আশির দশকের কথা, দেশের একটি প্রথম সারির শিল্প গ্রুপে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
সদ্য পাস করা একজন নবীন প্রকৌশলী যোগদান করলেন। নিজের কর্মদক্ষতা, যোগ্যতা ও সততার কারণে বছর না ঘুরতেই প্রতিষ্ঠানটির মালিকের
সুনজরে পড়লেন তিনি। তাকে একটি নতুন প্রজেক্টের দায়িত্ব দিয়ে বলা হলো, ‘ছাত্রজীবনে তুমি যে রাজনীতি করতে, সেই দলের ছেলেদের তোমার এই প্রজেক্টে নিয়োগের ক্ষেত্রে
অগ্রাধিকার দেবে।’ তিনি ভাবনায় পড়ে
গেলেন,
মালিক কীভাবে জানলেন-ছাত্রজীবনে তিনি কোন সংগঠনের মেম্বার ছিলেন। তার এই ভাবনার উত্তর মালিক নিজেই
দিলেন,
‘তুমি ছাত্রশিবিরের মেম্বার ছিলে, তা আমি জানি। তোমরা আল্লাহর রাসূল সা.-এর আদর্শ অনুসরণ কর, আল্লাহকে ভয় কর। গত এক বছর আমি লক্ষ করেছি, তুমি শুধু কাজেকর্মে আন্তরিক ও দক্ষই নও, সৎও।’ তিনি আরো যোগ
করলেন,
‘দেশে অনেক যোগ্য ও দক্ষ লোক আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে প্রতি বছরই প্রচুর যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তি
কর্মক্ষেত্রে আসছে। কিন্তু আল্লাহভীরু-সৎ জনশক্তির বড় অভাব। নেই যে তা নয়, কিন্তু তোমার দল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মেম্বার ক্যাডারের
যারা আসছে, তাদের ব্যাপারে গ্যারান্টি দেয়া
যায়।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সদস্যের কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার ব্যাপারে এভাবেই সত্যায়ন করেছেন এক
শিল্পপতি। এমন আরো অনেক উদাহরণ আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো-সৎ, যোগ্য ও
আল্লাহভীরু জনশক্তি তৈরির সেই ছাত্র সংগঠনটি বিগত কয়েক দশক ধরে দেশের অধিকাংশ
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা চালাতে পারছে না। অথচ দেশের সর্বত্র
এখন চলছে সৎ ও যোগ্য জনশক্তির সঙ্কট। বার বার দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। এই
অবস্থার উত্তরণে ইসলামী ছাত্রশিবিবের মতো আদর্শিক ছাত্র সংগঠনের কাজ প্রতিটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। কিন্তু কায়েমি স্বার্থান্বেষী
আধিপত্যবাদী দেশি ও বিদেশি শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে ছাত্রসমাজের একটি অংশ কোমর
বেঁধে নামে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ভালোভাবেই চলছিল ইসলামী
ছাত্রশিবিরের কার্যক্রম। দলে দলে ছাত্রসমাজ আকৃষ্ট হয়ে সমবেত হতে থাকে এই সংগঠনের
পতাকাতলে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আধিপত্যবাদী কায়েমি স্বার্থান্বেষী মহল। বিশেষ করে ১৯৮২
সালের ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চতুর্থ ডাকসুতে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র
সংসদ) ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রভাব দেখে ষড়যন্ত্রকারীরা উঠেপড়ে লাগে-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ আদর্শিক সংগঠনটিকে উৎখাত
করতে। তারা গঠন করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ইসলামী লেবাস, দাড়ি, টুপি পরে কেউ
ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই তাকে লাঞ্ছিত করা হতো। পাঞ্জাবি পরা দাড়িওয়ালা হিন্দুরাও
রেহাই পেতেন না। হলে থাকা কোনো ছাত্র নিয়মিত নামাজ পড়লে, ব্লু-ফ্লিম, ককটেল পার্টির মতো অশ্লীল ও দেশীয় ঐতিহ্যবিরোধী অপকর্ম থেকে দূরে থাকলে তাকেও
শিবিরকর্মী সন্দেহ করা হতো। তার ওপর চালানো হতো সীমাহীন নির্যাতন। এই নিষ্ঠুরতার
সর্বশেষ শিকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার। যে ঘটনার
নিমর্মতার কাহিনী বিবেকবান মানুষকে আজও কাঁদায়। দুঃখজনক হলেও সত্য, আবরারের আত্মদানের মধ্য দিয়ে এই নির্মমতা শেষ হয়নি। সুযোগ
পেলেই এখনো দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত এমন বর্বরতা চলে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নির্যাতিত ছাত্রদের পক্ষে না
দাঁড়িয়ে জালেমদেরই সহযোগিতা করে। মানবাধিকারের কোনো তোয়াক্কা করে না। কায়েমি
স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অত্যাচার-নির্যাতনে এ পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন ইসলামী
ছাত্রশিবিরের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী। শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অধিকাংশ অফিস
প্রায় এক দশক তালাবদ্ধ। এমন বাধা-বিপত্তি, শত নির্যাতনের মধ্যেও অব্যাহত আছে ইসলামী ছাত্রশিবেরর কার্যক্রম।
সময়ের দাবিঃ
দেশে বর্তমানে যে ছাত্র রাজনীতি চলছে, তাকে সুস্থধারার মানতে নারাজ বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আওয়ামী
লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কবলে পড়ে অন্যসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মতো ছাত্র
সংগঠনগুলোও অস্তিত্ব বজায় রেখেছে, এই যা।
ক্ষমতাসীনদের ছাত্র সংগঠনের চলমান কার্যক্রমে হতাশ বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মো.
মইনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে একটি জাতীয় দৈনিকে লিখেছেন, ‘এটা দেশের কে না জানে, ছাত্র রাজনীতির
নামে যা করা হয়, তা একেবারেই অপরাধমূলক সন্ত্রাসী
কাজ। দেশের শিক্ষিত সচেতন মানুষ জানে, ছাত্র নামধারী দল বা লীগের আসল কাজ হলো তাদের পৃষ্ঠপোষক বড় দলগুলোর
লেজুড়বৃত্তি। তাদের নামে মিটিং-মিছিল করা, দলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের গুণগান করা, সংবর্ধনা বা খেতাব প্রদান, বিরোধী দল বা
পক্ষের সভা-সমিতি ভণ্ডুল করা। ক্যাম্পাস বা হল থেকে বিরোধীপক্ষকে বিতাড়িত করাসহ
তাদের শীর্ষ নেতানেত্রীর সমালোচনাকারীদের মারধর করার মতো অন্যায়, অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক কাজ করা। এসব তারা কোনো আদর্শবাদে
উদ্বুদ্ধ হয়ে করে না। করে ক্ষমতা ও সম্পদ অর্জনের জন্য, যার প্রকাশ ঘটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্যসহ হরেক রকমের অবৈধপথে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে। কোনো কোনো
বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্রলীগের (আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে) শীর্ষ পদগুলো বিক্রি হয়
বলে শোনা যায়। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচার
পেয়েছে।’
(দৈনিক যুগান্তর)।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ছাত্র-রাজনীতির নৈতিক অবক্ষয় রকেটগতিতে চলছে। তারা এখন আর
দেশ-জাতির উন্নয়ন; এমনকি
আত্মোন্নয়নের কথাও ভাবে না। ছাত্ররা ছাত্রজীবনেই আরাম চায়, আরো সুখ চায়। বস্তুবাদী ও ভোগবাদী দর্শনের কবলে পড়ে ছাত্র
রাজনীতি পথ হারিয়েছে। ছাত্র রাজনীতি পথ হারানোর মানে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কারণ
আজকে যারা ছাত্র, আগামী দিনে
তারাই জাতির কর্ণধার। এই কর্ণধাররা জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর আশা জাগানোর মতো নয়। তবে কে আশা জাগাবে?
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রাণের আদর্শ ইসলামের রঙে রঙিন
তরুণরাই পারবে একটা পরিবর্তন আনতে। কারণ ইসলাম সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে জাতি
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের মুক্তির কথা বলে। ইসলাম মতপ্রকাশ ও ধর্মীয়
স্বাধীনতা এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। তাই এখন সময়ের
দাবি ছাত্রসমাজের পুনর্জাগরণ। সেই জাগরণে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সাংগঠনিক ও গণভিত্তি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের আছে। সময়ের দাবি পূরণের মতো আধুনিক কর্মসূচি এবং কর্মপদ্ধতি
প্রণয়নের ক্ষমতাও আছে এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের।
তাকওয়া আর সততার বর্মে সজ্জিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিটি নেতা-কর্মী। দুনিয়ার
ক্ষুদ্র স্বার্থ উপেক্ষা করে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে মানবতার মুক্তিকে
জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাই সময়ের দাবি পূরণে ইসলামী
ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে দেশপ্রেমিক প্রতিটি মানুষকে হাত বাড়াতে হবে।
কারণ হতাশার এই সাগরে আশার বাতিঘর ইসলামী ছাত্রশিবির।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবনাঃ
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ
রাশেদুল ইসলাম মনে করেন, এই দুঃসময়ের
অবসান একদিন হবেই। ছাত্রসমাজের মধ্যে ইসলামের প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। শত
অত্যাচার-নির্যাতন উপেক্ষা করে যারা আজ এই কাফেলায় শরিক হচ্ছে, আল্লাহর রহমতে তারা অবশ্যই বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, ‘শিবির ছাত্রদের জ্ঞান, চরিত্র ও মানবীয়
গুণে সমৃদ্ধ মানুষে পরিণত করতে চেষ্টা করছে সর্বক্ষণ। ছাত্রদের অধিকার রক্ষা ও
ক্যারিয়ার গঠনে সহযোগিতা এই সংগঠনের অন্যতম কাজ। যাবতীয় শোষণ, নিপীড়ন ও গোলামি থেকে মুক্তির প্রয়াস ছাত্রশিবিরকে দেশের
সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠনে পরিণত করেছে। ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা সন্ধানের জন্য শিবির
প্রতি বছর তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতা, মেধা যাচাই পরীক্ষা, ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম, বিজ্ঞানমেলা, সাধারণ জ্ঞানের
আসর,
বৃত্তি পরীক্ষা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি আয়োজন করে আসছে। এছাড়া ছাত্রশিবির আয়োজন করে থাকে
আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
এসব আয়োজন উদ্বুদ্ধ করে মেধাবী তরুণদের। বের করে আনে প্রতিভাগুলোকে, যারা গড়ে তুলবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ছাত্রশিবিরের
গঠনমূলক মেধানির্ভর কার্যক্রমে যখন ছাত্রসমাজ দলে দলে এর ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ শুরু
করে,
তখন প্রতিষ্ঠার কিছু সময় পরেই ইসলামবিরোধী শক্তি শুরু করে
শত্রুতা। হত্যা, খুন, অপপ্রচারের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের পথচলাকে স্তব্ধ করার
অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু আদর্শের লড়াইয়ে পরাজিত অপশক্তি হামলা-মামলা, গুম-খুন, নির্যাতনের
স্টিমরোলার চালিয়ে নিষিদ্ধ করারও অপপ্রয়াস চালায়। কিন্তু এতসব অত্যাচার-নির্যাতনের
পরও ইসলামী ছাত্রশিবির সমৃদ্ধ দেশ গঠন ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম থেকে একচুল
পরিমাণ পিছপা হয়নি। যেখানে অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার দেখেছে, সেখানেই গর্জে উঠেছে। দেশে চলমান অনিয়ম ও শোষণের বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ অক্ষুণ্ন রেখেছে ছাত্রশিবির। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ, জঙ্গি তৎপরতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে দেশের
সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন ছাত্রশিবিরকে আরো
প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। যখন অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও প্রশ্নফাঁসের মতো অপরাধে লিপ্ত, তখন ছাত্রশিবির সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নিরলসভাবে
কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের আছে বিশাল ইসলামী সাহিত্যভাণ্ডার, যা অধ্যয়নের মাধ্যমে তরুণ ছাত্রসমাজের মাঝে নবচেতনা জাগ্রত
হচ্ছে দিন দিন।’
তিনি আরো বলেন, ‘নীতিহীন ঘুণেধরা এই সমাজব্যবস্থায় ছাত্রশিবির সূচনা করেছে এক ইতিবাচক পরিবর্তনের। তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ইসলামের সুমহান আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। আমাদের চোখে আজ আল কুরআন ও রাসূল সা.-এর সুন্নাহর আলোকে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন। ছাত্রশিবির সুদীর্ঘ পথ চলায় লাখো পথহারা তরুণকে সমবেত করেছে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে। সব শেষে দীপ্তকণ্ঠে বলতে চাই, আঁধার তাড়াতে এসেছি আমরা আমাদের নেই কোনো ভয়, দীন কায়েমের পথে এগিয়ে যাবো সত্যের একদিন হবেই বিজয়।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘
আমার প্রিয় বাংলা বই হোয়াইটসআপ গ্রুপে যুক্ত হতে এখানেক্লিক করুন, টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং ফেইসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।