প্রথম পর্বঃ
আজ থেকে ২৯ বছর আগে তিনি আমাদের থেকে বিদায়
নিয়ে তার প্রভুর সান্নিধ্যে চলে গেছেন। ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাতিজা ইমাদ এর
একটি ম্যাসেজ থেকে এই লেখার অবতারণা। এই আদর্শ মানুষটি আমার জীবনের পথ প্রদর্শক।
পরিচয় পর্ব থেকে মৃত্যুর বিছানা পর্যন্ত আমি তার নিত্য সঙ্গী ছিলাম। ১৯৮১ সালে
রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে মাইগ্রেশন নিয়ে সিলেট মেডিকেল কলেজের শামসুদ্দিন
ছাত্রাবাসে সি সেভেন ডা: শফিকুর রহমান সাহেবের রুমে আমার সিলেটের প্রথম মেডিকেল
জীবন শুরু
হয়। পাশেই ডাক্তার কলোনিতে হাবিব ভাই থাকতেন। আমার জীবনের
চড়াই-উৎরাই, পারিবারিক, রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত সকল সমস্যায় তিনি ছিলেন একান্ত আপন।
বছরের প্রায় প্রতিটি দিনেই যার সাহায্য-সহযোগিতা, সান্নিধ্য আমাকে ধন্য করেছিল।
স্মৃতিবহ সেই দিনগুলোর কথা আজও প্রায়ই মনে হয়। কয়েকটি বিষয় আজ তুলে ধরার
চেষ্টা করব। তিনি এমন সাধারন জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন যার কোন উদাহরণ আমার কাছে
আর নেই। আশির দশকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল সার্জন হিসেবে তার
খ্যাতি ছিল বৃহত্তর সিলেট জুড়ে। একেবারেই সাদামাটা একটি চেম্বার ছিল বাসায়।
নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা ফি ছিল না। যে যত টাকা দিত তিনি তাই গ্রহণ করতেন। প্র্যাকটিসের
টাকা দিয়ে কোন মতে সংসার চালাতেন। বাসায় কোন ফ্রিজ, টেলিভিশন
ছিল না। আল্লাহর দ্বীনের জন্য জীবনটাকে তিনি উজাড় করে দিয়েছেন। চেম্বারে ছিল
ইসলামী বইয়ের বিশাল সমাহার, প্রত্যেক রোগীকে তিনি ইসলামী সাহিত্য বিক্রি এবং বিতরণ
করতেন। ৮৫ সাল থেকে সিলেটের রাজনৈতিক উত্তাল দিনগুলোতে শামসুদ্দিন হোস্টেল
ছাত্রাবাসের ক্যান্টিনে আমাদের প্রায়ই খাওয়ার সুযোগ হতো না। বাহিরে কাজ সেরে
হোস্টেলে এসে দেখতাম ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ক্যান্টিন ছিল হাবিব
ভাইয়ের বাসা। প্রায়ই গভীর রাতে বাসায় নক করতেই তিনি বুঝতেন আমাদের খাবার
প্রয়োজন। কালবিলম্ব না করে বাসার কাউকে না জাগিয়ে তিনি আমাদের খাবার পরিবেশন
করতেন। এটা প্রায় এক যুগের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। অনেকেরই বিষয়টি
বিশ্বাসযোগ্য হবে না। বাসার খাবার টেবিল ছিল ব্যস্ততম এক হোটেলের চিত্র। আমাদের
পরম শ্রদ্ধেয় ভাবী কিভাবে যে বিষয়টি মেনে নিতেন, ভাবতে আজো আমার অবাক লাগে ।
গাড়ি-বাড়ি, বিত্ত-বৈভব কিছুই ছিল না। কত কাকুতি মিনতি করেছিলাম একখণ্ড জমি কেনার জন্য, এক্ষেত্রে
তিনি ছিলেন নির্বিকার। একবার একখানা গাড়ি কিনতে বলেছিলাম, বললেন
ছেলে গাড়ি কিনবে,
আমি পিছনে বসে গাড়িতে চড়বো। ছেলের গাড়ি আর তার চড়া হলো
না। অকালে চলে গেলেন এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।
তার কয়টি পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল তা আমার জানা
নাই। প্রায়ই দেখতাম ভিজা পাঞ্জাবি শুকিয়ে গায়ে দিচ্ছেন। আমার মেডিকেল জীবনের
শেষের দিকে হাবিব ভাইকে বাইরে একটি চেম্বার করে একটু স্বাচ্ছন্দে চলার পরামর্শ
দিতাম, তিনি বলতেন বাইরে চেম্বার করলে ছেলেমেয়েদেরকে দেখ ভাল করা যাবে না। তাই
বাসায় চেম্বারের সিদ্ধান্ত নিলেন, নামাজের সময় হলে চেম্বারের রোগী
সহ, রেদওয়ান এবং ইমাদ কে নিয়ে মসজিদ পানে ছুটে চলতেন। কলোনি মসজিদ তার একক
প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছিল। সেই মসজিদে নামাজ পড়তেন ,আমার রুম ছিল সেই মসজিদেরই
একেবারেই সাথে, যখনই নামাজে দেখা হত,
কিছু সময় আড্ডা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক, তারপরে
বলতেন রাতে চলে আসবেন,
যে কথা সেই কাজ, রাতে খাবার টেবিলে হাজির। মাঝে
মাঝে আমাকে নিয়ে মোটর সাইকেলে কাজির বাজার থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে আসতেন, সেদিন তো
দুপুরে বাসায় খাবার উৎসব হত। তার কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না, যা আয়
করতেন তাই পরের দিন খরচ করতেন। ছেলেদের জন্য শ্রেষ্ঠ স্কুল শিক্ষক মনোনয়ন
দিয়েছিলেন, শিক্ষক যেদিন তাদেরকে পড়াতেন যাওয়ার সময় একটি খাম ধরিয়ে দিতেন। খামের ভেতর
ওইদিনের পড়ার বেতন,
বিষয়টি আমার কাছে বেখাপ্পা মনে হতো, তিনি
এটাকে সুন্নত মনে করতেন। নগদ টাকা পেয়ে শিক্ষকরা তৃপ্তির সাথে তাদেরকে পড়াতেন।
প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একান্ত পরামর্শদাতার
প্রয়োজন হয়। তার মত ও চিন্তার সাথে আমার মতের ঐক্য ঐতিহাসিক। বিশেষ করে সাংগঠনিক
ব্যাপারে তার সাথে
আমার মতের ঐক্য বিরল। আমার ছাত্র জীবন এবং কর্মজীবনের মাঝ
খানে ৪ বছরের বিরতিতে তিনি ছিলেন আমার প্রশান্তির স্থান। ১৯৯০ সালে আমার একটা
চাকরির বড় প্রয়োজন ছিল। তিনি আমাকে নিয়ে গেলেন আয়েশাকে ক্লিনিকের মালিক
সাব্বির ভাইয়ের কাছে। তিন হাজার টাকা বেতনের চাকরী হয়েছিল। কিন্তু চাকরি আমাকে
করতে হয় নি। এই বছরেই আমার বিয়ের প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন তিনি। সে অনেক কথা।
একানব্বই সালে সিলেট শহরে জায়গার ব্যবসা খুব জমজমাট হয়েছিল, ২০০১
সালে সেই ব্যবসা পূর্ণাঙ্গতা পায়। আমার প্রতি হাবিব ভাইয়ের নসিহত ছিল, আমি যেন
এই ব্যবসায় না জড়াই। এই ব্যবসায় জড়াতে আমাকে অনেকেই অফার করেছিলেন, ভাইয়ের
আনুগত্য করে আমি সত্যি উপকৃত হয়েছিলাম, একটি ক্ষেত্রে তার কথা না মানায়
আমি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হই। আমার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংগঠনিক
যে কোনো বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে তার পরামর্শ ছাড়া আমি কখনো সিদ্ধান্ত নেই
নি। তার মৃত্যুর পর আমার সেই শূন্যতা আর পূরণ হয় নি। আজও আমি তার অনুপস্থিতি তিলে
তিলে অনুভব করি।
দ্বিতীয় পর্বঃ
সংক্ষিপ্ত পরিসরে এক আদর্শ মানুষের জীবন চরিত
আলোচনা করা দুরূহ ব্যাপার। তারপরও আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় আমরা উপকৃত হতে
পারি। সাদা পাজামা এবং পাঞ্জাবি ছিল তার সাধারণ পোশাক। এই পোশাকে তিনি সব সময়
থাকতেন, এমনকি হাসপাতালের ডিউটিতে তার এই পোশাকই থাকতো। পাঞ্জাবির পকেটে সব সময় টাকা
রাখতেন। কেউ সাহায্য চাইলেই সাধ্যমত সাহায্য করতেন। এটা ছিল তার সাধারন অভ্যাস।
সাহায্য প্রার্থীকে কখনো ফেরত দিতেন না। আত্মীয়দের হক আদায়ে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। নিজের ভাই বেরাদার, আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের
প্রতিবেশী, সবার আশ্রয়স্থল ছিল তিন বেডরুমের বাসা। আমরা যখন প্রায় দিনই বাসায় যেতাম, বাসায়
তখন কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়-স্বজনরা আছেনই। এমন কি কোন ছাত্রের লজিং চলে গেলে, আপাতত
খাবার ঠিকানা হত হাবিব ভাইয়ের বাসা। এতো দায়িত্ব পালনে ভাবির আন্তরিকতার কোন
জুড়ি নেই। তিনি আরেক মহীয়সী মহিলা। এতো দায়িত্ব পালন করেও মহিলা অঙ্গনে ইসলামের
প্রচারকার্যে তিনি ছিলেন অগ্রবর্তী। সালাম এবং কুশল বিনিময় ছাড়া অতিরিক্ত কোনো
কথা কারো সাথে বলতেন না। হাবিব ভাই, সমাজের গরিব মানুষের যেমন বন্ধু
ছিলেন, পেশাগত কারণে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং উচ্চবিত্তের সাথে তার গভীর সম্পর্ক ছিল।
আমি এর নীরব সাক্ষী। ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে একটি মর্মান্তিক ছাত্র সংঘর্ষে
বিভিন্ন উপজেলার প্রায় অর্ধশত ছাত্র জেলে যান। তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে
হাবিব ভাইয়ের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। সেই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান এবং এমপিদের
প্রভাব ছিল অপরিসীম। নিরাপত্তাজনিত কারণে দিনের বেলা সফর করা তখন ছিল অকল্পনীয়।
চেম্বার শেষে এশার নামাজের পর মোটরসাইকেলে শীতের রাতে কুয়াশার মধ্যে তিনি আমার
সফরসঙ্গী হতেন । বিশ্বনাথ,
বালাগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, সদর উপজেলার নেতৃবৃন্দের সাথে, চেয়ারম্যান, এমপিদের
সাথে তার সম্পর্ক আমাকে অভিভূত করতো। প্রত্যেক উপজেলায় গিয়ে সেই উপজেলার
ছাত্রদেরকে জেল থেকে বের করার জন্য সুপারিশ করতেন। প্রত্যেকে তাকে এত গুরুত্ব দিত, যা ভাবতে
আমার অবাক লাগতো। নিরহংকার ত্যাগী এই মানুষটি চলে যাবার পর এমন সহযোগিতা আর কারো
কাছ থেকে পাওয়া যায় নি। তৎকালীন সময়ে সিলেট বারের সবচেয়ে সিনিয়র আইনজীবী
ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন। মামলা পরিচালনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। হাবিব
ভাইয়ের সাথে তার ছিল গভীর সম্পর্ক। সব সময় হাবিব ভাইকে সাথে নিয়ে আমি জয়নাল
আবদীন সাহেবের চেম্বারে যেতাম। হাবিব ভাইয়ের কারণে আমাদের বিষয় সমূহ তিনি
গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতেন। স্বল্প টাকায় মামলা পরিচালনা করতেন। অনেকদিন
বাসায় ফিরতে গভীর রাত হয়ে যেত। বাসার সবাই ঘুমিয়ে থাকলেও আমরা দুইজন
খাওয়া-দাওয়া করে আমি হোস্টেলে চলে আসতাম। স্মৃতিগুলো আজও আমার হৃদয়কে নাড়া
দেয়। তৎকালীন সময়ে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি মিছিলে তিনি থাকতেন, একটা
রিক্সা ভাড়া করে মিছিলের পিছনে পিছনে রিসকায় চড়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করতেন। তার
উপস্থিতি আমাদেরকে সাহস যোগাতো। তিনি আমাদেরকে এতিম করে চলে গেলেন তার প্রভুর
সান্নিধ্যে অকালে।
চলে যাওয়ার ইতিহাস বড় করুনঃ
কিছুদিন থেকে তিনি জ্বরে ভুগছেন, বুকে
কিছুটা ব্যথা, তৎকালীন সময়ে আমাদের খালেক স্যার ছিলেন মেডিসিনের প্রফেসর। সকলেরই আস্থার
স্থান। স্যার তাকে এক্সরে করতে দিলেন। আজও আমার চোখের সামনে সেই এক্সেরর ছবি ভাসে, দেখে মনে
হয় যক্ষ্মা হতে পারে। খালেক স্যার আর কোন পরীক্ষা না করিয়ে তাকে টিবির ওষুধ
দিলেন । ১৫ দিন ঔষধ খেতে বললেন, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ক্যান্সারের রোগীকে ক্যান্সারের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে টিভির ঔষধ দিয়ে সম্মানিত স্যার সঠিক কাজ করেন নি। ১৫ দিন
পর পরীক্ষা করে দেখা গেল ফুসফুসের ক্যান্সার বড় হয়ে গেছে। ততক্ষণে তার শারীরিক
অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়ে গেছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হল। হামাদানের কাইয়ুম
ভাই তার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। ফার্মগেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ক্যান্সার
বিশেষজ্ঞ দেখানো হলো। ডাক্তার বললেন তার ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে গেছে। এত দ্রুত
ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়ার নজির খুবই কম। ঢাকায় যাওয়ার পর হাবিব ভাই বললেন তিনি
দেশে চিকিৎসা করাবেন না। ঔষধ খাবেন না। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি তিনি নিরাশ
হয়ে গিয়েছিলেন। দুই দিনের মধ্যে কলিকাতার ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার
সিদ্ধান্ত হল। উনার চাচাতো ভাই এবং আমি সফর সঙ্গী হলাম। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা
এতই খারাপ হচ্ছিল,
বিমানের পুরো রাস্তাই তিনি তন্দ্রায় কাঠিয়েছেন। আমার ভয়
হচ্ছিল কলিকাতা যাওয়ার আগেই তিনি এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান কি না। যাই হোক শেষ
পর্যন্ত কলিকাতা শহরের অদূরে ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালে অত্যন্ত কষ্টকর সফর
শেষে আমরা পৌঁছালাম। অনেক রাত হয়ে গেছে তাকে ভর্তি করার পর রাত যাপনের জন্য অনেক
দুরের হোটেলে আমাদেরকে আসতে হয়, পরদিন সকালে আবার হসপিটালে যাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট
পাওয়ার পর চিকিৎসা শুরুর আগেই তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা একজন বাহিরে বসি, অন্যজন
পাশে থাকি। এভাবে পালাক্রমে কয়েক ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পর অপরাহ্ণে তার শ্বাসকষ্ট
বেড়ে যায়। ডাক্তাররা আমাদেরকে কাছে বসতে বলে। ডাক্তার হিসেবে আমার বুঝতে বাকি
নেই, তিনি যে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, শেষ সময়ে আমাদের কাছ থেকে বিদায়
নিচ্ছেন, শ্বাসকষ্টের মধ্যে আমাকে বললেন আমার বড় ছেলে রেদওয়ান কে ডাক্তার বানাতে
চেয়েছিলাম। রেদওয়ান,
ইমাদ এবং আমার পরিবারের দিকে খেয়াল রাখবেন। তারপরই কলেমা
পড়ে পড়ে এই দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিলেন। ডাঃ রেদওয়ান এখন মেডিকেল কলেজের
অধ্যাপক । আন্তর্জাতিক সংস্থা "ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ মুসলিম ইয়থ"
এর কান্ট্রি ডিরেক্টর। রেদওয়ান ডাক্তার হয়েও মুসলিম উম্মাহর অনেক বড় দায়িত্ব
পালন করছে। ইমাদ মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করে সুইডেনে ডক্টরেট করে অনেক বড়
ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে। বাকি ভাই-বোনেরাও আমার জানামতে
দেশে-বিদেশে ভালই আছে। তাদের পিতার রেখে যাওয়া আমার দায়িত্ব আমি যথাযথ পালন করতে
পারি নি। প্রথমদিকে যদিও কিছুটা দায়িত্ব পালন করেছিলাম শেষে আর ততটা পারি নি।
ইমাদ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য তৎকালীন
সময়ের দায়িত্বশীল ওবায়দুল্লাহ ভাইকে অনুরোধ করি, তিনি অবশ্য আমার অনুরোধ রক্ষা
করেন। হাবিব ভাইয়ের রেখে যাওয়া দায়িত্ব পালন করতে না পারা আমার জীবনের এক চরম
ব্যর্থতা। অবশ্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদের জিম্মাদার হয়েছেন। হে আল্লাহ-
তুমি হাবিব ভাইকে এবং ভাবিকে মাফ করে বেহেস্তের উচ্চ মর্যাদা দান করো। তার
ছেলেমেয়েদের কে দুনিয়া এবং আখেরাতে প্রতিষ্ঠিত করো। আমাদেরকে তুমি মাফ করো।
আল্লাহ সহায়।
তারিখঃ ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২২
** লেখকঃ
সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সিলেট শহর শাখা।
সাবেক নায়েবে আমীর, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সিলেট মহানগরী।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।