একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হলো তরুণ সমাজ। তরুণেরা যত বেশি আদর্শিক, কর্মঠ ও দেশপ্রেমিক হবে সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত বেশি উন্নত ও সুশৃঙ্খল হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় যুবসমাজ বোঝা নয় অমূল্য সম্পদ। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই বিশ্বসভ্যতার ইমারত নির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে যে শ্রেণি তার নাম তরুণ সমাজ। বিশ্বনবী রাসূলে আরাবী সা. যখন মানবতার মুক্তির জন্য নতুন একটি সভ্যতা তথা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের সংগ্রামের অবতারণা করলেন, কায়েমি স্বার্থবাদীরা মরু ঝড়ের মতো রাসূল সা.-এর ওপর আঘাত করে বাধা দিতে লাগল। তখন আরবের এক শ্রেণীর তেজস্বী তরুণ মর্দে মুজাহিদ রাসূলের হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিরোধ করতে লাগল। যারা দিনের বেলায় আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় জিহাদ করতো আর রাতের বেলায় মাবুদের কাছে সেজদায় অশ্রু ঝরাতো। যাদের তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ও ঈমানি চেতনা ভেঙে চুরমার করেছিল তৎকালীন দুই পরাশক্তি পারস্য আর রোম সাম্রাজ্য। যাদের তাকবির ধ্বনি নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল, তছনছ করে দিয়েছিল শয়তানি সাম্রাজ্য, পদানত করেছিল অর্ধ জাহান। যাদের সততা, ন্যায়পরায়ণতা, উন্নত চরিত্র, আল্লাহর প্রতি ঈমান ছিল আকাশচুম্বী, বিশ্বনেতৃত্ব তাদের কদম চুম্বন করেছে। সেই যুবসমাজের মানদণ্ড আর বর্তমান সমাজের যুবসমাজের মানদণ্ড বিবেচনা করলে শুধু হতাশাই বাড়বে। প্রশ্ন হলো কেন এমন হলো? এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশের তরুণ সমাজের বর্তমান অবস্থা কী, কেন তাদের অধঃপতন ও আমাদের কী করণীয়। বিস্তারিত এখানে.............
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।