সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রাহি. রচিত তাকদীর বিষয়ক গ্রন্থ তাকদীরের হাকীকত। দাঁতভাঙা বিষয়বস্তুর বইটি পড়ে সহজে বুঝা এবং মনে রাখা খুবই কঠিন। তাই তকদীরের হাকীকত শুরু থেকে শেষ পৃষ্টা অবধি গ্রহণ করা হয়েছে সম্ভাব্য ২৭৮টি প্রশ্ন। যদি আপনি ২৭৮টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেন, তাহলে তাকদীর সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণার সুচনা হবে।
তাকদীরের হাকীকত বইয়ের ২৭৮টি প্রশ্নের বিস্তারিতঃ
প্রশ্নোত্তরঃ তাকদীরের হাকীকত
1. ‘তাকদীরের হাকীকত’ মাওলানা
মওদূদীর একটি গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকার বাংলা অনুবাদ। তাহলে মূল পুস্তিকাটির নাম কি?
2. হাদীস অস্বীকারকারী এবং ইসলামে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী জনৈক ব্যক্তির
চিঠির জবাবে মাওলানা মওদূদী একটি নিবন্ধ রচনা করেন। যা বই আঁকারে প্রকাশিত হয়। বইয়ের বাংলা বা উর্দূ নাম কি?
3. ঈমান বিল কদর অর্থ কি?
4. ঈমানের একটি অপরিহার্য অংগ কি?
5. তাকদীরের হাকীকত বইটি একদিকে যেমন তাকদীর সম্পর্কে কুরআন সুন্নাহ
ও যুক্তির আলোকে যাবতীয় বিভ্রান্তির জবাব দেয়া হয়েছে, অপর দিকে কি করা হয়েছে?
6. কুরআনে কতক আয়াত এমন যে, তা থেকে বোঝা যায়,
মানুষ সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর ইচ্ছা ও ক্ষমতায় পরিচালিত ও নিজস্ব কোনো
স্বাধীনতা ও ক্ষমতা নেই। অপরদিকে কোন কোন আয়াত ঠিক এর বিপরীত। সে সব আয়াত থেকে কি বোঝা যায়?
7. গোমরাহী ও হেদায়াত সম্পর্কে একদিকে তো এমন খোলাখুলি ও সুস্পষ্ট
আয়াত বিদ্যমান যাতে আলো ও অন্ধকার, ঈমান ও কুফুর এবং
বিপথ ও সুপথ অবলম্বন করাকে মানুষের ইচ্ছা ও চেষ্টার অধীন বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে কুরআনের ৪টি আয়াত রয়েছে। যে কোন একটির অনুবাদ বলুন।
8. গোমরাহী ও হেদায়াত সম্পর্কে একদিকে তো এমন খোলাখুলি ও সুস্পষ্ট
আয়াত বিদ্যমান যাতে আলো ও অন্ধকার, ঈমান ও কুফুর এবং
বিপথ ও সুপথ অবলম্বন করাকে মানুষের ইচ্ছা ও চেষ্টার অধীন বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে কিছু আয়াতে এই বিষয়গুলোকে আল্লাহর
ইচছার অধীন বলা হয়েছে। এ সম্পর্কে
কুরআনের দুইটি আয়াতের অনুবাদ লিখুন।
9. আল মুদ্দাসসিরের ৫৫ আয়াতে “যার ইচ্ছা
হয় এই কিতাব থেকে উপদেশ নিক” এবং আত তাকভীরের ২৭-২৮শ আয়াতে “এই গ্রন্থ সারা বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ, বিশেষতঃ
তোমাদের মধ্যে যারা সরল ও সঠিক পথে চলতে চায় তাদের জন্য।” এ দুটো কথা বলে কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য মানুষের
ইচ্ছাকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এর পরপরই কুরআনের দুইটি
আয়াতে এই ইচ্ছাকে আল্লাহর ইচ্ছার অধীন বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে
নেয়া হয়েছে। আয়াত দুইটির অর্থ কি?
10. হেদায়াতের জন্য আল্লাহ বিভিন্ন শর্ত বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে কুরআনের তিনটি আয়াতের যে কোন ২টির
অনুবাদ লিখুন।
11. “যখন
তোমরা শুনতে পাবে যে একটি পাহাড় নিজ স্থান থেকে সরে গেছে, তখন তা বিশ্বাস করো।” এটা হাদীসে
রাসূলের নির্দেশ। সাথে সাথে
আল্লাহর রাসূলের ‘বিশ্বাস না করতে’ নির্দেশ
কি?
12. পুনর্জন্মবাদ ও কপালের লিখনের ফ্যাকড়া তুলে ধরে মানুষকে
সম্পূর্ণরূপে অসহায় ও নিরূপায় বানিয়ে দেয়া হয়েছে কোথায়?
13. স্রষ্টাকে একবোরেই অক্ষম ও নিষ্ক্রিয় দেখিয়েছে কারা?
14. কারা স্রষ্টাকে একজন ঘড়ি নির্মাতার মতো মনে করেছে-যিনি একবার ঘড়ি তৈরী করার পর তাকে নিয়ম-কানুনের আওতাধীন করে দিয়ে নিজে
নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন?
15. জাবরিয়া মতবাদ কি?
16. কাদরিয়া মতবাদ কি?
17. কোন কোন মতবাদ বেশ উগ্রভাবাপন্ন?
18. মাওলানা মওদূদী রাহি. এর বক্তব্য অনুযায়ী
তাকদীর সমস্যাটা যদিও অত্যন্ত পুরোনো এবং এ নিয়ে লিখিতভাবে হাতে বহু উপাদান
রয়েছে। তারপরও কোন প্রয়োজনে মাওলানা
মওদূদী তাকদীর বিষয়ে লিখলেন?
19. কাদের জন্য তাকদীরের হাকীকত নামক পুস্তিকা সমাধানের দিক
নির্দেশক হবে বলে আশা করা যায়?
20.কোনো চিন্তা-গবেষণা ছাড়াই এবং নিছক স্বতঃস্ফূর্ত ও
প্রাথমিক বুদ্ধি বিবেচনা থেকেই যে কোনো মানুষ কি ধারণা পোষণ করে থাকে?
21. কেউ যদি কাউকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে কিংবা গালি দেয় তবে
তার মনে কোন কল্পনার উদয় হয় না?
22. যদি কোন লোক উন্মাদ হয় তবে তার ঢিল ছোঁড়া বা গালি দেয়াকে
কেউ ইচ্ছাকৃত অপরাধ মনে করে না। তখন কি করা হয়? কেন করা হয়?
23.বাধ্য হয়ে যে কাজ করা হয় তার জন্য মানুষ দায়ী নয়। তাহলে মানুষ কখন দায়ী?
24. মানুষ নিজেকে যতখানি স্বাধীন ও সক্ষম মনে করে, আসলে সে ততোটা নয়। এই
কথাটা মানুষ কখন বুঝতে পারে?
25.মানুষ নিজের অধীনতা ও বাধ্যবাধকতার যে সীমানা চিহ্নিত করে
আসলে তা তার চেয়ে অনেক বেশী প্রশস্ত ও বিস্তৃত। এই কথাটা মানুষ কখন বুঝতে পারে?
26. অদৃষ্ট তত্ত্বের ভিত্তি তিনটি প্রশ্নের উপর প্রতিষ্ঠিত। যে
কোন ১টি উল্লেখ করুন।
27.পৃথিবীর চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ নিবন্ধমালা ও মতভেদ মৌলিকভাবে
চার ভাগে ভাগ করা যায়। তা কি কি?
28.অতি প্রাকৃতিক মতবাদগুলোতে অদৃষ্ট বা তাকদীরের ব্যাপারটা
কয়দিক থেকে বিবেচনায় আসে?
29. সক্ষমতা বলতে আমরা কি বুঝি?
30. সক্ষমতা বলতে আমরা এই বুঝি যে, কর্তা এমন এক সত্তা হবে যার দ্বারা কাজ সংঘটিত হওয়া এবং না হওয়া দুটোই
সম্ভব। অন্যকথায় আমরা কি বুঝি?
31. মানুষের ইচ্ছা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের বাইরের এক বস্তু। এর মাধ্যমে কোন কথা মেনে নিতে হয়।
32.যুক্তিসিদ্ধ প্রমাণাদি দ্বারা কোন কথা সত্য বলে সাব্যস্ত
হয়েছে?
33. যা সৃষ্টি করবেন তার সম্পর্কে যদি জ্ঞাত না থাকেন এবং
সৃষ্টি করার ইচ্ছা না করেন, তাহলে তিনি কি হতে পারেন না?
34. স্রষ্টা যা সৃষ্টি করবেন তার সম্পর্কে যদি জ্ঞাত না থাকেন
এবং সৃষ্টি করার ইচ্ছা না করেন, তাহলে তিনি স্রষ্টা হতে
পারেন না। এই মূলনীতি অনুযায়ী কি স্বীকার করা অনিবার্য?
35. “প্রচলিত পরিভাষায় স্বাধীন বলতে বোঝা যায় সম্ভাব্য স্বাধীন-কার্যতঃ
স্বাধীন নয়। আর যে
সম্ভাব্য স্বাধীন সে কার্যতঃ স্বাধীন হওয়ার জন্য একটি সহায়ক উপাদানের মুখাপেক্ষী। সেই সহায়ক উপাদান তার নিজ সত্তার ভেতরে থাক বা বাইরে থাক
তাতে কিছু আসে যায় না। কাজেই
আমাদের যারা স্বাধীন, প্রকৃতপক্ষে তারা অক্ষম ও অধীন।” এই বক্তব্য কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত এবং বইটির লেখক কে?
36. “ভালো-মন্দের
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তাই বিবেকের
সর্বাত্মক ফায়সালা এই যে, মানুষ স্বাধীন নয়।” এই উক্তিটি একজন ইউরোপীয় দার্শনিকের। তার নাম কি?
37. “মানুষ নিজের স্বভাব ও সহজাত প্রবৃত্তির হাতে পুরোপুরি বন্দী ও বাধ্যগত।” এই উক্তিটি কার?
38. একজন দার্শিনিক যিনি মন ও দেহকে অথবা আত্মা ও বস্তুকে
সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস মনে করেন, তিনি বস্তুজগতের
সর্বত্র কেবল অক্ষমতা ও অধীনতাই ক্রিয়াশীল দেখতে পান। তাঁর মতে মানুষসহ সমগ্র বিশ্ব যন্ত্রের মতো বশীভূত হয়ে কাজ করছে। কে সেই দার্শনিক?
39. কার্টেজীর মতবাদের প্রবক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষস্থানীয়
ব্যক্তি কে?
40. “স্রষ্টা মনের প্রতিটি ইচ্ছার সাথে সাথে দেহে গতি ও চাঞ্চল্যের সঞ্চার করেন। দেহের প্রতিটি চাঞ্চল্যের সঙ্গে সঙ্গে মনে চেতনা ও
উপলব্ধির সৃষ্টি করেন।” এই উক্তিটি
কার?
41. “মানুষ আপন সত্তার
মধ্যে যতই সক্রিয়তা অনুভব করুক না কেন, আসলে সে
স্বয়ংক্রিয় নয়। বরং অন্যের
দ্বারা সঞ্চালিত।” এই কথাটা কে বলেছেন?
42. ইচ্ছাকৃত ও বাধ্যতামূলক কাজে পার্থক্য দেখিয়ে মানুষকে
কিছুটা স্বাধীন এবং কিছুটা অধীন বলে আখ্যায়িত করেছেন কে?
43. 'স্বাধীনতা নয় অধীনতাও নয়, মধ্যবর্তী একটি অবস্থা' কিন্ত এসব মতবাদ বাস্তব
কৌশলের খাতিরে প্রণীত— তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের খাতিরে নয়। - এই উক্তি কাদের?
44. দার্শনিকদের যা কিছু মতভেদ হয়েছে তা প্রধানতঃ
জাবরিয়াত বা অধীনতাবাদ বনাম কাদরিয়াত বা
স্বাধীনতাবাদ নিয়ে হয়নি। তাহলে
কি নিয়ে হয়েছে?
45. মানুষ যা কিছুই করে, কোনো এক বা
একাধিক উপকরণের প্রভাবেই তা করে। একটা কাজ সংঘটিত হওয়ার জন্য যেসব উপকরণের প্রয়োজন, তা যদি একত্রিত না হয় তাহলে কাজটা সংঘটিত হতে পারে না। এ উভয় ক্ষেত্রে মানুষ একেবারেই অক্ষম ও অসহায়। এই চিন্তাধারা তাকদীর বিষয়ে কোন ধরণের দৃষ্টিকোণ?
46. কোন দর্শণ বস্তুবাদী দর্শন সব সময় মানুষের অক্ষমতা ও
অধীনতারই পক্ষপাতী।
47. “বিশ্বের সকল জিনিষ
প্রাকৃতিক নিয়মের অটুট নিগড়ে আবদ্ধ।” এই উক্তিটি কার?
48. মানুষকে একটি আত্মিক ও মনস্তাত্ত্বিক সত্তার পরিবর্তে নিছক
একটি যান্ত্রিক সত্তা হিসেবে গণ্য করা হলো কোন সময়ে এবং কখন?
49. স্বাধীনতাবাদকে প্রকৃতি দর্শনের পরিমণ্ডল থেকে ঝেটিয়ে
বিদায় করে বিজ্ঞান পুরোপুরিভাবে কোন দর্শণকে সমর্থন দিয়ে বসলো?
50. Biology এবং Physiology এর বাংলা কি?
51. কোন দুইটি বিষয়ে আধুনিক গবেষণা ও তথ্যানুসন্ধানের ফলে
মনস্তত্ত্ব এখন বলতে গেলে এই দুটো বিষয়ের অন্যতম শাখায় পরিণত হয়েছে?
52. মগজের আকৃতি, তার গঠন
এবং মগজকোষ ও স্নায়ুতন্ত্রীর প্রকৃতির ওপরই মানুষের কি নির্ভরশীল?
53. কোন জিনিস খারাপ হয়ে গেলে মানুষের স্বভাবও বিকৃত হয় এবং
তার দ্বারা খারাপ কাজ ও খারাপ প্রবণতা প্রকাশ পায়?
54. কোন জিনিস ভালো হলে তার স্বভাবও ভালো হয় এবং উত্তম প্রবণতা
ও উত্তম কার্যকলাপ সংঘটিত হয়?
55. নৈতিকতার ভাষায় যে জিনিসকে আমরা পুণ্যকর্ম ও সদাচার বলে
আখ্যায়িত করে থাকি, বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে কি মনে
করা হয়।
56. নৈতিকতা যাকে অনাচার ও খারাপ চালচলন বলে আখ্যায়িত করে, বিজ্ঞান তাকে কি বলে?
57. অধীনতাবাদের সমর্থনে আরেকটা প্রতাপশালী বিধান রয়েছে। সেটা কি?
58. ডারউইন, রাসেল
ওয়ালেস (Russel Wallase) এবং
তাঁদের অনুগামীরা কোন বিধানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন?
59. উত্তরাধিকার বিধান মতে, একটি টক আমের আটি থেকে অংকুরিত আমগাছ যেমন টক আম জন্মাতে বাধ্য, তেমনি ভাবে মানুষ কি করতে বাধ্য?
60. ইতিহাস দর্শনও মানুষের স্বাধীনতা নয়। বরং কিসের সমর্থক?
61. ইতিহাস দর্শনের আলোকে প্রবাব তার আওতাধীন সমগ্র জনগোষ্ঠীর
স্বভাব ও চরিত্রকে প্রভাবিত করে?
62. একটি জাতির সকল লোক একমত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ধরণের সিদ্ধান্ত
নিয়েছে, এটা কল্পনা করা যায় না?
63. পরিসংখ্যান বিদ্যা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মানুষের কোন জিনিসকে সমর্থন
করেছে?
64. একটি বিরাট জনগোষ্ঠী সম্পর্কে কে প্রায় নির্ভুলভাবে রায়
দিতে পারে যে, তারা অমুক পরিস্থিতিতে অমুক কাজ করবে?
65. এক বছরে লণ্ডন নগরীতে কতগুলো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটবে, কিংবা এক বছরে শিকাগো শহরে কতগুলো চুরি সংঘটিত হবে, তা সে বলে দিতে পারা কার কাজ?
66. যদি একটি দেশে অন্য দেশের তুলনায় হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা
আনুপাতিক হারে বেশী হয় তাহলে প্রায় বিশুদ্ধভাবেই সে তার অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা প্রাকৃতিক কারণ বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে কে?
67. কোনো পদার্থ বিজ্ঞানী যদি বলে যে, মানুষের স্বভাব চরিত্র গঠনে তার স্নায়ুতন্ত্রী ও মগজ কোষের রূপ কাঠামোর
অনেকখানি হাত রয়েছে, তাহলে কথাটা বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু তার কোন দাবিকে স্বীকার কারা যায় না?
68. ক্রমবিকাশবাদের প্রবক্তার কোন কথা মেনে নেয়াতে কোন আপত্তি
নাই?
69. ক্রমবিকাশবাদের প্রবক্তার কোন কথা আমরা গ্রহণ করতে পারি না?
70. ইতিহাস ও পরিসংখ্যান তত্ত্বের ভিত্তিতে যে ধারণা পোষণ করা
হয়েছে তা আমরা মানলেও এর দ্বারা কি প্রমাণ করা সম্ভব নয়?
71. প্রাকৃতিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং তার শাখা-প্রশাখা প্রকৃতপক্ষে অদৃষ্ট
সমস্যার সমাধান দেয় না। তাহলে কি করে?
72. খাঁটি ও নির্ভেজাল নৈতিকতার জগতে মানুষের অক্ষম কিংবা
স্বাধীন হওয়ার প্রশ্ন কোন হিসেবে আলোচিত হয় না?
73. খাঁটি ও নির্ভেজাল নৈতিকতার জগতে মানুষের অক্ষম কিংবা
স্বাধীন হওয়ার প্রশ্ন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা হয়?
74. খাঁটি ও নির্ভেজাল নৈতিকতার জগতে মানুষের অক্ষম কিংবা
স্বাধীন হওয়ার প্রশ্ন যখন আলোচিত হয়, তখন প্রথম দৃষ্টিতে কি মনে হয়?
75. নৈতিকতার জগতে কাজের মূল্য ও মর্যাদা কিসের ভিত্তিতে নিরূপণ
করা হয়ে থাকে?
76. কর্মে উদ্বুদ্ধকারী উপকরণসমূহ ও চরিত্রের প্রশ্ন ওঠা মাত্রই
কোন কোন বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়?
77. যারা মানুষকে ইচ্ছা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত এক অসহায় ও
অক্ষম সৃষ্টি মনে করে, তাদের বক্তব্য কি?
78. মানুষের চরিত্র দুটো শক্তিশালী উপাদানে তৈরী। একটি হলো
বহিরাগত প্রভাব-যার দ্বারা সে প্রতি মুহুর্তে প্রভাবিত হচ্ছে এবং যার আদলে অনবরত
তার রূপান্তর গটে চলেছে। অপরটি কি?
79. মানুষে চরিত্র দুটো শক্তিশালী উপাদানে তৈরী। একটি হলো তার
সহজাত মৌলিক স্বভাব প্রকৃতি, অপরটি হলো বহিরাগত প্রভাব-যার দ্বারা সে প্রতি
মুহুর্তে প্রভাবিত হচ্ছে এবং যার আদলে অনবরত তার রূপান্ত ঘটে চলেছে। এই দুইটি
গুণের মাঝে আল্লাহ প্রদত্ত কোনটি?
80. মানুষের চরিত্র দুটো শক্তিশালী উপাদানে তৈরী। এর মধ্যে একটিতে মানুষে স্বাধীন ইচ্ছার আদৌ কোন হাত নেই। তা কি?
81. মানুষের চরিত্রের মৌলিক উপাদান কোনটি?
82. কোন বস্তু থেকে ভালো কাজ ও কোন কোন বস্তু থেকে খারাপ কাজ সংঘটিত
হওয়া অসম্ভব?
83. সহজাত উত্তম স্বভাবের মানুষ যদি ভালো পরিবেশ পায় তবে সে কি
হয়ে যায়?
84. জন্মগতভাবে খারাপ স্বভাবের মানুষ যদি খারাপ পরিবেশ পায় তবে
সে কি রূপ ধারণ করে?
85. ভালো স্বভাবধারী মানুষের ভালো স্বভাবের গুণমাধুরী খানিকটা
কমে যায় কখন?
86. খারাপ স্বভাবধারী মানুষের খারাপ স্বভাবের কদর্যতা হ্রাস
পায় কখন?
87. মাটি, পানি, প্ৰাকৃতিক আবহাওয়া ও উদ্ভিদ পরিচর্যার ধরনের সাথে বীজের সম্পর্ক যেমন,
তেমনি সম্পর্ক কিসের সাথে?
88. উদ্ভিদের আসল উপাদান কি?
89. “মৌলিক স্বভাব এবং পরিবেশের প্রভাবে যদি মানুষের চরিত্র গঠনে কোনো হাত
থেকেই থাকে, তবে সেটা কেবলমাত্র ইচ্ছাবহির্ভুত
কার্যকলাপ পর্যন্তই। বাদ
বাকী যেসব মানুষ জেনে বুঝে আপন বাছ-বিচার ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
প্রয়োগ করতঃ স্বেচ্ছায় করে, তাতে উক্ত দুটো উপাদানের
কোনোই হাত নেই। এসব কাজ তার
নিজস্ব স্বাধীন সিদ্ধান্তেরই ফল।” এ মত
কাদের?
90. চারটি বস্তু-যা মানুষের ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপের ভিত্তি-এর সবই
আল্লাহ প্রদত্ত। এগুলো মানুষ নিজের চেষ্টা দ্বারা অর্জন
করেনি, আর এতে কোনো হ্রাস-বৃদ্ধি করতেও সে সক্ষম নয়। তা কি কি?
91. মধ্যমপন্থী স্বাধীনতাবাদীদের মতে, মানুষের চরিত্রে জন্মগত
স্বভাব ও বাইরের যথেষ্ট হাত রয়েছে। কিন্তু
এই দুটো উপাদান ছাড়া একটা তৃতীয় উপাদানও রয়েছে, যা
তার চরিত্র গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। তা কি?
92. আমরা মানুষকে যে সৎ বা অসৎ বলি, সেটা তার জন্মগত স্বভাব কিংবা সামাজিক পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে বলি না। তাহলে কিসের ভিত্তিতে বলি?
93. জন্মগত স্বভাব কিংবা সামাজিক পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে দুটো
উপাদানের আওতায় মানুষের চরিত্রের যে অংশটি গড়ে ওঠে, নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার কানাকড়িও মূল্য নেই। তাহলে কিসের ভিত্তিকে মানুষের চারিত্রিক মূল্যমান
নির্ধারিত হবে?
94. আমাদের কাছে এমন কোন জিনিসটি নেই, যার সাহায্যে আমরা
মানুষের চরিত্রে জন্মগত স্বভাব, বাহ্যিক পরিবেশ ও
অপরিকল্পিত ইচ্ছার অবদানগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারি?
95. “আমার মতবাদ দ্বারা
যদি নৈতিক বিচার-ফয়সালার পথ রুদ্ধ ও আদালত ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়, তবে তোমার মতবাদ দ্বারাও অনুরূপ অথবা তার চেয়েও খারাপ ফল ফলে।” এই কথা কে কাকে বলে?
96. “রোগ-ব্যাধির স্বাভাবিক ফল যেমন যন্ত্রণা এবং সুস্থতার স্বাভাবিক ফল, শাস্তি ও আনন্দ, সদাচারের স্বাভাবিক ফল যেমন
প্রশংসা ও পুরস্কার, অনাচারের স্বাভাবিক পরিণতি
তিরষ্কার ও শাস্তি এবং আগুনে হাত দিলে যেমন হাত পুড়ে যাওয়া অনিবার্য ও অবধারিত, তদ্রুপ অপরাধ করলে তার কোনো না কোনো ধরনের শাস্তি পাওয়া অবশ্যম্ভাবী, চাই মানুষের ওপর তার দায়-দায়িত্ব বর্তাক বা না বর্তাক।” এই কথা কোন অবস্থায় শুদ্ধ হতে পারে?
97. মানুষ অদৃষ্টের নিগড়ে অসহায়ভাবে বন্দী, না স্বাধীন ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তির অধিকারী, সে
ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে কোন দর্শণ ব্যর্থ হয়েছে?
98. অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ে ইসলামের সঠিক শিক্ষা কি?
99. “যে জিনিস যতটুকু
জানা দরকার ছিল, তা আল্লাহ ও রাসূল জানিয়ে দিয়েছেন। এরচেয়ে বেশী জানতে চেষ্টা করা এবং যেসব বিষয়ে অকাট্য ও
নিশ্চিত তথ্য অবগত হওয়া বা যার নিগুঢ়তম রহস্য উদঘাটন করার কোনো উপায় উপকরণ
আমাদের হাতে নেই, যা না জানলে আমাদের কেনো ক্ষতিও নেই, তার তত্ত্ব অন্বেষণে প্রবৃত্ত হওয়া যেমন নিরর্থক, তেমনি বিপজ্জনক।” এই বক্তব্যটি
কোন বিষয়ে ইসলামের সঠিক শিক্ষা?
100. “যার নিগুঢ় রহস্য
তোমাদের সামনে উদঘাটন করলে তোমাদের খারাপ লাগবে” এমন সব বিষয়ে কুরআনের নির্দেশ কি?
101. তিরমিযি বর্ণিত হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী ইসলামের জন্য
কল্যাণকর বিষয় কি?
102. কোন ব্যাপারে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য রাসূল সা. বারংবার
তাকিদ দিয়েছেন?
103. সাহাবীদের আলোচনা বিষয় জেনে রাসূল সা. এর ক্রোধান্বিত হয়ে প্রশ্ন করলেনঃ “তোমাদেরকে কি এ
সবেরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে? আমাকে কি এসবের জন্যই
তোমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে? এবং বললেনঃ “পূর্ববর্তী জাতিগুলো এ ধরনের বিষয়ে মাথা ঘামানোর কারণেই ধ্বংস হয়েছে।” প্রশ্ন হলোঃ সাহাবীরা কোন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন?
104. তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো না কেন? এই প্রশ্ন কে কাদেরকে করলেন?
105. তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো না কেন?
রাসূল সা. এর এমন প্রশ্নের জবাবে হযরত আলী ও হযরত
ফাতেমা রা. কি জবাব দিলেন?
106. হাদীসবেত্তা ও ফেকাহবিদগণ তাকদীর বিষয়ে সংক্ষেপে কেবল
কতটুকু বিশ্বাস করাই যথেষ্ট মনে করেছেন?
107. ইসলামী আকীদা শাস্ত্রবিদদের দুটো প্রসিদ্ধ গোষ্ঠী রয়েছে। সে দুটোর নাম কি কি?
108. “আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার পর তাকে কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং ভালো
মন্দ বাছ-বিচার করার ভার তার ওপর ন্যস্ত করেছেন।” এমন আকীদা কাদের?
109. “আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে কুফরী ও নাফরমানীর জন্য যেমন বাধ্য করা হয়নি, তেমনি বাধ্য করা হয়নি ঈমান আনতে ও ফরমাবরদারী করতে।” এমন আকীদা কাদের?
110. “আল্লাহ তায়ালা ন্যায়বিচারক ও মহাজ্ঞানী। তিনি কোনো জুলুম বা অন্যায় করতে পারেন এ কথা বলাই জায়েজ নেই। এ কথাও বলা বৈধ হতে পারে না যে, তিনি নিজেই তাঁর বান্দাদেরকে যেসব কাজ করতে বলেন এবং যেসব কাজ করতে নিষেধ
করেন, বান্দারা তার বীপরীত চলুক বলে তিনি নিজেই ইচ্ছা ও
আকাঙ্ক্ষা করেন। আর এভাবে
বান্দারা যে কাজ আল্লাহর হুকুমেই করেছে, তার জন্য তাকে
শাস্তি দেয়াও তার পক্ষে বৈধ নয়।” এই বক্তব্যটি কার?
111. “অদৃষ্টের ভালো ও
মন্দ সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় এই বিশ্বাস পোষণকারীরা কাফের ও গোমরাহ” এই বক্তব্য
কার?
112. মুয়াম্মার বিন আব্বাস আসলামীর মতে কোন বিশ্বাস আল্লাহকে
নির্দোষ সাব্যস্ত করার বিপক্ষে যায় এবং আল্লাহকে অত্যাচারী সাব্যস্ত করে।
113. “বান্দা যা কিছু
করে তার স্রষ্টা আল্লাহ নন। বরং
বান্দা তা নিজেই সৃষ্টি করে। আর
বান্দা যে কাজ করতে অক্ষম তা তার ওপর চাপিয়ে দেয়া আল্লাহর পক্ষে বৈধ নয়।” এই অভিমত কারা ব্যক্ত করেছেন?
উত্তরঃ জাহেজ, খাইয়াত, জিয়ালী, কাজী
আবদুল জব্বার প্রমুখ জাঁদরেল মুতাযিলা দার্শনিক।
114. কাদরিয়া মতবাদের পক্ষে মু'তাযিলাগণ
কুরআনের বহু আয়াত থেকে প্রমাণ দর্শিয়েছেন। যেসব আয়াতে বান্দার কার্যকলাপের জন্য বান্দাকেই দায়ী করা হয়েছে, এমন আয়াত গুলোর যে কোন একটির অর্থ বলুন।
115. কাদরিয়া মতবাদের পক্ষে মু'তাযিলাগণ
কুরআনের বহু আয়াত থেকে প্রমাণ দর্শিয়েছেন। যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, মানুষের নিজের
কার্যকলাপের ভিত্তিতেই পুরস্কার ও শাস্তি প্রদত্ত হবে। তেমন ১টি আয়াতের বাংলা অর্থ বলুন।
116. কাদরিয়া মতবাদের পক্ষে মু'তাযিলাগণ
কুরআনের বহু আয়াত থেকে প্রমাণ দর্শিয়েছেন। যেসব আয়াতে জুলুম, অন্যায় ও নিন্দনীয়
কার্যকলাপ থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও নিষ্কলুষ ঘোষণা করা হয়েছে, সে সব আয়াতে যে কোন ১টি আয়াতের বাংলা অনুবাদ বলুন।
117. কাদরিয়া মতবাদের পক্ষে মু'তাযিলাগণ
কুরআনের বহু আয়াত থেকে প্রমাণ দর্শিয়েছেন। যেসব আয়াতে কাফের ও গুনাহগারদেরকে তাদের অপকর্মের জন্য ভর্ৎসনা করা
হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তাদেরকে ঈমান আনতে ও আল্লাহর
হুকুম মেনে চলতে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেয়া হয়নি-এমন আয়াত সমূহ থেকে ১টি
আয়াতের বাংলা অর্থ বলুন।
118. যেসব আয়াতে ঈমান ও কুফরীকে বান্দার ইচ্ছানির্ভর বলা
হয়েছে, সে সব আয়াতের যে কোন একটি উল্লেখ
করুন।
119. যারা কুফরী ও খোদাদ্রোহিতাকে আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল
মনে করে বহু সংখ্যক আয়াতে তাদের নিন্দা করা হয়েছে। এমন একটি আয়াতের অর্থ বলুন।
120. যেসব আয়াতে বান্দাদেরকে নেক কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে, সে সব আয়াত থেকে একটি আয়াতের অর্থ উল্লেখ করুন।
121. যাকে আল্লাহর আনুগত্য করা ও তার দিকে ছুটে যাওয়ার জন্য
নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, সে যদি এ কাজে সক্ষম না হতো তাহলে
নির্দেশ দেয়া সঠিক হতো না। বরং
এটা কোন ব্যক্তির মতো হতো?
122. বান্দা এমন সব কাজ করে থাকে, যার
জন্য আল্লাহ নির্দেশ দেননি-যেসব
আয়াতে এমন কথা বলা হয়েছে, তার যে কোন একটি আয়াতের অর্থ বলুন।
123. যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, মানুষ
দুনিয়া ও আখেরাতে নিজের কর্মফল ভোগ করে। সে সব আয়াত থেকে একটি আয়াত বা তার অর্থ বলুন।
124. যেসব আয়াত থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ কাউকে হেদায়াত কিংবা গোমরাহীর জন্য বাধ্য করেন না। বরং মানুষ নিজ ইচ্ছামতো দুটোর একটা বেছে নেয়। সে সব আয়াতের যে কোন একটির অর্থ বলুন।
125. যে আয়াতে আদম আ. আপন ত্রুটি স্বীকার করেছেন, সে আয়াতটির
অর্থ উল্লেখ করুন।
126. যে আয়াতে ইউনুস আ. আপন ত্রুটি স্বীকার করেছেন, সে আয়াতটির
অর্থ উল্লেখ করুন।
127. যে আয়াতে হযরত মূসা আ. আপন ত্রুটি স্বীকার করেছেন, সে
আয়াতটির অর্থ উল্লেখ করুন।
128. যে আয়াতে হযরত নূহ আ. আপন ত্রুটি স্বীকার করেছেন, সে
আয়াতটির অর্থ উল্লেখ করুন।
129. “আল্লাহর ইচ্ছা
ছাড়া কিছুই হয়না। কোনো জিনিসের অস্তিত্বে আসাই হোক, কিংবা তার গুণগত বিবর্তনই হোক, আল্লাহর ইচ্ছা
ছাড়া হতে পারে না।” এই বক্তব্য
কোন গোষ্ঠীর?
130. বিশ্বজগতের প্রতিটি অণু-পরমাণুর তৎপরতা ভাগ্য বিধির অধীন
সংঘটিত হয়। অস্তিত্ব ও সৃষ্টিতে আল্লাহ ছাড়া আর
কোনো জিনিসের কোনো কার্যকর প্রভাব নেই। কোনো কিছুর সৃষ্টিতে আল্লাহ যা চাননা তা হয়না। আল্লাহর হুকুম ও ফয়সালা ছাড়া কেউ চুল পরিমাণও নড়াচড়া
করতে পারে না। তাঁর কোনো
কাজকে ভালো বা মন্দ বলে বিবেচনা করা বিবেক-বুদ্ধির অসাধ্য। তিনি যা কিছুই করেন, ভালোই করেন। পৃথিবীতে আমরা যেসব ঘটনাকে কিছু উপকরণের ফল হিসেবে দেখি, তা কেবল বাহ্যত উপকরণের ফল, নচেত প্রকৃতপক্ষে
সব কিছুই আল্লাহ কর্তৃক সংঘটিত হয় এবং আকাশ ও পৃথিবীর ঘটনাবলীর প্রকৃত কর্তা ও
সংঘটক তিনিই। এই বিশ্বাস কাদের?
131. বিশ্বজগতের প্রতিটি অণু-পরমাণুর তৎপরতা ভাগ্য বিধির অধীন
সংঘটিত হয়। অস্তিত্ব ও সৃষ্টিতে আল্লাহ ছাড়া আর
কোনো জিনিসের কোনো কার্যকর প্রভাব নেই। এই বিশ্বাস কাদের?
132. হোসেন নাজার, বাশার বিন
গিয়াস আল মিরিসী, যিরার বিন আমর, হাফস আল কারদ, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন
কাররাম, শোয়েব বিন মুহাম্মদ আল খারেজী, আবদুল্লাহ বিন ইববাজী ফেকাহর প্রতিষ্ঠাতা প্রমুখ এই গোষ্ঠীর মতবাদ কি?
133. আল্লাহ মানুষের ভালো ও মন্দ যাবতীয় কাজের সৃষ্টিকর্তা ঠিকই, তবে বান্দা এক ধরনের ক্ষমতা ও সাময়িক ইচ্ছাশক্তিরও অধিকারী এবং সেই
ক্ষমতা ও ইচ্ছা কিছু না কিছু পরিমাণে তার কার্যকলাপ সংঘটনে প্রভাব বিস্তার করে
থাকে। এই মতবাদের ধারকরা বিষয়টা তাদের
পরিভাষায় কি বলে অভিহিক করেন।
134. বিভিন্ন আদেশ ও নিষেধ মানুষের প্রতি জারি হয়েছে এবং এর
পরিপ্রেক্ষিতেই মানুষ আযাব ও সওয়াবের উপযুক্ত হয়ে থাকে। কিসের কারণে?
135. কোন ইমাম “উপার্জনের” মতবাদ স্বীকার করেছেন এবং মানুষকে সাময়িক ক্ষমতার অধিকারী বলেও অভিহিত
করেছেন। কিন্তু এই ক্ষমতার কোনো কার্যকারিতা
স্বীকার করেননি।
136. ইমাম আবুল হাসান আশয়ারী “উপার্জনের” মতবাদ স্বীকার করেছেন এবং মানুষকে সাময়িক ক্ষমতার অধিকারী বলেও অভিহিত
করেছেন। কিন্তু এই ক্ষমতার কোনো কার্যকারিতা
স্বীকার করেননি। তাহলে তার মত
কি?
137. কাজী আবু বকর বাকেশানী এর মতে মানুষের প্রত্যেক কাজের দুটো
দিক রয়েছে। একটি দিক দিয়ে বিবেচনা করলে তা
একটা কাজ-তা সে ভালো বা মন্দ, পাপ বা পুণ্য যাই হোক। অপর দিকটি কি?
138. কাজী আবু বকর বাকেশানী এর মতে নামাজ রোযার একটা দিক এই যে, এটা একটা কাজ বা তৎপরতা। অপর দিকটি কি?
139. কাজী আবু বকর বাকেশানী এর মতে নামাজ রোযার প্রথম দিকটা
আল্লাহরই কীর্তি। কেননা এটা তাঁরই ক্ষমতা বলে সংঘটিত হয়। অপর দিকটি কি?
140. আবু ইসহাক ইসফারাইনী মতে, কাজ
নিছক কাজ হিসেবে এবং তার গুণাগুণের বিচারে (অর্থাৎ ভালো বা মন্দ কাজ হিসেবে) এই
উভয় হিসেবে একই সাথে কার কার ক্ষমতা বলে সংঘটিত হয়ে থাকে?
141. ইমামুল হারামাইন বলেন যে, আল্লাহ
বান্দার মধ্যে ক্ষমতা ও ইচ্ছা উভয়ই সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর কি করেছেন?
142. সবার শেষে কে জাবরিয়া মাযহাবের ওকালতি করতে এগিয়ে আসেন?
143. বান্দার ক্ষমতার কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে এ কথা স্বীকার
করেন না কে?
144. “উপার্জন” বলতে কোনো জিনিস নেই। আল্লাহই বান্দার সব কাজ সৃষ্টি করেন। এই বক্তব্যটি কার?
145. ঈমান, কুফরী, আনুগত্য, অবাধ্যতা, হেদায়াত, গোমরাহী সবই বান্দার মধ্যে আল্লাহ তৈরী করে দেন। এই কথাটি কে বলেছেন?
146. কারোর দ্বারা কুফরী সংঘটিত হোক-এরূপ ইচ্ছা যদি আল্লাহ করেন
তবে তার মুমিন হওয়া অসম্ভব। এই মতটি
কার?
147. আল্লাহর জ্ঞান মোতাবেক কারো মুমিন হওয়ার কথা থাকলে তার
কাফের হওয়া সম্ভব নয়। এই মতটি কার?
148. সব যদি আগে থেকেই স্থির করা হয়ে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে
চলার ক্ষমতাই বান্দার না থাকে, তাহলে তাকে আদেশ ও নিষেধ
করা কিভাবে বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত হতে পারে? এর জবাবে ইমাম
রাজী কি বলেছেন?
149. আশায়েরা ও তাদের সমমতের লোকেরা যুক্তি-তর্কের মোদ্দা কথা
কি?
150. খৃষ্টীয় আকীদা শাস্ত্রের প্রথম ভিত্তি স্থাপক কে?
151. মানুষ জন্মগতভাবেই পাপী। অতঃপর আল্লাহ যিশু খৃষ্টের রূপ ধারণ করে ধরাপৃষ্ঠে আগমন ও মানুষের পাপের
প্রায়শ্চিত্ত করেছেন।– এই
মতবাদ কে প্রচার করেছেন?
152. ‘আল্লাহর ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই এবং ঐ ইচ্ছা ও
সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করতে মানুষ মাত্রেই পুরোপুরিভাবে বাধ্য'-এই মতের প্রবক্তা কে কে?
153. মানুষের ইচ্ছা করা না করা এবং ইচ্ছাকে কর্মে পরিণত করা বা
না করার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। আল্লাহর
ক্ষমতা মানুষের স্বাধীনতা হরণ করে না। - এই মতটি কার?
154. জাবরিয়া গোষ্ঠী তাদের মতামতের সপক্ষে যে সমস্ত আয়াত থেকে
প্রমাণ কর যে, আল্লাহ যাবতীয় শক্তি ও ক্ষমতার
অধিকারী, সর্বব্যাপারে ক্ষমতাবান, সকল জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। পৃথিবীতে তাঁর অনুমতি ছাড়া কিছুই হয় না। - সে সব আয়াত সমূহের যে কোন একটি আয়াতের অর্থ পেশ করুন।
155. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে যেসব আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রত্যেক ব্যাপারে আল্লাহর ফয়সালা আগে থেকেই লেখা হয়ে রয়েছে এবং
দুনিয়াতে যা কিছুই ঘটে সেই ফায়সালা মোতাবেকই সংঘটিত হয়। - সে সব আয়াতের যে কোন ১টি আয়াতের তরজমা লিখুন।
156. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে যেসব আয়াত দ্বারা জানা যায় যে, আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্যই একটা ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জীবিকা, সম্মান, ধন-সম্পদ, বিপদ ও শান্তি, জীবন ও মৃত্যু –সবই এই ভাগ্যের অধীন। এতে কম-বেশী হওয়া সম্ভব নয়। এমন সব আয়াত থেকে ১টি আয়াতের অর্থ লিখুন।
157. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে যেসব আয়াত থেকে জানা যায় যে, বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। বান্দার কোনোই ক্ষমতা নেই। সকল ক্ষমতা কেবল আল্লাহর। মানুষ যত চেষ্টা তদবীরই করুক আল্লাহর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে সক্ষম নয়। এমন সব আয়াত কয়টি? প্রথমোক্ত
দুইটি আয়াতের অর্থ লিখুন।
158. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে হেদায়াত ও গোমরাহী পুরোপুরিভাবে
আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যাকে
চান হেদায়াত দান করেন, যাকে চান বিপথগামী ও বিভ্রান্ত
করে দেন। তারা তাদের মতের পক্ষে কুরআনের
যেসব আয়াত পেশ করেন, তার যে কোন একটির অর্থ লিখুন।
159. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে, যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, সকল লোক ঈমান আনুক এবং মতভেদ না করুক, তা
আল্লাহর অভিপ্রেত ছিলো না। নচেত
আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে সবাই ঈমান আনতো এবং কোনো বিতর্ক অবশিষ্ট থাকতো না। কয়টি আয়াতে এমন কথা বলা হয়েছে? যে কোন একটি আয়াতের অর্থ লিখুন।
160. কুরআনের যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, দোজখের জন্যই অনেককে সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন
একটি আয়াত বা তার অর্থ লিখুন।
161. কুরআনের যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ কাফের ও মুনাফেকদেরকে ঈমান আনা ও নেক আমল করা থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন
এবং এ ধরনের লোকেরা হেদায়াত পেতেই পারে না। কিন্তু সাথে সাথে আর কি দায়িত্ব বা হুমকী প্রদান করা হয়েছে?
162. জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে, কুরআনের যেসব আয়াতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ কাফের ও মুনাফেকদেরকে ঈমান আনা ও নেক আমল করা থেকে ফিরিয়ে রেখেছেন
এবং এ ধরনের লোকেরা হেদায়াত পেতেই পারে না। কিন্তু সেই সাথে একথাও বলা হযেছে যে, তাদেরকে
আল্লাহর যাবতীয় আদেশ নিষেধ মেনে চলার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে এবং অবাধ্যতা ও
বিদ্রোহের জন্য তাদেরকে আযাবের হুমকি দেয়া হয়েছে। কুরআনের এমন ধরণের আয়াত সমূহ থেকে যে কোন একটি আয়াতের অর্থ বলুন।
163. কাফেরদেরকে যেসব অপকর্মের কারণে দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তি
দেয়া হয় তা আল্লাহরই ইচ্ছা ও নির্দেশক্রমে তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়। কুরআন থেকে তার প্রমাণ দিন।
164. আল্লাহ স্বয়ং গোমরাহকারী শয়তান ও অসৎ নেতাদের আধিপত্য
মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন এবং তারা তাদেরকে কুপ্ররোচনা দিতে থাকে। জাবরিয়া গোষ্ঠীর মতে যেসব আয়াতে এমন সব কথা বলা হয়েছে,
সে সব আয়াত থেকে যেকোন একটি আয়াতের অর্থ লিখুন।
165. ইসলামী আকীদা শাস্ত্রকারদের এই উভয় গোষ্ঠীর যুক্তিতর্ক
দেখে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, অদৃষ্ট সংক্রান্ত
সমস্যা নিরসনে উভয় গোষ্ঠীই ব্যর্থ হয়েছেন। এই দুই গোষ্ঠী কারা?
166. অদৃষ্ট সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে কাদরিয়া ও জাবরিয়া উভয়
গোষ্ঠীই ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু
তাঁদের এই ব্যর্থতার কারণ এটা নয় যে, তাঁরা কুরআন থেকে
দিকনির্দেশনা লাভ করতে চেয়েছেন, কিন্তু কুরআন তাঁদেরকে
হেদায়াত দান করেনি। তাহলে
কারণটা কি?
167. যে আয়াত যার মতলব সিদ্ধির সহায়ক বলে মনে হয়েছে, সে আয়াতকে সে নিজের খেয়াল-খুশীমতো বিশ্লেষণ করেছে। কারা করেছেন?
168. যেসব আয়াত অকাট্যভাবে এ তত্ত্ব প্রকাশ করে যে মানুষের
ভাগ্য নির্ধারিত রয়েছে এবং তার বিপরীত চলার কোনো ক্ষমতাই তার নেই, সেসব আয়াতকেও কোন গোষ্ঠী নিজেদের মতবাদের সমর্থক বলে দেখাতে চেষ্টা করে?
169. যে ব্যক্তি আগে থেকেই নিজের আকীদা স্থির করে রেখেছে এবং
কুরআন থেকে শুধু তার সমর্থন খোঁজে। সে
ব্যক্তি কোন দুই পক্ষের যুক্তি তর্কে সন্তুষ্ট হতে পারে?
170. যে ব্যক্তি আগে থেকে কোনো বিশ্বাস মনে বদ্ধমুল করে নেয়নি
এবং কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার ইচ্ছা রাখে, সে কি হতে পারে না?
171. কাদরিয়া ও জাবরিয়া উভয় পক্ষ যেভাবে কুরআনের আয়াত নিয়েই
দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছে এবং এসব আয়াত দ্বারা সম্পূর্ণ পরস্পর বিরোধী আকীদার পক্ষে
যুক্তি দেখিয়েছে, তা দেখে একজন অজ্ঞ মানুষ কোন কথা না
ভেবে পারে না?
172. মানুষ এ যাবত তাকদীরের রহস্য উন্মোচনের যত চেষ্টা করেছে, তার সবই ব্যর্থ ও নিষ্ফল হয়েছে। এর একমাত্র কারণ কি?
173. আমাদের সামনে একটি বিশাল কারখানা চালু রয়েছে এবং আমরা তার
একটি নগণ্য যন্ত্রাংশ মাত্র। শুধু
এতটুকুই আমরা জানি। কিন্তু
আমরা কি জানি না?
174. আমরা আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয় অনুভব করতে, আমাদের বিবেক-বুদ্ধি দ্বারা রহস্য উপলব্ধি করতে পারিনা কোন বিষয়?
175. অনুভূতি ও উপলব্ধির নাগালের বাইরের বিষয়গুলো তো পরের কথা, আমরা এখনো কোন বিষয় আয়ত্তে আনতে পারিনি?
176. কোন জিনিস সৃষ্টি জগতের অথৈ সমুদ্রে এক বিন্দুর চেয়ে বেশী
নয়?
177. আমাদের জ্ঞান এবং জ্ঞান আহরণের উপায়-উপকরণের সাথে আমাদের
অজ্ঞতা ও অজ্ঞতার কারণগুলোর সম্পর্ক কিসের সম্পর্কের মতো?
178. কুরআনে তাকদীর তত্ত্ব সম্পর্কে আভাস-ইংগীতে যে কথাগুলো বলা
হয়েছে, তাতে আপাতঃদৃষ্টিতে পরস্পর বিরোধী
তথ্যাবলীর সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। সেই
তথ্যাবলী কয়টি? যে কোন ২টি উল্লেখ করুন।
179. কুরআনে তাকদীর তত্ত্ব সম্পর্কে আভাস-ইংগীতে যে কথাগুলো বলা
হয়েছে, তাতে আপাতঃদৃষ্টিতে পরস্পর বিরোধী
তথ্যাবলীর সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। যদি
এগুলোর বৈপরীত্য ও স্ববিরোধীতা স্বীকার করা না হয়, তা হলে কি করা জরুরী?
180. বিস্তৃত বিশ্বনিখিলের পাতায় পাতায় যে মহাসত্যগুলো লিখিত
রয়েছে তা বিস্তারিত সৃষ্টিতত্ত্ব লেখার জন্য যদি সীমাহীন কিতাব লেখা হয়, তাহলে তার জন্য কি প্রয়োজন?
181. বিস্তৃত বিশ্বনিখিলের পাতায় পাতায় যে মহাসত্যগুলো লিখিত
রয়েছে তা বিস্তারিত সৃষ্টিতত্ত্ব লেখার জন্য যদি সীমাহীন কিতাব লেখা হয়, তাহলে তা পড়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজন এক অনাদি অনন্ত জীবন, বর্ণনা করার জন্য প্রয়োজন অনুচ্চারিত ভাষা, শ্রবণের
জন্য প্রয়োজন নিঃশব্দ বুদ্ধিদীপ্ত শ্রবণশক্তি। কিন্তু তা যে সম্ভব নয়, তা
বর্ণনা করা হয়েছে কুরআনের একটি আয়াতে। সেই আয়াতটি কোন সূরার কত নম্বর আয়াত। তার
বাংলা অর্থ কি?
182. এরিষ্টটল ও পিথাগোরাসের আমলে যদি কেউ বিংশ শতাব্দীর টেলিফোন, সিনেমা রেডিও. উড়োজাহাজ ইত্যাদির বিবরণ দিতে, তাহলে কি বলা হতো? অথচ আজও
তাদেরকে কি মনে করা হয়?
183. এরিষ্টটল ও পিথাগোরাসের আমলে যদি কেউ বিংশ শতাব্দীর টেলিফোন, সিনেমা রেডিও. উড়োজাহাজ ইত্যাদির বিবরণ দিত, তাহলে
যাদেরকে আজও বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী বলে বিবেচনা করা হয়, তারাই
তাকে পাগল ঠাওরাতো। এই উদাহরণ দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে?
184. আমাদের বড়ো বড়ো বিজ্ঞানী ও দার্শনিক পর্যন্ত তা বুঝতে
পারবে না কোন বিষয়?
185. আজ থেকে হাজার বছর পরে পৃথিবীতে যেসব নতুন নতুন জিনিসের
উদ্ভব হবে, তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ যদি আজ এই বিংশ
শতাব্দীতে করা হয়, তাহলে কি হবে?
186. “মানুষের
সামনে এবং পেছনে যা কিছু রয়েছে তা সবই তিনি জানেন। কিন্তু তাঁর জানা কোনো জিনিসই তাদের আয়ত্তাধীন নয়, কেবল আল্লাহ স্বয়ং তাদেরকে যা কিছু জানাতে চান, তার কথা আলাদা। আকাশ
ও পৃথিবীর সর্বত্র তাঁর ক্ষমতা বিস্তৃত।” সরা আল বাকারাঃ ২৫৫ আয়াতের মাধ্যমে কি বুঝানো হয়েছে?
187. যেসব জিনিসের জানা ও বোঝার ক্ষমতাই মানুষে নেই এবং যার
কল্পনা করাও মানুষের অসাধ্য তা বর্ণনা করে কি লাভ? এই
প্রসংগে কুরআনে কি বলা হয়েছে?
188. তাকদীর সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতি কুরআনে যেসব আভাস-ইংগিত
দেয়া হয়েছে, তা গোপনীয় তথ্য জানানোর জন্য নয়। তাহলে কি জন্য?
189. তাকদীরের বিষয়ে কুরআনে যেসব আভাস দেয়া হয়েছে, তার উদ্দেশ্য আমাদের যা আদৌ বোঝার যোগ্যতা ও ক্ষমতা নেই, তা জানানো নয়। তাহলে আসল উদ্দেশ্য কি?
190. মানুষকে কতটুকু নৈতিক গুণে সমৃদ্ধ করতে হবে?
191. মানুষকে কতটুকু চারিত্রিক শক্তিতে বলিয়ান করতে হবে?
192. তাকদীরে বিশ্বাস রাখার যে শিক্ষা কুরআনে দেয়া হয়েছে তার
প্রকৃত উদ্দেশ্য কি?
193. মানুষ যেন দুনিয়ার কোনো শক্তিকে লাভ ও ক্ষতির মালিক মনে না
করে। তাহলে মানুষ কি করবে?
194. মানুষ যদি সুখ-শান্তি লাভ করে তবে যেন কি না হয়?
195. সূরা হাদীদের তৃতীয় রুকুতে বলা হয়েছেঃ “পৃথিবীতে কিংবা স্বয়ং তোমাদের ওপর যে দুর্যোগই আসে, তা তার সৃষ্টির আগেই লিপিবদ্ধ করা থাকে। আল্লাহর পক্ষে এটা সহজ ব্যাপার। সাথে মানুষদেরকে একথা বলার উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। তা কি?
196. রসূলুল্লাহ (স.) মুসলমানদের জীবনের প্রতিটি কাজে তাকদীরে
বিশ্বাসের মানসকিতা ও প্রেরণা সৃষ্টিরই চেষ্টা করতেন। কারণ কি?
197. মানুষের মনে যদি তাকদীরের আকীদা বদ্ধমূল হয়ে যায় তাহলে কি
হবে?
198. হাদীসের বিবরণঃ “কোনো মহিলার
পক্ষে এটা বৈধ নয় যে, সে তার অপর বোনকে তালাক দেয়ার
দাবী জানাবে।” এখানে বোন বলতে কাকে
বুঝানো হয়েছে?
199. “কোনো মহিলার পক্ষে এটা বৈধ নয় যে, সে তার অপর
বোনকে (সতীন) তালাক দেয়ার দাবী জানাবে।” কি উদ্দশ্যে এ দাবী জানাবে?
200. নিজের অধিকার ও ভোগবিলাসের অন্য কেউ ভাগ না বসায় এবং জীবিকার
পেয়ালা সে একচেটিয়াভাবে ভোগ করতে পারে এই উদ্দেশ্যে একজন মহিলা কেন তার সতীনকে তালাক
দেয়ার দাবী জানাবে না?
201. অসংখ্য বাস্তব ও নৈতিক উপকারিতা তাকদীরের ইসলামী শিক্ষা
থেকে অর্জিত হয়। কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য কি?
202. লেখার কাজটি সম্পন্ন হতে যতগুলো কারণ বা উপকরণের সক্রিয়
ভূমিকা প্রয়োজন, তাকে তিনটি পৃথক ধারায় বিভক্ত করা
যেতে পারে। তা কি কি?
203. লেখার সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখার উদ্যোগ নেয়া। এই কাজটি একজন মানুষের নিজের কাজ বলে গন্য হবে। কারণ মানুষ
এক ধরনের স্বাধীন কর্ম ক্ষমতা ও ইচ্ছা কাজে লাগিয়েছে। অন্য দিক দিয়ে এটা আল্লাহর কাজ কেন হবে?
204. মানুষের কর্মকাণ্ড কোনো কোনো আপেক্ষিক ও গুণগত দিক দিয়ে
দুটো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। একটি
হলো তার উৎকৃষ্টতা। অপরটি
কি?
205. নিছক কাজ দেখে তাকে ভালো বা মন্দ কোনোটাই বলা চলেনা। তাহলে কিসের ভিত্তিতে ভাল বা মন্দ হবে?
206. আমি পথে একটা টাকা পড়ে থাকতে দেখে তুলে নিলাম। আমার তুলে নেয়াটা নিছক একটা তৎপরতা। একে ভালো বা মন্দ কোনোটাই বলার অবকাশ নেই। এই কাজটা কখন ভাল কাজ এবং কখন মন্দ কাজ বলে গন্য হবে?
207. মানুষের নিয়তের সাথে সাথে আরো একটা শক্তির প্ররোচনা
সক্রিয় থাকবে। সেই শক্তির নাম কি?
208. মানুষের কাজ সম্পাদনে তিনটি পক্ষের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদান
থাকবে। তা কি কি?
209. মানুষের কাজ সম্পাদনে কাজটা যদি হয় দ্বিপক্ষীয়। তাহলে এই দুই পক্ষ কি কি?
210. মানুষের যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন কারণ বা উপকরণকে
দায়ী করার সঠিক পন্থা কি?
211. যদি কেউ ভুলবশতঃ এর কেনো একটিমাত্র কারণকে দায়ী নয় বলে
সাব্যস্ত করে, তখন করণীয় কি?
212. কুরআনে তাকদীর তত্ত্ব সম্পর্কে যেসব আভাস দেয়া হয়েছে
সে-গুলো অনুসন্ধান করলে তাকে মোট কয়টি শিরোনামের অধীনে বিন্যস্ত করা যায় এবং তার
মধ্যে যে কোন ২টি উল্লেখ করুন।
213. আল্লাহকে সকল কাজের কর্তা সাব্যস্ত করা হয়েছে, কুরআনের সূরা
আন নিসার একটি আয়াত দিয়ে তা প্রমাণ করুন। আয়াত বা তার অর্থ লিখুন।
214. আল্লাহ যদি তাঁর বান্দাদের জন্য জীবকা প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে কি হতো? সূরা আশ শুরার বর্ণনা অনুসারে জবাব দিন।
215. বান্দাকে কাজের কর্তা সাব্যস্ত করে-কুরআনের সূরা আন নাজম এর
একটি আয়াতের তরজমা লিখুন।
216. “আর যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদের পুরোপুরি প্রতিদান তাদেরকে
দেবেন। তিনি অন্যায়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।” কুরআনের এই আয়াত উল্লেখ করে ভাল কাজের কৃতিত্ব কাকে প্রদান করা
হয়েছে?
217. আল্লাহকে খারাপ কাজের কর্তা সাব্যস্ত করে কুরআনের সূরা
নিসার একটি আয়াতের অর্থ লিখুন।
218. খারাপ কাজের জন্য শয়তানকে দায়ী করা যায়। তার পক্ষে
কুরআনের সূরা আল বাকারা থেকে একটি দলীল দিন।
219. খারাপ কাজের জন্য বান্দাদেরকে দায়ী করে সূরা আন নিসাতে কি
বলা হয়েছে?
220. ভালো কাজের সূচনা হয় মানুষের পক্ষ থেকে এবং পূর্ণতা দেয়া
হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে-এই কথার পক্ষে কুরআনের দলীল দিন।
221. মন্দ কাজের সূচনা হয় মানুষের পক্ষ থেকে আর পূর্ণতা
প্রাপ্তি হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে-এই কথার পক্ষে কুরআনের দলীল দিন।
222. মানুষ নিজের গুনাহর দায়-দায়িত্ব আল্লাহর ওপর চাপিয়ে
দিয়ে নিজে দায় এড়িয়ে যেতে চায়, সেখানে তার
মনোভাব খণ্ডন করা হয়েছে কুরআনের সূরা আয যুখরূফের আয়াত দিয়ে। আয়াতটির অর্থ লিখুন।
223. মানুষ নিজের চেষ্টা-সাধনাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে এবং
তাকদীরকে অস্বীকার করে সেখানে তা খণ্ডন করা হয়েছে কুরআনের কোন আয়াত দিয়ে। আয়াতের
তরজমা উল্লেখ করুন।
224. মানুষের জীবনে যখন স্বাধীনতা ও অধীনতা এমনভাবে মিলেমিশে
রয়েছে তখন ন্যায়বিচার কিভাবে সম্ভব, কেননা
মানুষের কাজের দায়-দায়িত্ব তার ওপর কতখানি বর্তে, সেটা
নির্ণয় করা ছাড়া যথার্থ ইনসাফের সাথে পুরস্কার ও শাস্তির ফায়সালা করা সম্ভব নয়। দায়-দায়িত্বের পরিমাণ নির্ণয় করা ছাড়া এটাও জানা
সম্ভব নয় যে, তার কার্যকলাপে তার স্বাধীন ইচ্ছা কতখানি
কার্যকর ছিলো। এ প্রশ্নটার
সমাধানের জন্য যখন আমরা কুরআনের প্রতি নজর দেই, তখন
আমরা কি পাই?
225. মানুষের আবির্ভাবের আগে পৃথিবীতে যেসব রকমারি সৃষ্টি
বিদ্যমান ছিলো, তারা সকলে কি ছিল বলে আমরা কুরআন
থেকে জানতে পারি?
226. মানুষের আবির্ভাবের আগে পৃথিবীতে যেসব রকমারি সৃষ্টি বিদ্যমান
ছিলো, তারা জন্মগত ও স্বভাবগতভাবে আনুগত্যশীল ছিলো, বাছ-বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাদেরকে দেয়াই হয়নি। শুধু মাত্র ব্যতিক্রম ছিল একটি জাতি। তারা কারা?
227. কুরআন থেকে জানা যায় যেমন জ্বিনদের জীবনেও কোন জিনিস
মিশ্রিতভাবে বিদ্যমান ছিল?
228. যে বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মানুষকে পৃথিবীর খেলাফত দান করা
হয়েছে তা কাদের ছিল না?
229. মানুষের আবির্ভাবের আগে পৃথিবীতে যেসব রকমারি সৃষ্টি বিদ্যমান
ছিলো, তাদের যাকে যে কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সে একটা সুনির্দিষ্ট আইন ও শৃংখলার অধীনে তা সম্পন্ন করবে এবং
বিন্দুমাত্রও অবাধ্যতা প্রদর্শন করবে না এটাই ছিলো তাদের কর্তব্য। তাদের মধ্যে কারা ছিলো শ্রেষ্ঠতম?
230. “আল্লাহ
তাদেরকে যা কিছু আদেশ করেন, তারা তার অবাধ্য হয় না। যা করতে বলা হয় তারা অবলীলাক্রমে তাই করে।” এই কথাটি কাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে?
231. আকাশে বিরাজমান বিশালকায় বস্তুরাজিও আল্লাহর সম্পূর্ণ
অনুগত ছিলো। সূরা ইয়াসীনের বর্ণনা উল্লেখ করুন।
232. আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, স্বীয়
সৃষ্টি জগতের মধ্য থেকে কোনো এক সৃষ্টিকে সেই দায়িত্বটি অর্পণ করবেন, যা এ যাবত কাউকে দেয়া হয়নি। অবশেষে আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টির আধুনিকতম সংস্করণ প্রকাশ করলেন, যার নাম কি?
233. আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিলেন যে, স্বীয়
সৃষ্টি জগতের মধ্য থেকে কোনো এক সৃষ্টিকে সেই দায়িত্বটি অর্পণ করবেন, যা এ যাবত কাউকে দেয়া হয়নি। এই দায়িত্বটি কি ছিলো?
234. যে দায়িত্ব তখনও পর্যন্ত আর কাউকে দেয়া হয়নি। এটা বহন করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা না ছিলো ফেরেশতার, না ছিলো আকাশের বিশাল আলোক পিণ্ডের, না
পাহাড়-পর্বতের, না পৃথিবীর আর কোনো সৃষ্টির। কে সে দায়িত্ব কে গ্রহণ করলো? কোন বৈশিষ্ট্যের
বলে গ্রহণ করতে সক্ষম হলো?
235. কি জন্য মানুষ আল্লাহর খলিফা ও প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত
হলো?
236. আল্লাহর থেকে অর্পিত নতুন দায়িত্ব বহনকারী এ খলিফার
বৈশিষ্ট্য কি?
237. কোন জিসিন আল্লাহর মনোপুত ছিলো না?
238. অন্যান্য সৃষ্টির সাথে মানুষের পার্থক্য কি?
239. কুরআনে মানুষ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টির উল্লেখ পাওয়া যাবে না,
যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট রয়েছে। তা কি?
240. কুরআনে মানুষ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টির কথা এভাবে বলা হয়নি। তা কি?
241. মানুষের মধ্যে এমন একটা শক্তি রয়েছে, যার বলে সে কি করতে সক্ষম?
242. ন্যায় ও অন্যায়ের বাছ-বিচারের ক্ষমতা মানুষের প্রকৃতিতেই
গচ্ছিত রাখা হয়েছে। কুরআন থেকে দলীল দিন।
243. আল্লাহ মানুষকে নেক কাজ ও বদ কাজ উভয়েরই পথ দেখিয়ে
দিয়েছেন। কুরআন কি বলে?
244. মানুষকে বিপথগামী করার জন্য তার চিরন্তন দুশমন শয়তান
রয়েছে। তার কাজ কি?
245. অপরদিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূলগণকে পাঠানো হয় এবং কিতাব
সমূহ নাজিল করা হয়। কেন?
246. মানুষের অভ্যন্তরে ও আশেপাশে নানা রকমের উপকরণ রয়েছে। এসব উপকরণ কি করে?
247. মানুষের অভ্যন্তরে ও আশেপাশে নানা রকমের উপকরণ রয়েছে। সেসব উপকরণগুলোর মধ্যে বাছ-বিচার করার জন্য মানুষকে কি দেয়া
হয়েছে?
248. মানুষকে নিজের পথ নিজেই বেছে নেয়ার জন্য তাকে দৃষ্টিশক্তি
দেয়ার সাথে সাথে কি দেয়া হয়েছে?
249. মানুষ যদি খারাপ পথ বেছে নেয়, তাহলে আল্লাহ কি করেন?
250. মানুষ যদি পুণ্য পথ বেছে নেয়, তবে আল্লাহ কি করেন?
251. “অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে সম্পদ দান করলো, আল্লাহকে
ভয় করে কাজ করলো এবং সততার স্বীকৃতি দিল।” আল্লাহ তার জন্য কি করবেন বলে উল্লেখ করেছেন?
252. যে ব্যক্তি কার্পণ্য করলো, বেপরোয়া
মনোভাব দেখালো এবং সততাকে প্রত্যাখ্যান করলো, আল্লাহ তার
জন্য কি করবেন?
253. যে ব্যক্তি গোমরাহী অবলম্বন করে, তার বিবেকে তখনো একটা খোদায়ী শক্তি বিদ্যমান থাকে। সে খোদায়ী শক্তি কি করে?
254. মানুষ যখন বিভ্রান্তির ওপর বহাল থাকার জন্য জিদ ধরে তখন
খোদায়ী শক্তি কি হয়?
255. যখন খোদায়ী শক্তির আর কোনো কার্যকারিতা থাকে না। তখন কি হয়?
256. মানুষের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা সীমাহীন। মানুষকে সব রকমের স্বাধীনতা ও এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। এমন মনে করা কোন গোষ্ঠীর অনুকরণ?
257. মানুষকে যা কিছু ক্ষমতা ও এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। তা কিসের অধীন?
258. আল্লাহ মানুষের স্বাধীনতাকে যে সীমারেখা দ্বারা সীমিত
করেছেন, তা দু রকমের। তা কি কি?
259. আল্লাহ মানুষের স্বাধীনতাকে যে সীমারেখা দ্বারা সীমিত
করেছেন, তার প্রথমটা সামষ্টিকভাবে সকল মানব
সন্তানের স্বাধীনতাকে সীমিত করে।
দ্বিতীয়টা কি করে?
260. সেদিন একেবারে নির্ভুল পরিমাপ করা হবে। যাদের কাজে ভালোর পাল্লা ভারি হবে তারাই সফলকাম হবে। আর যাদের পাল্লা হালকা হবে, তারা কারা?
261. কুরআন থেকে তাকদীর তত্ত্ব সম্পর্কে এতটুকু জানা যায়। তা থেকে কিসের সমাধান পাওয়া যায়?
262. আকীদা শাস্ত্রবিদরা এবং দার্শনিকরা যেসব অতি প্রাকৃতিক
সমস্যায় দিশেহারা, সেসব বিষয়ে কুরআন কি করেছে? কেন করেছে?
263. ১৯৪২ সালের ২৩শে অক্টোবর লাহোর বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত
একটি কথিকা, যা তাকদীরের হাকীকত বইতে কোন শিরোনামে আলোচিত হয়েছে?
264. দুনিয়া ও মানুষের সম্পর্কে কিছু চিন্তা-ভাবনা করে এমন
প্রত্যেক ব্যক্তির মনে ৫ ধরণের প্রশ্ন উদিত হয়ে থাকে। যে কোন ২টি প্রশ্ন উল্লেখ করুন।
265. দুনিয়া ও মানুষের সম্পর্কে কিছু চিন্তা-ভাবনা করে এমন
প্রত্যেক ব্যক্তির মনে ৫ ধরণের প্রশ্ন উদিত হয়ে থাকে। সে সব প্রশ্নের উত্তর যদি “হাঁ” বলা হয়, তাহলে
কোন কথা মেনে নিতে হয়?
266. ভাগ্য গড়ার প্রথম হাতিয়ার কি?
267. দুনিয়ার বহু ঘটনা ও দুর্ঘটনার ভালো মন্দ প্রভাব মানুষের
ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তা কি
কি?
268. যখন একটি জাতির উত্থানের সময় সমাগত হয়, তখন তখন কি হয়?
269. একটি জাতি যখন পতনোন্মুখ হয়, তখন
কি হয়?
270. যে প্রশ্নগুলোর জবাব নিছক “হা” দিয়েও দেয়া যায় না, “না” দিয়েও দেয়া যায় না। সেখানে
প্রকৃত সত্য কোথায় অবস্থিত।
271. আমাদের যত জ্ঞান-বিজ্ঞান, অভিজ্ঞতা
ও দক্ষতা সঞ্চিত রয়েছে, তার সবই এক বাক্যে কি সাক্ষ্য
দিচ্ছে?
272. প্রাকৃতিক জগতের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় আমরা চরম
ভাবগাম্ভির্য্য ও আন্তরিকতা দেখতে পাই। কি দেখা যায় না?
273. আমাদের প্রতিটি মানুষ অন্তর দিয়ে যা অনুভব করে, সেটাই প্রকৃত সত্য। বাস্তবিক পক্ষে এর অর্থ কি?
274. বিশ্বনিখিলের মহাপরিকল্পনায় আমাদের জন্য এতুটুক স্থান
বরাদ্দ করা হয়েছে, তা কি?
275. আল্লাহর মহাপরিকল্পনায় আমাদের নৈতিক দায়-দায়িত্ব কতটুকু?
276. ইসলাম সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ঈমান আনার দাওয়াত দেয়। এর সুস্পষ্ট মর্ম কি?
277. ইসলাম একদিকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর ঈমান আনার দাওয়াত দেয়। অপর দিকে ইসলাম করে?
278.
মুক্তির
সুসংবাদ ও শাস্তির হুশিয়ারি যুক্তিসঙ্গত হতে পারে কখন?
উপরোক্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘📚📖📘
আমার প্রিয় বাংলা বই হোয়াইটসআপ গ্রুপে যুক্ত হতে এখানেক্লিক করুন, টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং ফেইসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।