ জাহেল
দাতা।
১৮. ‘ইনফাক’ শব্দটির
মূল ধাতু কি এবং এর অর্থ কি?
উত্তরঃ
نفق
(নাফক) অর্থ সুরঙ্গ।
১৯. ‘চাঁদা’ কোন ভাষার
শব্দ এবং এর অর্থ কি?
উত্তরঃ ফার্সি
ভাষার শব্দ। অর্থ যৎকিঞ্চিত।
২০. ‘এয়ানত’ শব্দটি
কোন ভাষার? এর অর্থ কি?
উত্তরঃ আরবী
শব্দ। অর্থ হলো-সহযোগিতা দান।
২১. আল্লাহর
রাসূলের নিজের হাতে গড়া দলের লোকেরা দুইটি নামে পরিচিত তা কি কি?
উত্তরঃ আনসার
ও মুহাজির।
২২. আল্লাহর
দ্বীনের সংগ্রাম বিজয়ী হবার ক্ষেত্রে বড়
ফ্যাক্টর কোনটি?
উত্তরঃ আল্লাহর
সাহায্য।
২৩. হযরত মুহাম্মদ
সা. এর নবুয়াতের ঘোষণার সাথে সাথেই প্রথম ঈমান আনেন কে?
উত্তরঃ
খাদিজাতুল কুবরা রা.।
২৪. তাবুক অভিযানে
মুসলিম বাহিনীর পাতাকাবাহী কে ছিলেন?
উত্তরঃ
আবু বকর রা.।
২৫. তাবুক
অভিযানের সময় উমর রা. তার সম্পদের কতটুকু দান করেছিলেন?
উত্তরঃ
অর্ধেক।
২৬. মক্কার সমাজে
একজন বিশিষ্ট ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে ‘গনী’ উপাধি লাভ করেন কোন সাহাবী?
উত্তরঃ
হযরত উসমান রা.।
২৭. রাসূল সা.
প্রতিটি মানুষের ইহসান পরিশোধ করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু একজনের ইহসান তিনি
পরিশোধে অক্ষম যার প্রতিদান আল্লাহ দিবেন বলেছেন-সেই মহান ব্যক্তি কে?
উত্তরঃ
হযরত আবু বকর রা.।
২৮. ইয়াহুদী
মালিকানাধীন যে কুপটি খরিদ করে উসমান রা. মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করেন তার নাম কি
ছিল?
উত্তরঃ
‘বীর রুমা”।
২৯. কোন যুদ্ধে
উসমান রা. সাড়ে নয়শো উট ও পঞ্চাশটি ঘোড়া সরবরাহ করেন?
উত্তরঃ
তাবুক যুদ্ধে।
৩০. তাবুক যুদ্ধে
কার দানের সন্তুষ্ট হয়ে রাসূল সা. তার আগে পিছের সকল গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করেন
এবং তাকে জান্নাতের ওয়াদা করেন?
উত্তরঃ
হযরত উসমান রা.
৩১. তাবুক যুদ্ধ
কত হিজরীতে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ
নবম হিজরীতে।
৩২. হযরত আব্দুর
রাহমান ইবনে আউফ রা. তাবুক যুদ্ধে কি পরিমাণ অর্থ সাহায্য করেন?
উত্তরঃ
আট হাজার দিনার।
৩৩. নবী সা.
মদীনায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন কায়েম করেছিলেন কাদের মধ্যে?
উত্তরঃ
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে।
৩৪. মদীনায়
হিজরতের পর সেখানে মুসলমানদের প্রতিপক্ষ কারা ছিল?
উত্তরঃ
মুনাফিক গোষ্ঠী ও ইয়াহুদীদের শক্তি।
৩৫. ইসলামের
বাস্তব কাজ কি?
উত্তরঃ
আল্লাহর ইবাদত এবং বান্দাদের সেবা করা।
৩৬. ইসলাম অর্থ
সম্পদ কুরবানীর কয় ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে?
উত্তরঃ
২ ধরনের। ১. বাধ্যতামূলক (যাকাত)। ২.
স্বেচ্ছামূলক।
৩৭. উম্মতে
মুহাম্মাদীর উপর কি দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে?
উত্তরঃ
কিয়ামাত পর্যন্ত দুনিয়ার সকল মানুষের কাছে আল্লাহর দ্বীন পৌছানো। আল্লাহর বাঞ্ছিত
পথে মানবতাকে পরিচালনা।
৩৮. কুরআন যাদেরকে
সিদ্দিকীন, সালেহীন, শুহাদা নামে অভিহিত করেছে, তারা কারা?
উত্তরঃ
নবী রাসূলগন ও তাঁদের স্বার্থক উত্তরসূরীরা।
৩৯. আল্লাহ ও তার
রাসূলের প্রতি ঈমানের দাবী পুরণের এবং আখেরাতের নাযাতের একমাত্র উপায় কি?
উত্তরঃ
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
৪০. সাহাবায়ে
কিরাম মাল ও জানের কুরবানীর যে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, তার
প্রেরণার উৎস কি ছিল?
উত্তরঃ
আল্লাহর কুরআন ও রাসূলের সুন্নাহর স্বার্থক অনুসরণ।
৪১. মৌলিক ভাবে ফি
সাবিলিল্লাহ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ
জিহাদ ও ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ।
৪২. আল্লাহর দ্বীন
প্রতিষ্ঠার খাতে আমাদের মাল সম্পদ খরচ করতে হবে কেন?
উত্তরঃ
আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য।
৪৩. আল্লাহর পথে
চলার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় কি?
উত্তরঃ
দুনিয়ার ধন সম্পদ ও ভোগ বিলাসের মোহ।
৪৪. ঈমান আনার
সাথে সাথে কে সমস্ত সম্পদ রাসূল সা. এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ
হযরত খাদিজা রা.
৪৫. রাসূল সা. যখন
নবুয়াতের প্রকাশ্য ঘোষনা দিলেন, তখন কে তার সকল সম্পদ ইসলামের জন্য ওয়াকফ
করে দেন। তার কাছে তখন কত দিরহাম ছিল?
উত্তরঃ
হযরত আবু বকর রা. তার কাছে তখন চল্লিশ হাজার দিরহাম ছিল।
৪৬. দ্বীনের জন্য
কুরবানীর ক্ষেত্রে হযরত আবু বকরকে কেউ হারাতে পারবে না- উক্তিটি কার?
উত্তরঃ
হযরত উমর রা. এর।
৪৭. সাহাবায়ে
কিরাম কোন গুণের কারণে আল্লাহর প্রিয় ও পছন্দনীয় হতে পেরেছিলেন?
উত্তরঃ
জিহাদের ডাক এলেই তারা নিজেদের জান ও মাল সমেত ইসলামের জন্য দাড়িয়ে যেতেন।
৪৮. ইসলামী দাওয়াত
সম্প্রসারণ ও এর বিজয়ের জন্য তার বীরত্ব যেমন ইতিহাসের পাতায় প্রজ্জোলিত হয়ে আছে, তেমনি
অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রেও তা এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। কে সেই বীর?
উত্তরঃ
হযরত উমর রা.
৪৯. ইসলাম ও
ঈমানের মূল দাবী কি?
উত্তরঃ
আল্লাহর কাছে জান ও মাল সপোর্দ করা।
৫০. যাকাতের একটা
অন্যতম উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ
প্রতিদানের আশা ছাড়া, কোন বৈষয়িক স্বার্থ ছাড়া মানুষকে অর্থ ব্যয়ে অভ্যস্ত করা।
৫১. দ্বীন কায়েমের
জন্য কোন কোন শক্তিকে বলিয়ান হওয়া অপরিহার্য?
উত্তরঃ জনশক্তি
ও অর্থশক্তি।
৫২. কাদের
ব্যাপারে আল্লাহ্ বলেন- তাদের প্রতি আল্লাহ্ সন্তুষ্ট তারাও আল্লাহ্র প্রতি।
উত্তরঃ সাহাবায়ে
কেরামদের ব্যাপারে।
৫৩. আবু বকরকে
রাসুল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়ীতে কিছু রেখেছো কি? তিনি কি জবাব
দিলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ্
ও তাঁর রাসুলই যথেষ্ট।
৫৪. বিশ্বে ইসলামী
আন্দোলনে প্রধান প্রতিপক্ষ দুই পরাশক্তির নাম কি?
উত্তরঃ মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়া।
এই প্রশ্নোত্তর গুলো পিডিএফ ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন। ইনফাক ফী সাবিলিল্লাহ বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
jajakallah khair
ReplyDeleteআল্লাহ আমাদের সকল প্রচেষ্টাকে ইবাদত হিসাবে কবুল করুন।
ReplyDelete