প্রশ্নোত্তর - ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনঃ মতিউর রহমান নিজামী - আমার প্রিয় বাংলা বই

সাম্প্রতিকঃ

Post Top Ad

Responsive Ads Here

December 01, 2021

প্রশ্নোত্তর - ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনঃ মতিউর রহমান নিজামী


০১. ইসলামী  আন্দোলন ও সংগঠন বইয়ের লেখকের নাম কি?

উত্তরঃ মাওলানা মতিউর রাহমান নিজামী।

০২. ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন বইয়ের বিষয় বস্তু কি?

উত্তরঃ আনুগত্য, পরামর্শ ও ইহতেসাব।

০৩. আন্দোলনের ইংরেজী শব্দ গড়াবসবহঃ, আরবী কি?

উত্তরঃ حركت

০৪. ইসলামী আন্দোলন কাকে বলে?

উত্তরঃ সুসংবদ্ধ ভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোন দেশের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ইসলামীক ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্রচেষ্টার লক্ষকে ইসলামী আন্দোলন বলে।

০৫. ইসলাম শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ আনুগত্য করা, কোন কিছু মাথা পেতে নেয়া, শান্তি ও সন্ধি।

০৬. ইসলামের একটি অর্থ শান্তি আরেকটি অর্থ কি?

উত্তরঃ সন্ধি।

০৭. ইসলামের আগমন হয়েছে অন্যান্য সকল বিপরীত দ্বীনের উপর বিজয়ী হবার জন্য। কুরআনে এ কথাটা বলা হয়েছে কি ভাবে?

উত্তরঃ ليظهره على الدين كلــه

০৮. ইসলামী আন্দোলকে কুরআনের ভাষায় কি বলা হয়?

উত্তরঃ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।

০৯. জিহাদ অর্থ কি?

উত্তরঃ যথাসাধ্য চেষ্টা সাধনা চূড়ান্ত প্রচেষ্টা প্রানান্তকর সাধনা ইত্যাদি।

১০. যারা জান্নাতের বিনিময়ে নিজেদের জান ও মাল বিক্রি করেছে তাদের কাজ কি?

উত্তরঃ আল্লাহর পথে লড়াই করা, সংগ্রাম করা। পরিণামে জীবন দেয়া বা জীবন নেয়া।

১১. ইসলামী আন্দোলনকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি?

উত্তরঃ ৫ ভাগে। ১. দাওয়াত ইলাল্লাহ্। ২. শাহাদাত আলান নাস। ৩. কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ্। ৪. ইকামাতে দ্বীন। ৫. আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার।

১২. নবীর জীবনের প্রথম ভাষন কি? আরবীতে বলুন।

উত্তরঃ يايها الناس قولوا لااله الا الله تفلحوا

১৩. হে মানব জাতি! তোমরা ঘোষনা করো আল্লাহ ছাড়া সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী আর কেউ নেই- একথাটা কার জীবনের প্রথম গণভাষনের প্রধান বক্তব্য ছিল?

উত্তরঃ শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর।

১৪. নবী রাসূলরা দুটি উপায়ে শাহাদাতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তা কি কি?

উত্তরঃ ১. মৌখিক সাক্ষ্য। ২.আমলী সাক্ষ্য।

১৫. সব আম্বিয়ায়ে কিরামের দাওয়াতে প্রধান দিক গুলো কি কি ছিল?

উত্তরঃ ১. আল্লাহর সার্বভৌমত্ব দাসত্ব গ্রহণ ও গায়রুল্লাহর সার্বভৌমত্ব দাসত্ব বর্জন। ২. আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা না থাকার পরিণতির কড়া সমালোচনা করেছেন। ৩. দাওয়াত কবুল না করার ভয়াবহ পরিণতি এবং দাওয়াত কবুলকারীদের সুসংবাদ শুনানো হয়েছে।

১৬. সূরা মুহাম্মাদের অপর নাম কি?

উত্তরঃ কিতাল।

১৭. ইসলামী আন্দোলনে যারা শামীল হয়, তাদেরকে আল্লাহ কয়টি প্রতিদান দেবেন এবং তা কি কি?

উত্তরঃ ২টি। ১. গুনাহ মাফ করে দেবেন, জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ২. আন্দোলন কারীর পছন্দনীয় বিষয় আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় দান করবেন।

১৮. দায়ী ইলাল্লাহর দাওয়াতে বাস্তব নমূনা কারা?

উত্তরঃ সাহাবায়ে কিরাম।

১৯. শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর প্রধান পরিচয় কি কি?

উত্তরঃ আল্লাহর দিকে আহবানকারী ও দাওয়াতের বাস্তব নমুনা হিসাবে মূর্ত প্রতীক রূপে শাহেদ এবং শহীদ।

২০. দ্বীন কায়েমের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা  চালানোই ইসলামী আন্দোলনের জাগতিক লক্ষ্য। প্রশ্ন হচ্ছে , তাহলে ইসলামী আন্দোলনের পরকালীন লক্ষ্য কি?

উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নাজাত।

২১. ইসলামী আন্দোলনের শরয়ী মর্যাদা কি?

উত্তরঃ ইসলামী আন্দোলন সব ফরজের বড় ফরজ।

২২. ইসলামে আন্দোলন কারীদের মূখ্য উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত?

উত্তরঃ আখেরাতের সাফল্য।

২৩. নুহ আ. তার কাওমের কাছে কত বছর দাওয়াত দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ সাড়ে ৯শত বছর।

২৪. কোন নবী জালিম বাদশা জালুতকে পরাভূত করে খেলাফতের অধিকারী হয়েছিলেন?

উত্তরঃ হযরত দাউদ আ.

২৫. ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য আল্লাহর দেয়া শর্ত কয়টি?

উত্তরঃ ২টি। ১. উপযুক্ত একদল লোক। ২. একদল লোক স্বতঃস্ফর্ত ভাবে আল্লাহর দ্বীনকে চাওয়া।

২৬. সংগঠন কাকে বলে?

উত্তরঃ কিছু সংখ্যক মানুষের নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একদেহ একপ্রাণ রূপে কাজ করার সমষ্টিক কাঠামোকে বলে সংগঠন।

২৭. আল্লাহর রাসূল সা. বলছেন, আমি তোমাদের ৫টি জিনিসের নির্দেশ দিচ্ছি, যার নির্দেশ আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। জিনিস পাঁচটি কি কি?

উত্তরঃ ১. জামায়াত বা সংগঠন। ২. নেতার আদেশ শুনা। ৩. নেতার আনুগত্য। ৪. হিজরত। ৫. জিহাদ।

২৮. হযরত উমর রা. বলেছেন ৩টি জিনিস হয়না, ৩টি জিনিসের অনুপস্তিতিতে। তার মাঝে একটি হল-ইসলাম নেই সংগঠন ছাড়া, বাকী দুইটি কি?

উত্তরঃ সংগঠন নেই, নেতৃত্ব ছাড়া। এবং নেতৃত্ব নেই আনুগত্য ছাড়া।

২৯. ইসলামী সংগঠনের প্রকৃত মডেল কি?

উত্তরঃ প্রকৃত মডেল স্বয়ং নবী মুহাম্মদ সা. এবং পরবর্তীতে সাহাবায়ে কিরাম পরিচালিত ইসলামী জামাত।

৩০. সংগঠনের উপাদান কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ ৪টি। ১. আদর্শ, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, কর্মসূচী ও কর্মপদ্ধতি। ২. নেতৃত্ব। ৩. কর্মী বাহিনী। ৪. কর্মক্ষেত্র।

৩১. সংগঠনের কোন সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত ভাবে অপছন্দ হওয়ার কারণে কেউ যদি আনুগত্য না করে, তাহলে সে কার নির্দেশ অমান্য করেছে বলে গন্য হবে?

উত্তরঃ আল্লাহর রাসূলের।

৩২. রাসূল সা. তার সংগঠনের সূচনা কয়জন সাথী নেয়ে করেছিলেন? এবং তারা কারা?

উত্তরঃ ৪জন। ১. আবু বকর রা. ২. খাদিজা রা. ৩. আলী রা. ৪. জায়েদ রা.

৩৩. ইসলাম রাষ্ট্র ক্ষমতার অধিকারী হলে, রাষ্ট্রের কর্তাদের করনীয় কাজ কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ চারটি। ১. নামাজ কায়েম করা। ২. যাকাত আদায় করা। ৩. সৎকাজের আদেশ দেয়া। ৪. অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা

৩৪. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট নেতা মুহাম্মদ সা. এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কি কি?

উত্তরঃ ১. শাহেদ। ২. মোবাশ্বির। ৩. নাজির। ৪. দায়ী ইলাল্লাহ।

৩৫. ইসলামী নেতৃত্ব ৩টি শব্দের ধারক ও বাহক। এ তিনটি কি কি?

উত্তরঃ খলিফা, ইমাম ও আমীর।

৩৬. নেতৃত্বের গুনাবলীতে যে চার টি মৌলিক কাজ উল্লেখ করা হয়েছে, তা কি কি?

উত্তরঃ ১. তিলাওয়াতে আয়াত। ২. আল্লাহর কিতাবের তালিম। ৩. হিকমাতের তালিম। ৪. তাযকিয়ায়ে নাফস।

৩৭. ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক কিসের?

উত্তরঃ ভ্রাতৃত্বের।

৩৮. আনুগত্যের অর্থ কি?

উত্তরঃ মান্য করা, মেনে চলা, আদেশ নিষেধ পালন করা, উপরন্তু কোন কর্তৃপক্ষের ফরমায়েশ অনুযায়ী কাজ করা।

৩৯. আনুগত্যকে আরবীতে কি বলে?

উত্তরঃ إطاعة

৪০. কুরআন হাদীসের আলোকে আনুগত্যের প্রতিশব্দ কি?

উত্তরঃ এতায়াত।

৪১. আনুগত্য অর্থ কি কি?

উত্তরঃ মান্য করা, মেনে চলা, আদেশ নিষেধ পালন করা, কোন কর্তত্বেও ফরমান ফরমায়েশ অনুযায়ী কাজ করা।

৪২. এতায়াত ও মাসিয়াত অর্থ কি?

উত্তরঃ এতায়াত অর্থ আনুগত্য করা। আর মাসিয়াত অর্থ নাফরমানী করা।

৪৩. যখন আল্লাহ ও তার রাসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন ঈমানদারদের জবাব কি হয়?

উত্তরঃ আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম।

৪৪. আনুগত্যহীনতার পরিনাম কি?

উত্তরঃ সকল নেক আমল নষ্ট হয়ে যায় আর মৃত্যু হয় জাহিলিয়াতের।

৪৫. এমন তিনটি গুন, যার অধিকারী না হয়ে আমর বিল মারুফ ও নাহী আনিল মুনকারের দায়িত্ব নেয়া উচিৎ নয়?

উত্তরঃ ১. যাকে হুকুম দিবে বা নিষেধ করবে,তার প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। ২. যে ব্যাপারে নিষেধ করবে, সে ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে। ৩. যে ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা করবে সে ক্ষেত্রে ইনসাফ করতে সক্ষম হবে।

৪৬. আনুগত্যের পথে অন্তরায় কি কি?

উত্তরঃ আখেরাতের অনুভূতির অভাব এবং দুনিয়া পূঁজার মনোভাব। নিজ নিজ দায়িত্বের অভাব এবং মারাত্বক অনভূতির অভাব হচ্ছে অহংকার, আত্মপূঁজা ও আত্মম্বরিতা।

৪৭. ইহতিসাব ও মুহাসাবার অর্থ কি?

উত্তরঃ ইহতিসাব অর্থ হিসাব আদায় করা এবং মুহাসাবা হল পরস্পর একে অপরের হিসাব নেয়া।

৪৮. ইহতিসাব ও মুহাসাবা কয়টি পর্যায় করা হয় ও কি কি?

উত্তরঃ তিনটি। ১. ব্যক্তিগত আত্মসমালোচনা। ২. একে অপরের মুহাসাবা। ৩. সামষ্টিক মুহাসাবা।

৪৯. পরামর্শের ভিত্তিতে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা-এটা আল্লাহর নির্দেশ না হাদীসের বানী?

উত্তরঃ আল্লাহর নির্দেশ।

৫০. প্রকৃত আনুগত্য হলো আল্লাহ যাবতীয় হুকুম মেনে চলা, যা মানুষের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য-এ আনুগত্য কি নামে অভিহিত?

উত্তরঃ ইবাদত।

৫১. এতায়াতের ব্যবহারিক রূপ কি?

উত্তরঃ আল্লাহ, রাসূল সা. ও দায়িত্বশীলের আনুগত্য করা।

৫২. আল্লাহর আনুগত্য রাসূলের মাধ্যমে। কিন্তু আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কার মাধ্যমে?

উত্তরঃ উলিল আমর বা আমীরের মাধ্যমে।

৫৩. কার আনুগত্য শর্তহীন আর কার আনুগত্য শর্ত সাপেক্ষ?

উত্তরঃ আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য শর্তহীন আর আমীরের আনুগত্য শর্ত সাপেক্ষ।

৫৪. আমীরের আনুগত্য কোন সীমারেখার মধ্যে সীমিত?

উত্তরঃ আল্লাহ ও রাসূলের সা. প্রদত্ত সীমা রেখার মধ্যে।

৫৫. ইসলামের শাব্দিক অর্থ কি?

উত্তরঃ আনুগত্য বা আত্ম সমর্থন।

৫৬. ইসলাম ও আনুগত্য অর্থের দিক দিয়ে এক ও অভিন্ন। প্রশ্ন হলো দ্বীন এবং এতায়াত অর্থের দিক দিয়ে কতটুকু পার্থক্য?

উত্তরঃ পার্থক্য নাই।

৫৭. দ্বীনের অপর নাম কি?

উত্তরঃ আনুগত্য।

৫৮. যেখানে আনুগত্য নেই সেখানে কি নেই?

উত্তরঃ দ্বীন নেই/ইসলাম নেই।

৫৯. যার কাছে আনুগত্য নেই সে ইসলামের যত বড় পাবন্দই হোক বা দ্বীনদার হোক না কেন, প্রকৃত পক্ষে তার কাছে কি নেই?

উত্তরঃ দ্বীন নেই/ইসলাম নেই।

৬০. দ্বীন ইসলামের প্রাণ সত্ত্বা কি?

উত্তরঃ আনুগত্য।

৬১. যে কোন আন্দোলনের জন্য আনুগত্য কি শক্তি হিসাবে ভূমিকা পালন করে।

উত্তরঃ চালিকা শক্তি বা প্রাণশক্তি।

৬২. ইসলামের বিজয়ের সুসংবাদ এবং বিশ্বজোড়া খেলাফতের ওয়াদা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সূরায় দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা নূরে।

৬৩. নির্ভেজাল আনুগত্য কি রকম?

উত্তরঃ মনযোগ দিয়ে শুনা, মাথা পেতে মেনে নেয়া।

৬৪. আল্লাহ ও রাসূলের পক্ষ থেকে কোন ফরমান শুনার জন্য ডাকা হয়, তখন তাদের মুখ থেকে ২টি শব্দ উচ্চারিত হয়-তা কি কি?

উত্তরঃ মনযোগ দিয়ে শুনলাম, মাথা পেতে মেনে নিলাম।

৬৫. আনুগত্যহীনতা সব নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়-এটা কোন আয়াতের মাধ্যমে প্রমাণিত?

উত্তরঃ সূরা মুহাম্মদ ৩৩ নং আয়াতের মাধ্যমে।

৬৬. রাসূল সা. এর পেছনে জামায়াতে নামায পড়ার পরও সমস্ত নেক আমল ধূলায় মিশে দিয়ে আল্লাহ কোন অপরাধের কারণে মুনাফেক ঘোষণা করেন?

উত্তরঃ যুদ্ধে যারার নির্দেশ অমান্য করার কারণে।

৬৭. সূরা তাওবার ৯৬নং আয়াতের ভিত্তি কি কারণে আল্লাহর রেজামন্দি থেকে বঞ্চিত করে?

উত্তরঃ আনুগত্য হীনতার কারণে।

৬৮. কি কারণে আল্লাহ প্রদত্ত হেদায়াত লাভের তাওফীক থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা থাকে?

উত্তরঃ আনুগত্য প্রদর্শনে ব্যর্থ হলে।

৬৯. যে আনুগত্যের গন্ডি থেকে বের হয়ে এবং জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত্যু বরণ করলো, হাদীসের আলোকে তার মৃত্যু কোন মৃত্যু?

উত্তরঃ জাহেলিয়াতের মৃত্যু।

৭০. আনুগত্যহীনতা কি ত্যাগের শামীল?

উত্তরঃ জামায়াত ত্যাগের শামীল।

৭১. যদি কেউ আমীরের অপছন্দনীয় কোন কাজ দেখতে পায়, তখন তিনি তাঁর আনুগত্য পরিহার করবেন বা কি করবেন?

উত্তরঃ না, বরং সবর করবেন।

৭২. হাদীসের আলোকে যে ব্যক্তি জামায়াত থেকে এক বিঘত পরিমাণ সরে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, তার মৃত্যু কোন মৃত্যু?

উত্তরঃ জাহেলিয়াতের মৃত্যু।

৭৩. কোন ব্যক্তি আনুগত্যের বন্ধণ থেকে হাত খুলে নেয়, সে কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে কিভাবে হাজির হবে?

উত্তরঃ এমন অবস্থায় যে, নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের কিছু বলার থাকবেনা

৭৪. বাইয়াতহীন মৃত্যু কোন ধরণের মৃত্যু?

উত্তরঃ জাহেলিয়াতের মৃত্যু।

৭৫. আনুগত্য প্রদর্শনে অপারগতা কিসের শামীল?

উত্তরঃ বাইয়াতহীনতার শামীল।

৭৬. বাঞ্চিত আনুগত্য কোনটি?

উত্তরঃ যেটা হবে ষোল আনা ভক্তি সহকারে, পূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সহকারে, স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণা সহকারে।

৭৭. কুরআন ও হাদীসে যত জায়গায় সামায়াত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, সাথে সাথে আরেকটি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তা কি?

উত্তরঃ এতায়াত।

৭৮. সূরা আনকাবুতের ৬৯নং আয়াতের ভিত্তিতে আল্লাহ কাদেরকে পথ করে দেন?

উত্তরঃ যারা আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করে।

৭৯. মানুষের প্রকৃতিগত দূর্বলতা কি?

উত্তরঃ নিজের সমস্যা বড় করে দেখা

৮০. মুমিনের নিকট যখন বিপদ আসে, তখন সে বুঝে যায় যে, পরীক্ষা দিতে হবে। তখন সে কি করে?

উত্তরঃ অজুহাত হিসাবে নিয়ে কাজ থেকে দূরে থাকার চিন্তা করে না।

৮১. ওজর পেশ ও অনুমতি অব্যাহতি কামনা কি?

উত্তরঃ ঈমানের পরিপন্থী।

৮২. ওজর পেশের সঠিক পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ ব্যক্তি কোন ফায়সালা নেবেনা, শুধু সমস্যা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে, কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দিক তাই কল্যাণ।

৮৩. গর্ব ও অহংকার কার চরিত্র?

উত্তরঃ শয়তানের চরিত্র।

৮৪. আনুগত্যের পথে অন্তরায় হিসাবে ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন বইয়ের লেখক ৩টি মারাত্মক ও ক্ষতিকর কারণ উল্লেখ করেছেন, তা কি কি?

উত্তরঃ ১. গর্ব, অহংকার, আত্মপূজা আত্মম্ভরিতা। ২. ন্ধদয়ের বক্রতা। ৩. অন্তরের দ্বিধা-দ্বন্দ ও সংশয়-সন্দেহের প্রবণতা।

৮৫. সর্বস্তরের দায়িত্বশীল কোন স্তর থেকে  আসে?

উত্তরঃ কর্মী থেকে।


No comments:

Post a Comment

আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।