হেদায়াত
⧭ অনুবাদকঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম
⧭ প্রকাশকঃ আধুনিক প্রকাশনী (ঢাকা)
⧭ স্বত্ত্বাধিকারীঃ বাংলাদেশ ইসলামীক ইনিষ্টিটিউট
হেদায়াত শব্দের অর্থঃ
- হেদায়াত শব্দটি আরবী, কুরআনে শব্দটি বিভিন্ন অর্থে মোট ৩১৪ বার এসেছে।
- পথ দেখানোর কাজটিকে বলা হয় হেদায়াত বা পথ দেখানো বা প্রদর্শন করা।
- যে পথ দেখায় তাকে-হাদী বলে, ইংরেজীতে গাইড বলে, যেমনঃ কুরআনকে হুদা বলে।
- যে পথ পেয়ে যায় তাকে-মাহদী-বলে। যেমনঃ ইমাম মাহদী আসবে আমাদের মাঝে।
- হেদায়াতের বিপরীত শব্দ হলো-দালালা বা গোমরাহী। (বাকারা-১৭৫)
অতএব হেদায়াত অর্থঃ
- অন্ধ ব্যক্তিকে আলোর সন্ধ্যান দেয়া।
- পথ হারা ব্যক্তিকে পথ ধরিয়ে দেয়া।
- পথ পাওয়া ব্যক্তিকে তার গন্তব্যে পৌছতে সাহায্য করা।
- ইরা আতুত ত্বারিক-পথ দেখানো।
- ইছাল ইলাল মাতলুব-গন্তব্য স্থানে পৌঁছিয়ে দেয়া (ইসালে ছাওয়াব)।
- দ্বীন ইসলাম। (মায়েদা-৩)
- সিরাতুল মুস্তাকীম। (আনআম-১৬১)
- সত্য ও কল্যাণের পথ। (সফ-১০)
- যুগেযুগে নাবী রাসুলদের পথ। (তাওবা-৩৩)
- জান্নাতের পথ। (আনকাবুত-৬৯)
- হেদায়াতের মালিক-মহান আল্লাহ তায়ালা। (আনআম-৭১)
- আল্লাহ যাকে গুমরাহ করেন তাকে কেউ হেদায়াত করতে পারে না। (আরাফ-১৮৬)
- আল্লাহ মানব জাতিকে হেদায়াত ও গুমরাহীর ২টি পথই প্রদর্শন করেছেন। (ইনসান-৩)
- কেউ ইচ্ছা করে বা জোর করে কাউকে হেদায়াত করতে পারবে না। (কাসাস-৫৬)
- যারা হেদায়াতের জন্য চেষ্টা করে আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করেন। (আনকাবুত-৬৯)
- যাকে হেদায়াত করেন তার বক্ষদেশ আল্লাহ উন্মূক্ত করে দেন। (আনয়াম-১২৫, জুমার-২২)
- আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে কিনা।
- থাকলে বা কতখানি আছে।
- আল্লাহর সাথে সর্ম্পক স্থাপনের তাৎপর্য কি?
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক কি ধরণের হবে।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জানার উপায় কি?
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থ।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপায়।
- আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যাচাই করার উপায়।
- আখেরাতকে অগ্রাধিকার দান।
- আখেরাতের চিন্তার লালন।
- অযথা অহমিকা বর্জন।
- ট্রেনিং কেন্দ্র সমুহের উপকারীতা।
- নিজের ঘর সামলানো।
- পারষ্পরিক সংশোধন ও এর পন্থা।
- পারষ্পরিক সমালোচনার সঠিক পন্থা।
- আনুগত্য ও নিয়ম শৃংখলা।
- জামায়াত নেতৃবৃন্ধের প্রতি উপদেশ।
- বিরোধীতা।
- দাওয়াতের সংক্ষিপ্ত কোর্স।
- মহিলা কর্মীদের প্রতি উপদেশ।
- সম্পর্কের কারণ বা গুরুত্ব।
- যে কোন কাজের প্রেরণার উৎস।
- সম্পর্কের পরিমান কি হবে।
- সম্পর্কের তাৎপর্য ও স্বরূপ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ক্ষতি।
- অনেকে সন্তান-সন্ততির কল্যাণের জন্য নিজের দুনিয়া আখেরাত বরবাদ করতে প্রস্তুত হয়।
- দেশ-জাতির খেদমতে আত্মনিয়োগকারী আযাদীর জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুন্ঠিত হয় না।
⧭ পরিবার, দেশ ও জাতির চেয়ে সম্পর্ক বেশী না হলে আন্দোলন অগ্রসর হবে না।
⧭ যাবতীয় কাজের আশা ভরসার কেন্দ্র বিন্দু হবে আল্লাহর সাথেই সম্পর্কীত।
⧭ সম্পর্ক হ্রাস না পেয়ে ক্রমশঃ বৃদ্ধির চিন্তাই সর্বদা জাগরুক রাখা দরকার।
⧭ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনই আমাদের কাজের মূল প্রাণ স্বরূপ।
⧭ সম্পর্ক আছে কিনা।
⧭ থাকলে কতখানি আছে।
⧭ স্থাপনের তাৎপর্য কি?
⧭ সম্পর্ক কি ধরণের হবে।
⧭ সম্পর্ক জানার উপায় কি?
⧭ এ সকল বিষয়ের উত্তর জানা না থাকার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ৩ টিঃ যথা-
- নিজেকে মরুভুমির মত মনে হয়।
- নিজেকে অসহায় মনে হয়।
- লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।
⧭ এ সকল বিষয় গুলোর জবাব দেয়া হয়েছে এখানে।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থঃ
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ৭টি কাজ রয়েছে
- নিজের জীবনের সকল কিছু একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট্য করা। (আনআম-১৬২, বাইয়েনা-৫)
- খালেসভাবে আল্লাহর দ্বীনের আনুগত্য করা। (কুরআন)
- গোপনে ও প্রকাশ্যে সকল কাজে তাকে ভয় করা। (কুরআন)
- উপায় উপাদানের তুলনায় আল্লাহর শক্তির উপরই ভরসা করা। (কুরআন)
- আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লোকের বিরাগ ভাজন হওয়া। (কুরআন)
- বন্ধুত্ব, শত্র“তা, লেনদেন শুধু
তার জন্য করা। (হাদিস)
- নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী না চলা (চলার পথকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় রাখা) (কুরআন)
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়ঃ
- সম্পর্ক স্থাপনের পন্থা বা ধরণ
- বৃদ্ধির উপায় ২টি
- বাস্তব কর্মপন্থার ফলাফল।
১. সম্পর্ক স্থাপনের পন্থা বা ধরণঃ
⧭ সর্বান্ত করণে একমাত্র আল্লাহকে নিজের ও সমগ্র জগতে ইলাহ বা মালিক হিসাবে মেনে নেয়া।
⧭ উপাস্য ও শাসকরুপে স্বীকার করা।
⧭ প্রভূত্বের গুণাবলী ও ক্ষমতা একমাত্র তারই বলে স্বীকার করা।
⧭ মন থেকে শিরক মুক্ত করা।
⧭ আন্তরকে নির্মল ও পবিত্র করা।
২. বৃদ্ধির উপায় ২টিঃ যথা-
- চিন্তা গবেষণা,
- বাস্তব কর্মপন্থা।
চিন্তা গবেষণাঃ
⧭ কুরআন, হাদিস, সাহিত্য বুঝে শুনে বার বার অধ্যয়নের মাধ্যমে সম্পর্কের ধরণ লাভ করা।
⧭ সম্পর্কের অনুভূতি লাভ ও সার্বক্ষণিক স্বরণ।
⧭ কুরআন-হাদিসের আলোকে যে সব বিষয়ে আল্লাহর সাথে আপনার যোগ-সম্পর্ক অনুভূত হবেঃ
⧭ আল্লাহ আমাদের মাবুদ, আমরা তার গুলাম।
⧭ আমরা তার প্রতিনিধি।
⧭ আল্লাহর সাথে আমরা ঈমান এনে চুক্তি সম্পাদন করেছি।
⧭ আমাদেরকে তার নিকট জবাবদিহী করতে হবে।
বাস্তব কর্মপন্থাঃ
⧭ নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা।
⧭ অনিচ্ছায় নহে বরং স্বতঃস্পূর্ত আগ্রহ ও উৎসাহের সাথে তার নির্দেশিত কাজ করা।
⧭ পার্থিব স্বার্থ ব্যতিরেকে একমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা।
⧭ গোপনে প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ ঘৃণা করা।
৩. বাস্তব কর্মপন্থার ফলাফলঃ
⧭ সমস্ত কাজ তাকওয়ার পর্যায়ে উপনীত হবে।
⧭ পরবর্তী কর্মপন্থা আপনাকে এহসানের পর্যায়ে উপনীত করবে।
⧭ আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপকরণ।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপকরণঃ
- কর্মপন্থার ধরণ
- এই শক্তি অর্জন কিভাবে সম্ভব তার মাধ্যম।
১. কর্মপন্থার ধরণঃ
⧭ এপথ সহজ নয়, দূর্গম লক্ষ্যস্থল।
⧭ এই লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার জন্য বিশেষ শক্তি সামর্থ প্রয়োজন।
২. এই শক্তি অর্জন কিভাবে সম্ভব তার মাধ্যম ৪ টিঃ
- সালাত,
- সাওম,
- যিকির ও
- অর্থ ব্যয়
১. সালাতঃ
⧭ শুধু ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত নয়।
⧭ সাধ্যানুযায়ী নফল ইবাদাতও করতে হবে।
⧭ নফল ইবাদাত হবে গুপনে, নিষ্ঠার সাথে।
⧭ প্রচার করলে অন্তরে অহমিকা আসে।
২. আল্লাহর যিকিরঃ
⧭ জীবনের সকল ক্ষেত্রে তার যিকির।
⧭ যিকিরের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করা।
⧭ সুফীদের পন্থা নয়, রাসুলের সা.নীতি অনুস্বরণ করা।
⧭ সাধ্যানুযায়ী দোয়া মুখস্থ ও পড়ার চেষ্টা করা।
⧭ আল্লাহকে স্বরণের জন্য দোয়ার গুরুত্ব বেশী।
৩. সাওমঃ
⧭ শুধু ফরজ নয়, নফল রোজা অত্যান্ত জরুরী।
⧭ মাসে ৩টি রোজা রাখা সুন্নাত।
⧭ সাওমের উদ্দেশ্য হবে তাকওয়া।
৪. আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়ঃ
⧭ ইহা ফরজ নয় সুন্নাত, তবে মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশী।
⧭ সম্পদের পরিমাণ নয়, নিয়ত ও ত্যাগ কুরবানী আল্লাহকে দেখানো।
⧭ তাকওয়ার সাথে অর্থ ব্যয়, সাধারণ তাকওয়ার চেয়ে জরুরী।
⧭ তাজকিয়ার জন্য অর্থ ব্যয় খোদার নির্দেশ।
⧭ তপস্যা, মুরাকাবার প্রয়োজন নেই, ঘরে বসেই সম্ভব হবে এ পথেই।
আল্লাহর সাথে সর্ম্পক যাচাই করার উপায়ঃ
- কাশফ, কারামত বা অলৌকিকত্বের দরকার নেই, নিজের অন্তরই যথেষ্ট
- তার জন্য যা বিশ্লেষণ করতে হবে
- বড় কারামত
১. কাশফ, কারামত বা অলৌকিকত্বের দরকার নেই, নিজের অন্তরই যথেষ্ট।
২. তার জন্য যা বিশ্লেষণ করতে হবেঃ
⧭ নিজের জীবন ও কর্মের পর্যালোচনা করা।
⧭ চিন্তা ও ভাবধারা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা।
⧭ নিজের হিসাব নিজে নেওয়া (নিজ স্বার্থে আঘাত লাগলে কেমন লাগে দেখা)। (কুরআন)
⧭ প্রদত্ত ওয়াদার পর্যালোচনা করা। (কুরআন)
⧭ আল্লাহর আমানাতের আমানাতদারীতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা। (কুরআন)
⧭ সময়, শ্রম, যোগ্যতা-প্রতিভা ও ধন সম্পদ কতটুকু আল্লাহর পথে ব্যয় হয়েছে তার পর্যালোচনা।
⧭ খোদাদ্রোহীদের তৎপরতায় কতটুকু আপনার মধ্যে যাতনা সৃষ্টি করে। (কুরআন)
৩. বড় কারামতঃ
⧭ চরম জাহেলিয়াতের মধ্যে অবস্থান করে তাওহীদের নিগুড় তত্ত্ব অনুসন্ধান ও অনুধাবন-এটাই বড় কারামত।
আখেরাতকে অগ্রাধিকার দানঃ
- গুরুত।
- লক্ষ্য।
- জবাবদিহী।
- আখেরাতে মর্যাদা লাভের মাপকাঠি-পরীক্ষা।
- সার্বক্ষনিক অনুভূতি ও প্রচেষ্টা।
১. গুরুতঃ
⧭ পার্থিব সুবিধার চেয়ে আখেরাতকে অধিক গুরুত্ব দিবেন।
২. লক্ষ্যঃ
⧭ আখেরাতের সাফল্যকে লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করুন।
৩. জবাবদিহীঃ
⧭ দুনিয়ার সাফল্য জিজ্ঞাসা না করে খেলাফত কতটুকু পালন হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হবে।
৪. আখেরাতে মর্যাদা লাভের মাপকাঠি-পরীক্ষা
⧭ আমাদেরকে দুনিয়াতে পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
⧭ দুনিয়ার সম্পদকে সদ্ব্যবহার করে স্থায়ী জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে।
⧭ দুনিয়ার শিক্ষা সভ্যতার উন্নতি লাভে কতখানী সাফল্য লাভ করেছি তার পরীক্ষা দিতে হবে না।
⧭ পরীক্ষার মূল বিষয়-আল্লাহর আমানাতের ব্যাপারে খিলাফতের দায়িত্ব পালনে কতখানী যোগ্য হয়েছি।
⧭ আমরা কি বান্দা হিসাবে তার মর্জি পূরণ করি, না অন্য কারো ইচ্ছা পূরণ করি? এটাই আমাদের পরীক্ষা।
⧭ আসল কামিয়াবী হলো-দুনিয়াতে নিজেদেরকে আল্লাহর অনুগত বান্দা-তাবেদার সাব্যস্ত করা।
৫. সার্বক্ষনিক অনুভূতি ও প্রচেষ্টাঃ
⧭ সর্বদা আখেরাত স্বরণ রাখার জন্য অনুভূতি সহকারে কঠোর পরিশ্রম ও যত্ন করতে হবে।
⧭ না হলে আখেরাতকে অস্বীকার না করেও কাফিরদের মত পার্থিব কাজে লিপ্ত হয়ে পড়বো।
⧭ আখেরাতকে স্বীকার করা কঠিন কাজ নয়, কিন্তু গোটা চিন্তাধারা, নৈতিক চরিত্র ও সমগ্র জীবনের বুনিয়াদ হিসাবে গ্রহণ করে তদানুযায়ী কাজ করা কঠিন।
আখেরাতের চিন্তার লালনঃ
সার্বক্ষণিক অনুভূতির পন্থা ২টি। যথা-
- চিন্তা ও আদর্শ মূলক।
- বাস্তব কর্মপন্থ।
১. চিন্তা ও আদর্শ মূলকঃ
ক. অর্থ বুঝে কুরআন অধ্যয়ন।
খ. হাদিস অধ্যয়ন ও অনুধাবন।
গ. আন্তরিকতার সাথে কবর জিয়ারত।
ক. অর্থ বুঝে কুরআন অধ্যয়নঃ
⧭ প্রতি পৃষ্ঠায় আখেরাতের আলোচনা।
⧭ আখেরাতের বিস্তারিত বিবরণ।
⧭ স্থায়ী বাস ভুমির জন্য অস্থায়ী বাস ভুমিতে প্রস্তুতি গ্রহণ।
খ. হাদিস অধ্যয়ন ও অনুধাবনঃ
⧭ কুরআনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
⧭ রাসুলকে সা. জানার উপায়।
⧭ রাসুল সা. ও সাহাবাদের ত্যাগের স্মরণ।
গ. আন্তরিকতার সাথে কবর জিয়ারত
⧭ মৃত্যুকে স্বরণ করার জন্য।
২. বাস্তব কর্মপন্থঃ
ক. দুনিয়াতে সমস্যা।
খ. করনীয়।
গ. অভাব পূরণ করার পন্থা।
ঘ. অভাব পূরণের শর্ত।
ক. দুনিয়াতে সমস্যা
⧭ একদিকে আখেরাতকে বিশ্বাস ও অপর দিকে দুনিয়াদারীর হাতছানী দিয়ে ডাক।
খ. করনীয়ঃ
⧭ নফসের দূর্বলতা বশত কখনো দুনিয়া মূখী হয়ে গেলে স্বরণ আসার সাথে সাথে পথ পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।
⧭ নিজের হিসাব নিকাশ করে দেখা দরকার-কি পরিমাণ আখেরাতের দিকে অগ্রসর হয়েছেন ।
⧭ এতে বুঝতে পারবেন আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস কতখানি মজবুত আর কতখানী পূরণ করতে বাকী আছে।
গ. অভাব পূরণ করার পন্থাঃ
⧭ দুনিয়াদার লোকদের সংশ্রব পরিত্যাগ করা।
⧭ যারা আখেরাতকে প্রধান্য দেয় তাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।
ঘ. অভাব পূরণের শর্তঃ
⧭ নিজের চেষ্টা ছাড়া গুণের হ্রাস-বৃদ্ধির কোন পন্থা আবিস্কৃত হয়নি।
⧭ নিজের মধ্যে গুণ সৃষ্টির মূল উপাদান ও গুণ বিদ্যমান না থাকলে তাতেও হবে না।
অযথা অহমিকা বর্জনঃ
- সতর্কতা।
- অহমিকার ধরণ।
- অপপ্রচার।
- অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ।
- কামালিয়াতের পার্থক্য।
- তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
১. সতর্কতাঃ
⧭ ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক জীবনে যাতে সামান্য সংস্কারের জন্য অহমিকা দেখা না দেয়।
২. অহমিকার ধরণঃ
⧭ আমরা পূর্ণতা লাভ করেছি মনে করা।
৩. অপপ্রচারঃ
⧭ জামায়াত নিছক একটি রাজনৈতিক দল।
⧭ আধ্যাত্মিকতার নাম নিশানা নেই।
⧭ পরিচালক বা দায়িত্বশীলগণ কোন পীরের মুরীদ নয়।
৪. অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ
⧭ কুফুরীর আশ্রয়ে ইসলামের আংশিক খেদমত করে বিরাট কীর্তি মনে করা।
⧭ দ্বীন বিজয়ী বা প্রতিষ্ঠা করার কোন পরিকল্পনা নেই।
⧭ দ্বীন বিজয়ী করার বিজয়কে দুনিয়াবী বিজয় বলে ঘোষণা করেন।
৫. কামালিয়াতের পার্থক্যঃ
⧭ ইসলামী আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অবস্থানকারী লোকদের মান-পীরবাদের ট্রেনিং দাতাদের সমান নয় বরং অনেক বেশী।
৬. তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
⧭ কামালিয়াত একটি সীমাহীন ব্যাপার-কোন পর্যায়ে গিয়ে পূর্ণতা অনুভব হয়।
⧭ উন্নতির চেষ্টা না থাকলে মান নীচের দিকে নেমে যাবে।
⧭ ইসলামের সর্বনিন্ম মানঃ
⧭ অন্য মতবাদের আদর্শের তুলনায় অনেক শ্রেষ্ঠ।
⧭ আন্বিয়া ও সাহাবাদের দেখলে ইসলামের মহানত্ব বুঝতে পারবেন।
⧭ মুমূর্ষ রোগী দেখে খুশী হলে চলবে না বরং বীর পাহলোওয়ানদের প্রতি লক্ষ্যকরবেন।
⧭ দ্বীনের ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত উন্নতির দিকে খেয়াল করা।
⧭ সম্পদের ব্যাপারে নীচের দিকে খেয়াল করা।
⧭ আমাদের মান-প্রকৃত ইসলামের আলোকে দেখতে হবে। ত্রুটি বিচ্যুতি স্বীকার করে শুধু যেন বিনয়ী হবার জন্য নয়, বরং তা যেন আন্তরিক স্বীকৃতি হয়।
ট্রেনিং কেন্দ্র সমুহের উপকারিতাঃ
- প্রধান উপকারীতা।
- ট্রেনিং কোর্স সমুহ দুই ভাগে বিভক্ত।
১. প্রধান উপকারীতা
⧭ আল্লাহর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
২. ট্রেনিং কোর্স সমুহ দুই ভাগে বিভক্তঃ
- শিক্ষা মূলক।
- অনুশীলন মূলক।
১. শিক্ষা মূলকঃ
⧭ অল্প সময়ে মৌলিক জ্ঞান অর্জন।
⧭ জীবন ব্যবস্থা, দাবী, পন্থা, আন্দোলনের কর্মসূচী বুঝতে পারা।
⧭ জীবন ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় কোন ধরণের ব্যক্তিগত ও সামাজিক চরিত্র প্রয়োজন তা বুঝা।
২. অনুশীলন মূলকঃ
⧭ অল্প সময়ের জন্য হলেও ইসলামী রাষ্ট্রের নমুনার সাথে সংস্পর্শ।
⧭ অন্যের কাছ থেকে গুণাবলী আহরণ।
⧭ পারষ্পরিক সহযোগিতা।
⧭ দুনিয়ার সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহর জন্য কর্ম তৎপরতার কেন্দ্রীভূত।
⧭ নিয়মানুবর্তিতা, শৃংখলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ইত্যাদি শিখবে।
নিজের ঘর সামলানঃ
⧭ সন্তান-সন্ততি ও পরিবার পরিজনদের সংশোধন সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশ রয়েছে, ইয়া আইয়ু হাল্লাজিনা আমানু ক-আনফুসাকুম ওয়াহলি কুম নারা। (সুরা তাহরিম- ৬)
⧭ অনেকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে-নিজেরা নিজের সন্তান-সন্ততির জন্য চেষ্টা কম করেন, এব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ আছে, রাব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়াজুর রিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউনিয়াউ ওয়াজায়ালনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা। (ফুরকান-৭৪)
⧭ বন্ধু বান্ধবদের সন্তানদের সংশোধনেরও চেষ্টা করতে হবে।
পারস্পরিক সংশোধন ও এর পন্থাঃ
- গুরুত্ব।
- পন্থা।
১. গুরুত্ব
⧭ একই কলেমা বুলন্ধের সংগ্রাম।
⧭ বন্ধন মজবুত না হলে সফল হবে না।
⧭ পরষ্পরকে দোষ মুক্ত করা ঈমানী দায়িত্ব।
২. পন্থা
⧭ দোষ-ত্রুটি দেখলে তাড়াহুড়া না করে বিষয়টি সুষ্ঠভাবে বুঝতে চেষ্টা করা।
⧭ মেজাজ বুঝে নির্জনে সাক্ষাত করে আলাপ করা।
⧭ এতেও সংশোধন না হলে তার দায়িত্বশীলকে জানানো।
⧭ আমীর বা দায়িত্বশীল প্রয়োজন মনে করলে বৈঠকে আনবেন।
⧭ কিন্তু ব্যক্তির অবর্তমানে গীবত বা পরচর্চা করা যাবে না।
পারস্পরিক সমালোচনার সঠিক পন্থাঃ
- সমালোচনা কেন।
- ক্ষতির আশংকা।
- সমালোচনা নিয়ম।
- সমালোচনার গুরুত্ব।
১. সমালোচনা কেন
⧭ পারষ্পরিক ত্রুটি দূর করার জন্য।
২. ক্ষতির আশংকা
⧭ সমালোচনার সীমা ও পদ্ধতির সতর্কতা অবলম্বন না করলে।
৩. সমালোচনা নিয়ম
⧭ সময়ঃ সর্বদা নয়, বৈঠকে দায়িত্বশীলের অনুমতিক্রমে।
⧭ অনুভূতিঃ আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে সমালোচনা পেশ করবে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়।
⧭ ভংগী ও ভাষাঃ শুভাকাংখীর মত হবে।
⧭ প্রমাণঃ বলার পূর্বে বাস্তব প্রমাণ উপস্থাপন।
⧭ যার সমালোচনা হবে তার করণীয়ঃ
⧭ ধৈর্য্য সহকারে শ্রবণ করা।
⧭ সততার সাথে ভাবা।
⧭ সত্য অকপটে স্বীকার করা।
⧭ মিথ্যা যুক্তি দ্বারা খন্ডন না করা।
⧭ সীমাঃ বক্তব্য সীমাহীন নয়, সুস্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত শেষ। পরে চিন্তা করা।
৪. সমালোচনার গুরুত্ব
⧭ সংগঠনের নিয়ম শৃংখলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন।
⧭ আমীর থেকে নেতা পর্যন্ত কেউ এই সমালোচনার উর্ধে থাকবে না।
⧭ ইহা সংগঠনের অস্তিত্ব বজার রাখার জন্য অপরিহার্য কাজ।
⧭ যে দিন সমালোচনার দ্বার রুদ্ধ হবে সে দিন থেকে আমাদের অধপতন শুরু হবে।
আনুগত্য ও নিয়ম-শৃংখলা সংরক্ষণঃ
- আনুগত্য শৃংখলার বর্তমান মান।
- আমাদের টার্গেট।
- আমাদের হাতিয়ার।
- আনুগত্যের শরয়ী হুকুম।
আনুগত্য শৃংখলার বর্তমান মান
⧭ বর্তমান সমাজের দিকে তাকালে সুসংবদ্ধ মনে হবে।
⧭ আমাদের আদর্শ, দায়িত্ব, কর্তব্যের প্রতি লক্ষ্য করলে আনুগত্য শৃংখলা নিতান্ত নগন্য মনে হয়।
আমাদের টার্গেট
⧭ আমাদরে উপায় উপাদান নিতান্তই সামান্য, জাহেলিয়াতের উপায় উপাদান ১০০ গুণ বেশী মজবুত।
⧭ শুধু বাহ্যিক পরিবর্তন নয়, জাহেলিয়াতের অন্তর্নিহীত ভাবধারায়ও আমুল পরিবর্তন করাই আমাদের চাই।
আমাদের হাতিয়ারঃ
⧭ তখনই উদ্দেশ্য সফল হতে পারেঃ
⧭ যখন আমাদের লড়ার শক্তি হবে নৈতিক শক্তি ও সাংগঠনিক শক্তি।
⧭ যখন জামায়াত নেতৃবৃন্ধের ইশারায় প্রয়োজনীয় শক্তি সমাবেশ করতে সমাজের সাধারণ লোকেরা এগিয়ে আসবে।
আনুগত্যের শরয়ী হুকুম
⧭ আমীরের আনুগত্য মূলতঃ আল্লাহ ও রাসুলের সা. আনুগত্য করা।
⧭ আল্লাহ ও দ্বীনের সাথে সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে সে তত বেশী আনুগত্য পরায়ন হবে-ইহা মানদন্ড।
⧭ নিজের রুচি, স্বার্থ, সবকিছুর বিরুদ্ধে নেতার আনুগত্যই বড় কুরবানী বিবেচিত।
⧭ আনুগত্যে আন্তরিকতার অভাব, অস্বস্তি ও বিরক্তির প্রকাশ-ইসলামকে সঠিক অনুধাবনের অভাবের ফলশ্রুতি।
জামায়াত নেতৃবৃন্ধের প্রতি উপদেশঃ
⧭ অহেতুক কর্তাগিরী বা প্রভূত্বের স্বাদ গ্রহণ নয়, নম্র ও মধূর ব্যবহার দিতে হবে।
⧭ ব্যবহারে ত্রুটি কর্মীর মনে বিদ্রোহের আগুন জন্ম দিতে পারে।
⧭ একই ধারা নয়, বরং অবস্থা, সময় ও সুযোগ বুঝে কাজ দেয়া।
⧭ সম্পর্কের মানঃ
⧭ আদেশ অনুরোধ নির্দেশের কাজ করবে।
⧭ হুকুম-বেতন ভুক্ত সিপাহী, অনুরোধ হুকুমে পরিণত হবে।
⧭ স্বেচ্ছাসেবীদের সম্পর্ক তিক্ততার সমাপ্তী ঘটায়।
⧭ হুকুম দেয়া সাংগঠনিক চেতনার অভাব প্রমাণ করে।
বিরোধীতাঃ
- বিরোধীতার ধরণ।
- বিরোধীতার উদ্দেশ্য ২টি।
- কারা কি কারণে বিরোধীতার ঝড় তুলেছে।
- যারা বেশী ক্ষতি করছে।
- তাদের ব্যাপারে আমাদের ধারণা।
- বিরোধীতার প্রতিকারে আমাদের করণীয়।
- বিরোধীতাকারীদের শুকরিয়া আদায়।
- জামায়াতের আলেমদের প্রতি উপদেশ।
বিরোধীতার ধরণঃ
⧭ অধিকাংশই মিথ্যা প্রচারণাঃ
অপবাদ রটনার সাহায্যে আমাদের বিরোধীতা করছে।
বিরোধীতার উদ্দেশ্য ২টি
- আমাদের বিরুদ্ধে জনগনকে উত্তেজিত করতে।
- ইসলামী বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বানচাল করতে।
কারা কি কারণে বিরোধীতার ঝড় তুলেছেঃ
⧭ ক্ষমতাশীন দল ও তাদের পত্রিকাগুলো, কারণ-তারা ইসলামী রাষ্ট্রকে বিপদ জনক মনে করে।
⧭ পাশ্চাত্য ধর্ম বিরুধী সভ্যতা, কারণ-লাগামহীন স্বাধীনতায় ঈমান ও চরিত্র অসহ্য বিবেচিত হচ্ছে।
⧭ বিভিন্ন গুমরাহী দল সমুহ, কারণ-দেশে ইসলামী সমাজ কায়েম হলে তাদের কারসাজি বন্ধ হবে।
⧭ আর কম্যুনিষ্টরা, কারণ-তাদের প্রকৃত বিরোধী দল হলো জামায়াতে ইসলামী।
যারা বেশী ক্ষতি করছেঃ
⧭ তাদের মধ্যে এমন কিছু দলও রয়েছে-যারা আলেম।
⧭ যারা কাদিয়ানী, ধর্ম বিরোধী ও খোদাদ্রোহীদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে আঘাত হেনেছে।
তাদের ব্যাপারে আমাদের ধারণাঃ
⧭ যাদেরকে আমরা দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মনে করতাম।
⧭ আমরা মনে করতাম তারা দ্বীন কায়েমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
⧭ আমরা তাদের পদাংক অনুস্বরণ করবো।
বিরোধীতার প্রতিকারে আমাদের করণীয়ঃ
⧭ উত্তেজিত না হওয়া, শয়তানের চক্রান্ত মনে করা।
⧭ তাদের ব্যবহারে দুঃখ সীমাবদ্ধ রাখা, ঘৃনায় পরিণত না করা।
⧭ বাইরের আক্রমণ রক্ষা করা নেতার হাতে, নিজ কর্তব্য সম্পাদন করুন।
⧭ বিরোধীতার জবাব দিতে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লংগন না করা।
⧭ বিরোধীতার কারণে আন্দোলনের অগ্রগতির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
বিরোধীতাকারীদের শুকরিয়া আদায়ঃ
কারণ তারা দ্বীন প্রচার করছেঃ
⧭ সরকারের কারণে কর্মচারীদের মধ্যে প্রচার।
⧭ গুমরাহী দলগুলো তাদের মধ্যে।
⧭ আলেমরা ধর্মীয় লোকদের মধ্যে।
জামায়াতের আলেমদের প্রতি উপদেশঃ
আলেমদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে তাদের বুঝাতে হবেঃ
⧭ আপনারা কেন বিরোধীতা শুরু করছেন।
⧭ সাধারণ লোকেরা ইসলাম কায়েমের জন্য আন্দোলনে আসছে।
⧭ আপনাদের মধ্যে দ্বীন কায়েমের মত দল গঠন করা সম্ভব নয়।
⧭ আপনারা ফাসেক লোকদের নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছেন কেন।
⧭ জামায়াতের সাথে মত বিরোধ আলোচনা করে শেষ করা যায় না।
⧭ কুরআন হাদিসের শিক্ষা অর্জন করে কিভাবে ঈমান বিক্রি করবেন।
⧭ আপনারা কি পীর, উস্তাদদের শিখলে আবদ্ধ থাকবেন।
দাওয়াতের সংক্ষিপ্ত কোর্সঃ
সাতটি বই পড়া দরকারঃ
- বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী।
- জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য।
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি।
- মুসলমানদের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মসূচী।
- জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরনী।
- জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস।
- ইসলামী বিপ্লবের ৭দফা কর্মসূচী।
মহিলা কর্মীদের প্রতি উপদেশঃ
⧭ মহিলাদের প্রতি মাওলানা মওদুদীর ৪টি উপদেশ-
- জীবন গড়ার জন্য দ্বীনের যথাযথ জ্ঞান লাভ করা দরকার। কুরআন, হাদিস ও ফিকাহসহ পড়া।
- জ্ঞান অনুযায়ী বাস্তব জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করা।
- সংসারসহ সকল ক্ষেত্রে সংশোধন মূলক কাজে নিজের সংসারের লোকদের ও আত্মীয়দের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
- সাংসারিক কাজ সেরে সময় বাচিয়ে অন্য মহিলাদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পৌছানো।
বাস্তব কর্মপন্থাঃ
- সঠিক পথে চলার তীব্র আকাংখা।
- নিজের আকর্ষণের মান পর্যালোচনা ও অভাব দেখা মাত্র পুরণ করার চেষ্টা করা।
- অসৎ সংগ ত্যাগ করে সৎ সংগ লাভ করা।
- নিজের চেষ্টা ব্যতীত গুণের হ্রাস বৃদ্ধি সম্ভব নয়।
(নোটটি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ফেইসবুক পেইজ থেকে সংগৃহিত)
No comments:
Post a Comment
আমার প্রিয় বাংলা বই-এর যে কোন লেখাতে যে কোন ত্রুটি বা অসংগতি পরিলক্ষিত হলে দয়া করে আমাদের লিখুন।