বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী স্কলার الشيخ يوسف القرضاوي আল্লামা ড. ইউসুফ আল-কারযাভির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর Dr. Shafiqur Rahman ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, “আজীবন মাজলুম বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি, অভিভাবক ও বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী স্কলার আল্লামা ড. ইউসুফ আল-কারযাভি ২৬ সেপ্টেম্বর মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মূলত বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আধুনিক উদ্ভূত নানা জটিল সমস্যার সাবলীল ও গভীর ইজতিহাদভিত্তিক সমাধানমূলক শতাধিক গবেষণা-গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর গ্রন্থগুলো প্রকাশের পরপরই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে জ্ঞানী, গবেষক, বোদ্ধামহল ও সাধারণ মানুষের কাছে সেগুলো ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীরভাবে শোকাহত।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, মুসলিমদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন শায়খ কারযাভি। তিনি মুসলিম ধর্মতাত্ত্বিকদের অভিজাত সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স-এর সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। একইসাথে জর্ডানের রয়্যাল অ্যাকাডেমি ফর ইসলামিক কালচারাল অ্যান্ড রিচার্জ, ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামী এবং ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টার-অক্সফোর্ড এর সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আয়ারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফাতওয়া অ্যান্ড রিচার্স-এর প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মিসরের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অব ইমাম-এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ করেন শায়খ ইউসুফ কারযাভি। ১৯৭৭ সালে তিনি কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন ডীন নিযুক্ত হন। ১৯৯০ পর্যন্ত তিনি এখানে কর্মরত থাকেন এবং একই বছর তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্র’। ১৯৯২ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সীরাত ও সুন্নাহ গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর হিসেবে পুনরায় কাতার ফিরে আসেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, প্রসিদ্ধ একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর হাতে অসংখ্য দাঈ ইলাল্লাহ, ইসলামিক স্কলার এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুযোগ্য নেতা-কর্মী গড়ে উঠেছেন। তাঁরা আরব জাহানের গন্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ইসলামের আলো ছড়াচ্ছেন। তিনি ছিলেন মাজলুম মুসলমানদের হৃদয়ের বন্ধু এবং জুলুমের বিরুদ্ধে আপোষহীন কন্ঠ। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তি পাগল মুসলমানদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ গোলামের জীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানী করে ক্ষমা করুন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রহমতের ফিরিস্তাদেরকে তাঁর খালেছ গোলাম আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহর সঙ্গী বানিয়ে দিন। চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। মরহুমের পরিবার-পরিজন, প্রিয়জন, সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল আতা করুন, আমীন।”
অপর এক শোকবাণীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি Dr. Syeed Abdullah Muhammad Taher আল্লামা ড. ইউসুফ আল-কারযাভির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “তিনি মুসলিম বিশ্বের একজন অভিভাবক ছিলেন। ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও ইসলামের মহান আদর্শ প্রচারের পাশাপাশি ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। শত জুলুম-নির্যাতন, প্রলোভন উপেক্ষা করে তিনি তাঁর আদর্শ ও কর্তব্যে অটল ছিলেন। তাঁর ক্ষুরধার লেখনি মুসলিম উম্মাহকে আলোড়িত করেছে। তিনি ছিলেন সমকালীন সময়ের একজন কিংবদন্তি। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ গোলামকে আবরার বান্দাদের মধ্যে কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। তাঁর শোকাহত স্বজনদের এবং সহকর্মীদেরকে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সবরে জামিল দান করুন। আমীন।”
ড. শফিকুর রহমান
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অভিভাবক, বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামী স্কলার الشيخ يوسف القرضاوي আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী দুনিয়ার সফর শেষ করলেন মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে
ইসলামী আন্দোলনের বিশ্ববিখ্যাত কিংবদন্তি আজীবনের মাজলুম আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহ মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার সফর সমাপ্ত করে কিছুক্ষণ আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। দীর্ঘ জীবনে তিনি সর্বত্রই আলো ছড়িয়েছেন। কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে মৌলিক অনেকগুলো গ্রন্থের তিনি রচয়িতা ছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের কার্যত প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন।
প্রসিদ্ধ একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর হাতে অসংখ্য দাঈ ইলাল্লাহ, ইসলামী স্কলার এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুযোগ্য নেতা-কর্মী গড়ে উঠেছেন। আরব জাহানের গন্ডি অতিক্রম করে সারা বিশ্বে তাঁরা ছড়িয়ে আছেন। তিনি ছিলেন মাজলুম মুসলমানদের হৃদয়ের বন্ধু এবং জুলুমের বিরুদ্ধে আপোষহীন কন্ঠ। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তি পাগল মসুলমানদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ গোলামের আজীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানী করে ক্ষমা করুন এবং এখন থেকে তাঁর যে দীর্ঘ সফর শুরু হলো, এ সফরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রহমতের ফিরিস্তাদেরকে তাঁর খালেছ গোলাম আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহ এর সঙ্গী বানিয়ে দিন। চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
মরহুমের পরিবার, প্রিয়জন, সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল আতা করুন। আমীন।।
ড. শফিকুর রহমান, আমীরঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
মাওলানা মিজানুর রহমান আযহারী
শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার, হাল জামানার মুসলিম উম্মাহর এক বড় নক্ষত্র, বিশ্ববিখ্যাত গবেষক, প্রভাবশালী লেখক এবং চিন্তক— ড. ইউসুফ আল কারদ্বাভি আল্লাহ তা’আলার জিম্মায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন।
জগদ্বিখ্যাত এই মিশরীয় স্কলার নির্বাসিত অবস্থায় তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলো কাটিয়েছেন কাতারে। সেখানে বসেই রচনা, গবেষণা, লেকচার ইত্যাদিতে পূর্ণ আত্ননিয়োগ করেছিলেন। মিশরে আল আজহার জামে মসজিদে একবার সরাসরি শাইখের জুমার খুৎবাহ শুনার সৌভাগ্য হয়েছিল। ২০১৮ সালে আমার কাতার সফরের সময়কালে শাইখের সাথে একান্ত সাক্ষাতের এপয়েনম্যান্ট নিয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি।
উম্মাহর এই রাহবার তাঁর সকল লেখনি ও বক্তব্যে উম্মাটিক কনসেপ্ট এবং ওয়াসাতিয়্যাহ ফ্রেমওয়ার্ক তথা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতেন। তাই তাকে ইমামুল ওয়াসাতিয়্যাহ বলা হয়। সমসাময়িক নানা ইস্যুতে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা ও যৌক্তিক উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উনার সমতূল্য দ্বিতীয় কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আগামী একশো বছর মুসলিম উম্মাহ এমন লিজেন্ডারি স্কলার পাবে কিনা আল্লাহ মা’লুম।
রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, দর্শনসহ নানা বিষয়ে তিনি শতাধিক বই লিখেছেন। সমসাময়িক বিশ্বে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বার্তা প্রদান করেছেন। মধ্যমপন্থী স্কলারদের সুসংগঠিত করেছেন। গোটা আরববিশ্বে রীতিমত ইসলামি নব জাগরণ তৈরী করেছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম তাঁকে দীর্ঘদিন আমাদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখবে।
মিজানুর রহমান আযহারী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও প্রখ্যাত মুফাস্সিরে কুরআন
মাওলানা মুহাম্মদ রশীদ চৌধুরী
আজ 26/09/2022 বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অভিভাবক, আল ইত্তেহাদ আল আলমী লিল উলামা আল মুসলিমীন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামী স্কলার আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী আজকে এই দুনিয়ার সফর শেষ করলেন মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে । انا لله و انا إليه راجعون
তার দীর্ঘ জীবনে তিনি দুনিয়ার সর্বত্রই ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে মৌলিক অনেকগুলো গ্রন্থের তিনি রচয়িতা ছিলেন। তার লিখনি মাঝে চরম বাড়াবাড়ি ও চরম ছাড়াছাড়ির মাঝামাঝি “মধ্যমপন্থা”র সন্ধান দেন মুসলিম উম্মাহকে। বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের কার্যত প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন।
প্রসিদ্ধ একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর হাতে অসংখ্য দাঈ ইলাল্লাহ, ইসলামী স্কলার এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুযোগ্য নেতা-কর্মী গড়ে উঠেছেন। আরব জাহানের গন্ডি অতিক্রম করে সারা বিশ্বে তাঁরা ছড়িয়ে আছেন। তিনি ছিলেন মাজলুম মুসলমানদের হৃদয়ের বন্ধু এবং জুলুমের বিরুদ্ধে আপোষহীন কন্ঠ। বিশেষ করে ফিলিস্তিন ও আল কুদস ইস্যুতে তাঁর বজ্রকণ্ঠি অবস্থান বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তি পাগল মসুলমানদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন। মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের ইনতিকালের পর কাতারে তার নেতৃত্বে ও ইমামতিতে গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। উস্তাদ মওদূদী রাহি. এর ইনতিকালের পর তিনি সরাসরি উপস্থিত হয়ে তার জানাযায় ইমামতি করেন। উল্লেখ্য যে আমার এই কাতার প্রবাস জীবনে বেশ কয়েকবার তার সান্নিধ্যে মোলাকাত করার সুযোগ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। যখনি বলতাম আমি বাংলাদেশী। তখনই তিনি আমাকে তার কাছেই ডেকে নিয়ে বসাতেন। বাংলাদেশ এর বিভিন্ন খবরাখবর জানতেন। বাংলাদেশ এর প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা দেখে আমাদের শ্রদ্ধা তার প্রতি আরও বৃদ্ধি পেত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ গোলামের আজীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানী করে ক্ষমা করুন এবং এখন থেকে তাঁর যে দীর্ঘ সফর শুরু হলো, এ সফরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রহমতের ফিরিস্তাদেরকে তাঁর খালেছ গোলাম আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহ এর সঙ্গী বানিয়ে দিন। চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
মরহুমের পরিবার, প্রিয়জন, সহকর্মী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল আতা করুন। আমীন।।
জ্ঞাতব্যঃ মরহুমের নামাযে জানাযায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করছি। জানাযার নামাযের সময়ঃ আগামীকাল ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার, বাদ আসর কাতারের মসজিদ আব্দুল ওয়াহহাবে (গ্র্যান্ড মস্ক বা বড় মসজিদ-দাফনা) ।
মাওলানা মুহাম্মদ রশীদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সভাপতিঃ বাংলাদেশ কুরআন সুন্নাহ পরিষদ কাতার
ড. মুবারক হোসাঈন
বিশ্ব বরেণ্য স্কলার ও ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ প্রফেসর ড. ইউসুফ আল কারযাভী ৯৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন।
ইসলামী আন্দোলন, মানব জীবন, সামাজিক বিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, দর্শনসহ নানা দিক বিভাগ নিয়ে অসংখ্য বই লিখেছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ইসলামী জগরণে তার ভূমিকা অনন্য। মিশরীয় বংশদ্ভূত দ্বীনের বিশিষ্ট খাদেম কারযাভী মুসলিম ব্রাদারহুড সরকার পতনের পর থেকে কাতারে নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন।
ড. মুবারক হোসাঈন, প্রাক্তণ কেন্দ্রীয় সভাপতিঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
মাসুদ সাঈদী
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের কিংবদন্তি আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহ ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সারা জীবন এ মাজলুম ইসলামের আলো ছড়িয়েছেন। কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে মৌলিক অনেকগুলো গ্রন্থের তিনি রচয়িতা ছিলেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী আন্দোলন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার নামের সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
আমার সম্মানিত পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাফিজাহুল্লাহর সাথে ওস্তাদ ইউসুফ আল কারযাভী রাহিমাহুল্লাহর সাথে ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তারা একসাথে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলো দেশ সফর করেছেন এবং সে সব দেশের সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে তারা একই সাথে অংশগ্রহণ করেছেন।
ওস্তাদ ইউসুফ আল কারযাভীর মতো বিশ্বজুড়ে গ্রহনযোগ্য একজন আলেমের অভাব কবে পূরণ হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন। আল্লাহ তায়ালা দয়া করে এ শূণ্যতা পূরণ করে দিন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার এ গোলামের আজীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানী করে ক্ষমা করুন এবং চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তাআলা তাঁকে জান্নাতুল ফিরুদাউস নসীব করুন।
মরহুমের পরিবার, প্রিয়জন, সহকর্মী এবং শুভাকাংখীদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবরে জামিল দান করুন। আমীন।
মাসুদ সাঈদঃ কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীর পুত্র
এক মহাজ্ঞানীর বিদায়ে হ্নদয়ের উপলব্ধিঃ........ ড. জাকিয়া নূর
ড.ইউসুফ আল কারযাভী (রাহিঃ)শুধু একটি নাম নয়,একটি ইতিহাস। তাকে কখনো দেখিনি ফেসবুক মাধ্যম ছাড়া। তবুও কেমন যেন এক শ্রদ্ধাও ভালোবাসা অনুভব করছি। জ্ঞানের জগতে কেমন যেন এক সীমাহীন নিস্তব্ধতা অনুভব করছি। শত সহস্র কিলোমিটার দূরে থেকেও তাকে হ্নদয় দিয়ে অনুভব করছি। ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলনের জন্য কতোটা ত্যাগী হলে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়? হামাস,ইখওয়ান ও তা/লে/বান সহ আরো অনেক বিশ্বব্যাপী ইসলামি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন তিনি। ৯৬ বছরে লিখেছেন অগণিত কিতাব। তার লেখা সামান্য কয়েকখানা কিতাব পড়েই অবাক হয়েছি! (যদিও এমন মহাজ্ঞানীদের লেখার মুল্যায়ন করার সাহসও আমাদের নেই,জ্ঞানের তো প্রশ্নই আসেনা।) ভেবেছি, এমন গভীর জ্ঞান অর্জন কি করে সম্ভব? একজন মানুষ এতো কিতাব কিভাবে লিখেছেন? আহ! বিশ্ব হারালো ইসলামি আন্দোলনের অনুপ্রেরণাদায়ী এক মহা জ্ঞানীকে। আল্লাহ তার খেদমতকে কবুল করুন।
তার জানাযার দৃশ্য দেখলাম আর ভাবলাম, কি মহান এক জ্ঞানী মানুষ বিদায় নিলেন। বিশ্ব মুসলিম কি এক অমুল্য রত্ন হারালো। আরেকটি বিষয় উপলব্ধি করলাম।আর তা হলো ---
ব্যক্তি যে মানের হয়,তার বন্ধু,শুভাকাঙ্ক্ষীও সেই মানেরই হয়। একজন বিশ্ব বরেণ্য আলেমের জানাযা পড়ালেন,আরেক বরেণ্য বিশ্ব বিখ্যাত আলেম মৌরতানিয়ার শায়খ শানক্বীতি (হাফিঃ)। পিছনে জানাযায় শামিল হয়েছেন আরব বিশ্বের অসংখ্য লেখক, গবেষক ও আমীরগণ ! জানাযা শেষে বিশ্ববিখ্যাত আলেমগণ করলেন স্মৃতিচারণ। কি এক মনমুগ্ধ করা দৃশ্য! শুনলাম অবাক করা অনুভূতির কথা! চল্লিশ বছর সংস্রব প্রাপ্ত মানুষটিও স্বীকৃতি দিলেন, ড.ইউসুফ আল কারযাভীকে এই দীর্ঘ সময়ের কোন সময় কারো গীবত করতে দেখেননি। আল্লা-হু আকবার! অথচ আমরা আজ কোথায়?
আফসোস! আমাদের সমাজের আলেমরা-
আমরা আমাদের ঘরানার আলেম হচ্ছি
আমাদের তরীকার আলেম হচ্ছি
আমাদের দলের আলেম হচ্ছি
আমরা সকলের আলেম হচ্ছিনা,হতে পারছিনা।
হয়তো এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, অথবা আমাদের ব্যর্থতা,অথবা আমাদের সংকীর্ণতা।
....ড.জাকারিয়া নুর লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদ
ইফতিখার সিফাত
শাইখ ইউসুফ আল কারজাভি রহিমাহুল্লাহ। প্রায় ৯৬ বছর হায়াত পেয়েছেন। উসমানি খিলাফার বিলুপ্তির ২ বছর পরই তার জন্ম। মিশরে উপনিবেশ শাসনের অধীনে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন। খিলাফতের বিলুপ্তির পর মুসলিম বিশ্বে খিলাফা ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যতগুলো আন্দোলনের ধারা শুরু হয়েছে তিনি প্রায় সবগুলোর সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে প্রধান ছিল ইখওয়ানুল মুসলিমীন। সূচনার পর ইখওয়ানুল মুসলিমীন থেকেও কয়েকটি ধারার জন্ম হয়।
এরমধ্যে সায়্যেদ কুতুব রহিমাহুল্লাহর আদর্শ ছিল সশস্ত্র বিপ্লবী ধারা। এখান থেকে কারজাভি রহিমাহুল্লাহর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কারজাভি ছিলেন সাইয়্যেদ কুতুবের সমালোচকদের একজন। সেই সমালোচনায় তিনি বেশ কঠোরও ছিলেন। তিনি ইমাম হাসানুল বান্নাহ, উস্তায মুওদুদি সহ বিভিন্ন ধারার ইসলামী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিদের পেয়েছেন। আব্দুল্লাহ আজ্জাম রহিমাহুল্লাহর প্রতিও ছিলেন মুগ্ধ। উনার শাহাদাতের পর আরব বিশ্বের মিডিয়াগুলো যখন নিশ্চুপ, তখন কারজাভি বজ্র শব্দে একটি শোকবার্তা লিখেছিলেন। শোকবার্তার ভাষা যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
ইসলামী শাসনব্যবস্থার বিলুপ্তির পরপরই তার জন্ম। আবার মুসলিম বিশ্বে ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটা সূচনাপর্বে তিনি বিদায় নিয়েছেন। অধঃপতিত মুসলিম জাতির রাজনৈতিক উত্থান ও ক্ষমতায়নে তিনি অনুরাগী ছিলেন এবং এই লক্ষ্যে নিজের মুজাহাদার সাক্ষর রেখে গেছেন। কিন্তু পতনকালের সময় ইজতিহাদ ও ফিকহের যেই পন্থা তিনি বেছে নিয়েছিলেন সেটি নিশ্চিতভাবেই সমালোচনার যোগ্য। মুহাম্মাদ আব্দুহু আর জামালাদুদ্দীন আফগানিদের উস্তাদ মানতেন। নিজেকে তাদের ধারার একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচয় করাতেন। এই পথে ইজতিহাদ ও তাজদিদের নামে তিনি অনেক শুযুযের পথে হেঁটেছেন। হেঁটেছেন পূর্বসূরিদের স্বীকৃত ও সমাধানকৃত অনেক মাসআলার বিরুদ্ধে। তার এই আধুনিকায়ন প্রকল্প কখনোই মুসলিম বিশ্বের জন্য পশ্চিমা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সফল ছিল না। বরং এই প্রকল্প ইসলামী বিশ্বে পশ্চিমের সাংস্কৃতিক কাঠামোকে অনেকটা সহনীয় করেছে।
আধুনিকায়ন প্রকল্পে যেসব মাসআলাকে তিনি তাজদিদ করার দাবি করেছেন কিংবা শুযুযের পথ বেছে নিয়েছেন, সেসব মাসআলার মতালম্বীদের জুমুদ, গোড়া ও মুতাআসসিব বলে আঘাতও করেছেন। ফলে এসব জায়গায় উনার সাথে কঠোরভাবে দ্বিমত পোষণ করি। এবং উনাকে মর্ডানিস্ট ইসলামের একটি সিড়ি হিসেবে মনে করি।
উনার জীবন কর্মমূখর ছিল। বয়ান, বক্তৃতা, সভা, সংগঠনের পাশাপাশি প্রায় ২০০ রচনা তিনি রেখে গেছেন। এসব রচনার প্রতিটিই ছিল জটিল বিষয় ও আলোচনা সমৃদ্ধ। তার জীবনের অধ্যায়গুলো আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাময়। তিনি তার জীবনের সময়কে নষ্ট করেননি। নিজের লক্ষ্যপানে চলেছেন অবিরাম। কোন কিছুর পরোয়া না করে তৈরি করে গেছেন নিজের চিন্তার সমৃদ্ধ রসদ।
মিসরের মাঠিতে জন্ম। কিন্তু জন্মভূমিতে মৃত্যু হয়নি। মিশরের স্বৈরশাসকের নিগ্রহে বিতাড়িত হয়েছেন নিজ দেশ থেকে। আশ্রয় পেয়েছিলেন কাতারে। কাতারের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা মনে হয় তাকে আরো ফুরসত দিয়ে অদ্যোবসায় কাজ করে যাওয়ার জন্য। তিনি কাতারে নির্বাসিত জীবনের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন নিশ্চয়।
তিনি আজ বিদায় নিয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আল্লাহ তার উপর রহম করুন এবং তার ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা করুন।
আহমাদুর রহমান খান হিনু
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা ইসলামিক স্কলার ড, ইউসুফ আল কারযাভী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। উনার পিছনে বহুদিন নামাজ পড়েছি। উনার লিখা অনেক বই পড়েছি। বিশেষ করে রমজানের শেষ ১০ দিনে দেওয়ান আমিরি মসজিদে ৪ রাকাতের পর উনি বক্তব্য রাখতেন। আল্লাহ তাঁকে চমৎকার কন্ঠ দিয়েছিলেন। উনি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতেন। উনার ছোট্ট একটি বইতে পড়েছিলাম। অজুখানার পাশে পানির ফ্রিজ থেকে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে পানি পান করছে। আরো একজন খুব রাগ করে বলতেছে বসে পান করুন। বসে পান করুন। লোকটি হতভম্ব হয়ে গেছে। তখন উনি বললেন আচ্ছা আর বলিও না। তখন লোকটি বলছে- না হুজুর কেনো দাঁড়িয়ে পান করবে? দাড়িয়ে শয়তানে পান করে। তখন তিনি বললেন তুমি কি বুখারী শরীফের পানি অধ্যায় পড়েছো? বললো না। তখন তিনি বললেন ওখানে লিখা আছে দাড়িয়ে ও পানি পান করা যায়। অর্থাৎ কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
আহমাদুর রহমান খান হিনুঃ সাবেক কাতার প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা, চেয়ারম্যানঃ মানবকল্যাণ সংস্থা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক।
কে এই পন্ডিত মনিষী?..............সাদিক সিকান্দার
ইউসূফ আল-কারযাভী। একজন মিশরীয় ইসলামি স্কলার। ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে লেখা তার কয়েকশ গ্রন্থ রয়েছে। সবগুলোই পাঠক মহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। আল জাজিরা টেলিভিশনে শরীয়াহ এবং জীবন নামক তার অনুষ্ঠান তাকে পৃথিবীব্যাপি পরিচিত করে তোলে। তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড এর পরামর্শক। তাকে ব্রাদারহুডের শীর্ষস্থানীয় নেতা মনে করা হয়। তিনি আলেমদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইত্তেহাদুল আলামী লি উলামাইল মুসলিমীন এর সভাপতি ছিলেন।
দশ বছর বয়স হবার আগেই তিনি হিফজ সম্পন্ন করেন। অত:পর আল-আজহারের শিক্ষাপদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা করেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি সারা মিশরে দ্বিতীয় হন। আল আজহারের উসুলুদ দ্বীন অনুষদ থেকে অনার্স ও মাষ্টাস এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পিএইচডি বিষয় ছিল “যাকাত এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে তার প্রভাব।”
দুই বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। চাচা তার শিক্ষাদিক্ষার ভার বহন করেন। ইখওয়ানুল মুসলেমিনের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে তাকে বেশ কয়েকবার কারাবরণ করতে হয়। প্রথমবার ১৯৪৯ সালে রাজকীয় আমলে। এরপর প্রেসিডেন্ট জামাল আব্দুন নাসেরের আমলে তিনবার।১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার।একই সালের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয়বার ২০ মাস কারারুদ্ধ হন এবং শেষবার ১৯৬৩ সালে কারাবন্দী হন। ১৯৬১ সালে তিনি কাতার চলে আসেন এবং ১৯৭৩ সালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠা করেন এবং ডিপার্টমেন্ট প্রধান হিসেবে যোগ দেন।
১৪১১হিজরীতে ইসলামী অর্থণীতিতে অবদান রাখায় ব্যাংক ফয়সল পুরস্কার লাভ করেন। ১৪১৩ হিজেরীতে ইসলামী শিক্ষায় অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কারের জন্য তাকে সিলেক্ট করা হয়। মুসলিম বিশ্বের নোবেল খ্যাত এ পদকটির পাওয়ার সন্মানটা এ বছর তার ভাগ্যে জোটে। ১৯৯৭ সালে ব্রুনাই সরকার তাকে হাসান বাকলি পুরস্কারে সম্মান প্রদান করে।
অদ্য ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইংরেজি এই মনিষী ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করুন।
আসাদুজ্জামান সালেহ
তিনি আর নেই!
ইহকাল ত্যাগ করে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়েয়েছেন।
অনেক ইচ্ছা ছিল যদি কোথাও কখনো সুযোগ পাই, শায়েখের সাথে সাক্ষাৎ করব।, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও একটু খানি চেহারা দেখে কিছু কথা শুনবো।
ইচ্ছেটা প্রবল ছিল এমন যে! ঈদগাহে গেলে তাকে দেখা যাবে কিন্তু নন অথরিটি গাড়ি দিয়ে প্রবেশ নিষেধ থাকায় ঈদগাহে প্রবেশের সুযোগ হয়নি।
আর কখনো সুযোগ হবেও না
#যুগ শ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার, #শায়েখ_ইউসুফ_আল_কারদাভী
৯৬ বছর বয়সে আজ দুপুরে ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
“মুসলীম বিশ্ব তাদের সবচেয়ে আন্তরিক ও গুণী আলেমদের একজনকে হারিয়েছে।
মহান আল্লাহ শায়েখ কে ক্ষমা করে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
আসাদুজ্জামান সালেহ কাতার প্রবাসী অনলাইন এক্টিভিষ্ট ও আলেমী দীন এবং দায়ী
মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিন
একজন শ্রেষ্ঠ Islamic scholar ড. ইউসুফ আল কারযাভী এর বিদায়। আল্লাহ্ যেন তার সকল ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেন। মানুষ বড় হলে তার মানবিক চরিত্র ও যে কত মহৎ হয় তা আমি তার সাথে সাক্ষাৎ না হলে বুঝতাম না। 2018 সালে তার সাথে সাক্ষাৎ করার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল। তিনি নিজে অন্যের সাহায্য ছাড়া হাটতে পারেন না। অথচ আমাদেরকে নিজ হাতে খেজুর ও চকলেট দিয়ে আপ্যায়ন করেছিলেন। হে আল্লাহ্ এমন মহৎ চরিত্রের মানুষটাকে আপনি জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানিয়ে নেন আমিন।
মুহাম্মদ বুরহান উদ্দিনঃ কাতার প্রবাসী কমিউনিটি নেতা
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স
ইমামুল ওয়াসিতিয়্যাহ, বিশ্ব মুসলিমের অভিভাবক, বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামি স্কলার আল্লামা ড. ইউসুফ আল কারজাভি দুনিয়ার সফর শেষ করলেন মহান মাওলার ডাকে।
দীর্ঘ জীবনে তিনি সর্বত্রই আলো ছড়িয়েছেন। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মৌলিক অনেকগুলো গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন তিনি।
প্রসিদ্ধ একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর হাতে অসংখ্য দাঈ ইলাল্লাহ, ইসলামি স্কলার এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার সুযোগ্য নেতা-কর্মী গড়ে উঠেছেন। আরব জাহানের গণ্ডি অতিক্রম করে সারা বিশ্বে তাঁরা ছড়িয়ে আছেন। তিনি ছিলেন মাজলুম মুসলমানদের হৃদয়ের বন্ধু এবং জুলুমের বিরুদ্ধে আপসহীন কন্ঠ। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মুক্তি পাগল মসুলমানদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর এ গোলামের আজীবনের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন, মানবিক ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মেহেরবানি করে ক্ষমা করুন। চূড়ান্ত পুরষ্কার হিসেবে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন।
আল্লামা ইউসুফ আল ক্বারদাভীকে নিয়ে আমার প্রিয় বাংলা বইয়ের যত আয়োজন
ডঃ ইউসুফ ইবন আব্দুল্লাহ আলক্বারাদাওয়ীর ইন্তেকাল – ড. এম. আব্দুস সালাম আযাদী
আল্লামা ইউসুফ আল কারদাভীর ইনতিকাল - বাংলাভাষীদের শোক
ড. ইউসুফ আল কারযাভী : জীবনী সংক্ষেপ - আব্দুল কাদের তাপাদার
ড. ইউসুফ আল-কারজাভি - শাইখুল আজম আবরার
ডঃ ইউসুফ আলক্বারাদাওয়ীকে নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার– ড. এম. আব্দুস সালাম আযাদী
আল্লামা ইউসুফ আল কারদাভী এর বই সমূহ
📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘
আমার প্রিয় বাংলা বই হোয়াইটসআপ গ্রুপে যুক্ত হতে এখানেক্লিক করুন, টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং ফেইসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।